বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

অফিস-কাছারিতেও ভিড় নেই, গঙ্গার ঘাটে ভিড়
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস
জেলাজুড়ে বন্‌ধের চেহারা

নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: মারমুখী মেজাজে ব্যাট চালিয়েই যাচ্ছে গ্রীষ্মের রোষ। আর তার কোপে পড়ে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে জেলা। বেলা বাড়তেই শুনশান রাস্তাঘাট। যেন অঘোষিত বন্‌ধ চলছে। বৃহস্পতিবার ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছড়িয়েছে জেলার তাপমাত্রা। আগের দিন বুধবারও তীব্র তাপপ্রবাহ চলেছে জেলাজুড়ে। তার থেকে বাঁচতে বেলা বাড়লেই মানুষজন রাস্তায় কম বেরচ্ছেন। সকালে ও দুপুরে বাজারেও মানুষের দেখা মিলছে না। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের অফিস ও আদালতেও মানুষের ভিড় নেই। তাপপ্রবাহের মধ্যে খুব দরকার ছাড়া কেউ যাতে বাড়ির বাইরে না বেরন, সেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। দাবদাহ থেকে বাঁচতে ভাগীরথীর ঘাটে ভিড় জমিয়েছেন। সকাল থেকে ভাগীরথীর ঘাটগুলিতে মানুষের স্নান করার প্রবল উৎসাহ। গরমের বিরুদ্ধে লড়তে দীর্ঘক্ষণ জলে ডুবে থাকছেন বাসিন্দারা। তবে গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। বহু মানুষকে জল কিনে খেতে হচ্ছে।  মুর্শিদাবাদ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ (কৃষি ও আবহাওয়া) সাগ্নিক দাস বলেন, বুধবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  ওইদিন বেলা ১ টা ১৫ নাগাদ এই তাপমাত্রা অনুভূত হয়। 
বুধবারের থেকে বৃহস্পতিবার আরও বেশি তাপ অনুভূত হয়। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ার জন্য তাপপ্রবাহ বাড়ছে। জমিতে জলসেচ দিয়ে ফসল বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন চাষিরা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় লু বইছে। গত এক সপ্তাহে জেলায় কোথাও বৃষ্টি হয়নি। এখন বৃষ্টির আশায় হাপিত্যেশ করে মানুষ দিন গুনছেন। 
বেলা বাড়লেই আগুনের মতো হাওয়ার হলকায় প্রবল অস্বস্তিকর অবস্থা। মানুষজন রাস্তায় কম বেরচ্ছেন। শুষ্ক গরমে দুপুরের দিকে অস্বস্তি আরও বাড়ে। বহরমপুরে বাসিন্দা নিলয় গুপ্ত বলেন, রাস্তায় বেরিয়ে মনে যেন শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এত গরমে এমন শুকনো আবহাওয়া যে, কোনও ঘাম হচ্ছে না। অসুস্থ হয়ে পড়ছি। রাস্তাঘাটে লোকজন কম। যেন বন্‌঩ধের চেহারা নিয়েছে। রানিবাগানের বাসিন্দা সোমলতা দাস বলেন, তীব্র গরমে বাড়ির বাইরে বেরনো যাচ্ছে না। এত গরমের মধ্যেও লোডশেডিংয়ের ঘটনায় বিপত্তি বাড়ছে। কয়েকদিন টানা বৃষ্টি না হলে, এই গরম কমবে বলে মনে হয় না। তীব্র গরমে হরিহরপাড়া, নওদা, জলঙ্গি, ডোমকল, সামশেরগঞ্জ, সুতি, ফরাক্কা এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা শুরু হয়েছে। ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যত গরম বাড়ছে, জলের সমস্যা বাড়ছে। অধিকাংশ মানুষ জলের ব্যারেল কিনে জল পান করেন। যাঁদের সামর্থ্য নেই, তাঁরা গ্রামের কলের জল পান করেন। গ্রীষ্মে জলস্তর নেমে যাওয়ায় গ্রামের কল থেকে জল উঠছে না। 
চাষের জমিতে লাগাতার জলসেচ দিতে হচ্ছে। একটি সেচ দেওয়ার পরেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জমিতে আবার সেচ দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তীব্র দাবদাহে মাঠে জল ধরে রাখতে পারছেন না চাষিরা। বারবার সেচ দিয়ে ফসল বাঁচাতে সেচের খরচ বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। 
নওদার পাট চাষি শরিফ আলি বলেন, এভাবে সম্ভব নয়। সকালে সেচ দিলে বিকেলে জমিতে টান ধরছে। কীভাবে ফসল বাঁচাব, জানি না। পাট গাছ এখন বেশ লম্বা হয়েছে। তাই ভালো জলের প্রয়োজন হচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়ায় ভারী সেচ দিয়ে জমি ভিজিয়ে রাখতে হচ্ছে। নাহলে পাটের বৃদ্ধি থমকে যেতে পারে।  তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে মুখ ঢেকে পথে দুই তরুণী।-নিজস্ব চিত্র

2nd     June,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ