বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর নামাঙ্কিত বিশেষ ধুতি ও উত্তরীয়

নিজস্ব প্রতিনিধি, শান্তিপুর: যাঁর হাত ধরে এখনও বাংলা ভাষার প্রথম পাঠ নেয় আপামর বাঙালি, যিনি তৎকালীন সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ভেঙেছিলেন কুসংস্কারের অচলায়তন। সেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আজ ২০৪তম জন্মদিবস। শান্তিপুরের মাটিতে দাঁড়িয়েই প্রথমবার তিনি বিধবা বিবাহ দিয়েছিলেন। বিদ্যার সাগরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর নামাঙ্কিত বিশেষ ধরনের খাদির ধুতি এবং উত্তরীয় তৈরি করেছে শান্তিপুরের সরকারি তন্তুবায় সংস্থা সিপকো। ইতিমধ্যেই এই ধুতি ও উত্তরীয় সংগ্রহে রাখার জন্য একের পর এক অর্ডার আসতে শুরু করেছে সংস্থাটির কাছে।
শান্তিপুর হ্যান্ডলুম ইনোভেশন প্রডিউসার কোম্পানি লিমিটেডের অন্যতম সদস্য তথা ডিজাইন প্ল্যানার সৌরভ শীর কথায়, বিধবা বিবাহ প্রবর্তনকালে শান্তিপুরের তন্তুবায়দের তরফে বিদ্যাসাগরকে উপহার দেওয়া বিশেষ ডিজাইনের ধুতিকে আবার ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলাম আমরা। এজন্য ছ’ মাস আগেই পরিকল্পনা করা হয়। খাদির সুতো দিয়ে তৈরি যে বিশেষ ধরনের ধুতি এবং উত্তরীয় আমরা তৈরি করেছি, সেখানে লেখা রয়েছে, ‘বেঁচে থাক বিদ্যাসাগর দীর্ঘজীবী হয়ে’। যে দুজন বুননশিল্পী এই কাজ করেছেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই বয়স সত্তরের ওপর। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধুতিগুলোতে সম্পূর্ণ ভেষজ রং ব্যবহার করা হয়েছে। ধোলাই করা হয়েছে রিঠার মতো প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে। আপাতত বিদ্যাসাগরের নাম লেখা ২৫টি করে ধুতি ও উত্তরীয় তৈরি করা হয়েছে। সংস্থাটির শান্তিপুরের হ্যান্ডলুম শোরুমে রাখা হয়েছে সেগুলো। ডিজাইন প্ল্যানার সৌরভ আরও বলেন, ধুতির দাম রাখা হয়েছে ৯০০ টাকা এবং উত্তরীয় ৩৫০ টাকা। ধুতির পাড়ে কেন এই লেখার ডিজাইন করা হয়েছে, সেই ইতিহাসও প্যাকেটের ভেতরে থাকা কার্ডটি পড়ে জানতে পারবেন ক্রেতারা। ইতিমধ্যেই প্রচুর অর্ডার আসতে শুরু করেছে। এই ডিজাইন এতটা জনপ্রিয়তা পাবে ভাবিনি। জানা গিয়েছে, এই ধুতিকে আগামীতে বিশ্ব বাংলার মতো ব্র্যান্ডিংয়ের মোড়কেও নিয়ে আসা হতে পারে।
ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, শান্তিপুরের লক্ষ্মীমণি দেবীর মেয়ে কালীমতি ছিলেন এই বাংলার প্রথম বিধবা যাঁর পুনর্বার বিবাহ হয়েছিল। কালীমতির সঙ্গেই ১৮৫৬ সালের ৭ ডিসেম্বর নিজের ছেলে শ্রীশচন্দ্রের বিয়ে দিয়েছিলেন বিদ্যাসাগর। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন তিনি। সেই ঠিকানা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলেও ঘটনাটি ইতিহাস হয়ে বেঁচে আছে। সেই ঘটনা স্থান পেয়েছে শান্তিপুর পুরসভা প্রকাশিত বিশেষ বইয়ে। ১৬৭ বছর আগে ভাগীরথী পারের যে প্রাচীন সংস্কৃতির শহরে বিদ্যাসাগর নারীজাতির জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, আজ সেই শান্তিপুরের তন্তুবায়দের সৃষ্টিতে তাঁর স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হল। এমনটাই বলছেন শান্তিপুরবাসীর একাংশ।

26th     September,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ