বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

ছাড়পত্র মিললেও গোঘাটে শতাব্দী প্রাচীন মন্দির ও
পুরাকীর্তির সংস্কারের কাজ শুরু করেনি প্রশাসন

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: গোঘাটে সংরক্ষণের অভাবে শতাব্দী প্রাচীন বহু মন্দির ও দুর্লভ পুরাকীর্তি ভেঙ্গে পড়ছে। অবহেলা ও অনাদরে প্রাচীন ইতিহাসের বহু নিদর্শন ইতিমধ্যেই হারিয়ে গিয়েছে। অবশিষ্ট মন্দিরগুলোর ধ্বংসস্তূপ পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পর্যটন দপ্তরের পক্ষ থেকে গোঘাটের দুটো ব্লকের ১৩ টি মন্দির সংরক্ষণ করার ছাড়পত্র অনেক আগেই দেওয়া হয়েছিল। অজ্ঞাত কোন কারণে সেই কাজ এখনও শুরু হয়নি। প্রশাসনের  উদাসীনতায়  ক্ষুব্ধ এলাকার সাধারণ মানুষ।
আরামবাগ মহকুমার অন্যতম প্রাচীন জনপদ গোঘাট। ইতিহাসের বহু সাক্ষ্য বহন করে চলেছে এই স্থান। এই এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বহু প্রাচীন মন্দির, মাজার, রাজবাড়ী ও প্রাচীন নগরের  ধ্বংসস্তূপ। এইসব মন্দির ও মাজারকে কেন্দ্র করে সারাবছর ধরে উৎসব অনুষ্ঠান লেগে থাকে। পুণ্যার্থী পর্যটকদের ঢল নামে। শতাব্দী প্রাচীন এইসব মন্দির মাজার সংরক্ষণে দীর্ঘদিন ধরে দাবি উঠছে। রাজ্যের শাসনক্ষমতায় তৃণমূল  আসার পর গোঘাটের মন্দিরগুলো সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। পর্যটন দপ্তরের পক্ষ থেকেগুরুত্বপূর্ণ বদনগঞ্জ- ফলুইয়ের শৈলশ্বর শিব মন্দির, কৃষ্ণগঞ্জ বাজার পরমেশ্বর শিব মন্দির, হরিসভা মানিক রাজার শিবমন্দির, শ্রীপুর হাটতলা বিষ্ণুমন্দির, পাইনদের বিষ্ণুমন্দির, কামারপুকুরশান্তিনাথ শিবমন্দির, বালি রাউতপাড়া দূর্গামন্দির, ছোট ডঙ্গল কালী মন্দির, লক্ষ্মীপুর কালী মন্দির,  রায়বাঘিনী ধর্ম মন্দির, গোঘাট স্বরুপ নারায়নের মন্দির, বালি হালদার পাড়া শিব মন্দির, শুনিয়া বারোয়ারি শিবমন্দিরগুলি সংরক্ষণের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। পর্যটন দপ্তরের নির্দেশে জেলা প্রশাসন ব্লক প্রশাসনকে বিস্তারিত রুপরেখা তৈরি করে পাঠাতে বলে। ব্লক প্রশাসনের তরফে সেই  রূপরেখা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপরেও কাজের কোনও অগ্ৰগতি হয়নি। গোঘাটের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, বিধায়ক থাকাকালীন মন্দির ও মাজারগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৩ টি মন্দির ছাড়াও সৈয়দ শাহ ইসলাম গাজি বড় আস্তানা, ইসমাইল গাজি গঞ্জ লস্কর ছোট আস্তানা ,সকুন জলা মাজার , এনায়েত শাহ আলি মাজার সংরক্ষণ জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। দুই বছরের বেশি সময় পেরিয়ে যাবার পরেও কাজগুলো শুরু হয়নি। দ্রুত সংরক্ষণের কাজ শুরু করা না গেলে এই স্থাপত্যগুলো রক্ষা করা যাবে না। গোঘাট -১ ব্লকের বিডিও সম্রাট বাগচী বলেন, মন্দিরগুলো সংস্কার করার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে এখনও কোনও নির্দেশিকা আমাদের কাছে আসেনি। একমাত্র ভারতীয় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার তরফে বালি রাউতপাড়া দুর্গামন্দির এলাকায় একটা ফলক বসানো হয়েছে।  গোঘাট -২ ব্লকের বিডিও দেবাশীষ মন্ডল বলেন , প্রাচীন এই স্থাপত্য সংরক্ষণে দক্ষ কারিগর দরকার।  বিষয়টি নিয়ে উচ্চ কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশ এলেই কাজ শুরু হবে। 

9th     June,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ