বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

৫-৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে চম্পা, হিমসাগর, রানিপসন্দ
মুর্শিদাবাদে পাইকারি বাজারে আমের
দাম তলানিতে, চাষিদের মাথায় হাত

 

সংবাদদাতা, লালবাগ: জলের দরে বিকচ্ছে গাছপাকা আম। এবার চম্পা, হিমসাগর, রানিপসন্দ, গোলাপখাস, বিমলি, বিরা, বোম্বাইয়ের মতো সুস্বাদু ও রসালো প্রজাতির আমেরও কদর নেই। গত কয়েকদিন ধরে পাইকারি বাজারে স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় চম্পা সাত-ন’টাকা, হিমসাগর পাঁচ-সাত টাকা এবং রানিপসন্দ, বিমলি, বিরা প্রভৃতি প্রজাতির আম চার-পাঁচ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরো বাজারে দাম চার-পাঁচটাকা করে বেশি। দাম না থাকায় অনেক আমচাষি বাগানে যাচ্ছেন না। 
আম পেকে গাছেই ঝুলছে। মাঝেমধ্যে পাকা আম মাটিতে পড়ছে। বাগানে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। আম কুড়তে কারও দেখা মিলছে না। সোমবার সকালে লালবাগ-বহরমপুর রাজ্য সড়কের পাশে জমিতে কয়েক কুইন্টাল পাকা আম পড়ে থাকতে দেখা যায়। অথচ চলতি বছরে গাছভর্তি আম দেখে মুখে চওড়া হাসি ফুটেছিল আম চাষিদের। ভালো লাভের আশায় বুক বেঁধেছিলেন তাঁরা। কিন্তু প্রচুর ফলনে আমের দাম না থাকায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। নবাবের জেলা মুর্শিদাবাদ আমের জন্য বিখ্যাত। আম চাষিদের দাবি, এখনও এই জেলায় শতাধিক প্রজাতির আম মেলে। গতবছর অফ ইয়ারে আমের ফলন ছিল খুব কম। কিন্তু চলতি বছরে আমের অন ইয়ারে রেকর্ড ফলন হয়েছে। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে তীব্র গরম। তাপমাত্রা ৪০ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করায় হিমসাগর, চম্পা, রানিপসন্দ, বিমলি প্রভৃতি প্রজাতির আম পাকতে শুরু করে। চাহিদার তুলনায় বাজারে জোগান কয়েকগুণ বাড়ায় দাম তলানিতে। জিয়াগঞ্জের রায়চাঁদপুরের বিশ্বনাথ মণ্ডল তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাগান লিজ নিয়ে আম চাষ করছেন। বিশ্বনাথবাবু বলেন, এবছর পোকার উপদ্রব ও সেভাবে ঝড়বৃষ্টি হয়নি। ফলে ভালো ফলন হয়েছে। জোগান বাড়ায় হিসসাগর, চম্পার মতো উৎকৃষ্ট প্রজাতির আম পাঁচ-সাত টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এরকম আমের বাজার আগে কখনও দেখিনি। 
লালবাগের আমচাষি নজরুল শেখ বলেন, বৈশাখের শেষের দিকে আম বিক্রি করে কিছু টাকা পেয়েছিলাম। প্রত্যেকটি গাছে আম পেকে হলুদ হয়ে গিয়েছে। আম পাড়তে একজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরি চারশো টাকা। পাইকারি বাজারে এক কু‌ইন্টাল আম বিক্রি করে ৪০০-৫০০টাকা পাওয়া যাবে। তার উপর বাজারে নিয়ে যাওয়ার খরচ রয়েছে। সবমিলিয়ে এক কুইন্টাল আম বাজারে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মোট খরচ ৫০০-৬০০ টাকা। তাই কয়েকদিন ধরে বাগানের দিকে যাচ্ছি না। কালিকূপের অরূপ মণ্ডল ৫০হাজার টাকায় একটি আমবাগান লিজ নিয়েছিলেন। অরূপ বলেন, আমের ভারে গাছ নুয়ে পড়েছে। ভালো লাভের আশায় স্ত্রী ও মেয়ের গয়না বন্ধক রেখে বাগান লিজ নিয়েছিলাম। এখন যা অবস্থা লাভ তো দূরের কথা, আসল টাকাই উঠবে না। তবে আম সস্তা হওয়ায় অনেকেই খুশি। বড় এক ব্যাগ আম কিনে বাড়ি ফিরছিলেন রতন পাল। মুচকি হেসে বললেন, আম ব্যাপক সস্তা। তাই এখন তিনবেলাই আম খাচ্ছি। তবে আম চাষিদের জন্য খারাপ লাগছে।

6th     June,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ