বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

পঞ্চায়েত সমিতির বকেয়া ২৮ লক্ষ টাকা

নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: কেশপুরের বিভিন্ন বাজারে পঞ্চায়েত সমিতির দোকান ভাড়া নিয়ে রমরমিয়ে ব্যবসা চলছে। অথচ দোকানের ভাড়া মেটানোর ব্যাপারে আগ্রহী হচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। বকেয়া মেটানোর ব্যাপারে দোকানদারদের একাধিকবার পঞ্চায়েত সমিতির তরফে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। বর্তমানে বকেয়ার পরিমাণ ২৮ লক্ষ টাকায় পৌঁছনোয় মাথায় হাত পড়েছে পঞ্চায়েত সমিতির। 
কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রায় দেড়শোর কাছাকাছি দোকানঘর রয়েছে। এর মধ্যে কেশপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে রয়েছে প্রায় ৫০টি দোকান। কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে প্রায় ৮০টি দোকান। এছাড়াও ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আরও ২০টি দোকান রয়েছে। বর্তমানে দোকানের ভাড়া প্রতি বর্গফুটে পাঁচ টাকা করে। মার্কেট কমপ্লেক্সে কারও ৮০ বর্গফুট, কারও ১০০ বা ১২০ বর্গফুটের দোকান রয়েছে। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, দীর্ঘ ন’বছর ধরে দোকানের ভাড়া বকেয়া রয়েছে। সবমিলিয়ে ১৫০টি দোকানের বকেয়ার পরিমাণ বর্তমানে প্রায় ২৮লক্ষ টাকা। এতদিন ধরে কেন বকেয়া টাকা আদায়ে জোর দেওয়া হল না? বিডিও দীপককুমার ঘোষ বলেন, ব্যবসায়ীদের থেকে বহুবার টাকা চাওয়া হয়েছে। তাঁদের নোটিস করা হয়েছে। প্রত্যেকের কত টাকা বাকি, তাও জানানো হয়েছে। তবুও তাঁদের টাকা দিতে অনীহা।  ব্যবসায়ীদের আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চিত্তরঞ্জন গড়াই। তিনি বলেন, টাকা না দেওয়ার ফলে পঞ্চায়েত সমিতির নিজস্ব তহবিলে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। নতুন বোর্ডের শীঘ্রই মিটিং হবে। ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে আমরা আলোচনা করব। যদিও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাম আমলে ৩০হাজার টাকা সেলামিতে দোকানঘরগুলি ভাড়া দিয়েছিল পঞ্চায়েত সামিতি। ৯৯ বছরের লিজের কথা বলা হলেও কোনও কাগজপত্র দেওয়া হয়নি। তাছাড়া বর্তমান সরকারের আমলে ভাড়াও বেড়েছে। আগে প্রতি বর্গফুট দু’টাকা দরে ভাড়া নেওয়া হতো। ভাড়া দেওয়ার ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের দাবি, শুরুর দিকে প্রতি মাসে নিয়ম করে একজন ভাড়া আদায়ে আসতেন। কিন্তু কয়েক বছর এভাবে চলার পর হঠাৎ ভাড়া আদায় বন্ধ হয়ে যায়। এমনকী পঞ্চায়েত সমিতিতে ভাড়া দিতে গেলেও পরে নেওয়া হবে বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও ব্লক প্রশাসনের দাবি, ভাড়া দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের বহুবার চিঠি করা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা দেননি। সামান্য ভাড়া, তবু কেন দিচ্ছেন না? মার্কেট কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী গোলাব আলির ছেলে ওহিদুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকায় ভাড়ার পরিমাণ অনেক বেশি। সরকার ভাড়ার ক্ষেত্রে যদি কিছুটা ছাড় দেয়, তাহলে আমরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারি। কেশপুর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক স্বপন চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়ীদেরও অনেকের অভিযোগ রয়েছে। মার্কেট কমপ্লেক্সে প্রশাসনের অব্যবস্থা আছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চাই। কেশপুরের জেলা পরিষদের সদস্য মহম্মদ রফিক বলেন, দ্বিতল মার্কেট কমপ্লেক্স করার ভাবনা ছিল। তাতে আরও অনেক বেকার যুবক যুবতী দোকান খুলে ব্যবসা করতে পারত। কিন্তু ভাড়ার টাকা না দেওয়ায় আমাদের সেই কাজ করতে গিয়েও পিছিয়ে আসতে হচ্ছে। 

26th     September,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ