বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

দূষণের জের,
ছাড়িগঙ্গায় মাছের মড়ক

সংবাদদাতা, কাটোয়া: পূর্বস্থলীর ছাড়িগঙ্গায় শুরু হয়েছে মাছের মড়ক। গত চার দিন ধরে বড় বড় মাছ মরে জলে ভেসে উঠছে। মাছের মড়ক নিয়ে এলাকায় মৎস্যজীবীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বর্তমানে ছাড়িগঙ্গা কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে। জলের স্রোত কমে যাওয়ায় পানা পচে যাচ্ছে। এভাবে মাছ মরার জন্য জলের দূষণকেই প্রাথমিকভাবে দায়ী করছেন মৎস্যজীবীদের একাংশ। ছাড়িগঙ্গার ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। চার থেকে পাঁচ কেজি ওজনের রুই, কাতলা মাছ মরে ভেসে উঠছে। বৃহস্পতিবার মৎস্য দপ্তরের আধিকারিক ছাড়িগঙ্গা পরিদর্শন করেন। কালনার মহকুমা শাসক সুরেশকুমার জগৎ বলেন, আমি বিষয়টি এখনই খোঁজ নিচ্ছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলী-১ ও ২ ব্লক জুড়ে বয়ে গিয়েছে ছাড়িগঙ্গা। চুপি, রাজারচর এলাকায় ফিবছর ছাড়িগঙ্গায় প্রচুর পরিযায়ী পাখি আসে। কিন্তু পূর্বস্থলী-২ ব্লকের থানারঘাট, পূর্বস্থলী-১ ব্লকের জাহান্নগর অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা, নবপল্লি ঘাট, মাধাইপুর ঘাটে গত কয়েকদিন ধরে প্রচুর মাছ মরে ভেসে উঠছে। এনিয়ে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের দাবি, পূর্বস্থলীর ছাড়িগঙ্গায় জলের স্রোত কমেছে। কারণ মূল গঙ্গা থেকে জল আর সেভাবে ঢুকছে না। যার ফলে জলে কচুরিপানা, শ্যাওলা পচে যাচ্ছে। কার্যত অক্সিজেন কমে যাওয়ায় জলে গ্যাস হচ্ছে। এরফলে মাছ মরতে পারে। নবদ্বীপের প্রতাপনগরের দিকে ছাড়িগঙ্গায় অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ দেওয়ায় মূল গঙ্গা থেকে জল আর ছাড়িগঙ্গায় ঢুকছে না। তাছাড়া কাষ্ঠশালীর দিকেও মূল গঙ্গা থেকে জল ঢোকার মুখ সংস্কারের অভাবে মজে গিয়েছে। 
মৎস্যজীবী সুবল হালদার, শান্তিরাম হালদার বলেন, আমরা প্রায় ২০০ জন স্থানীয় মৎস্যজীবী ছাড়িগঙ্গায় মাছ ধরে সংসার চালাই। কয়েকদিন ধরে মাছ মরে যাওয়ায় খুবই চিন্তায় আছি। জাহান্নগর পঞ্চায়েতের প্রধান সুভাষ ঘোষ বলেন, আমরা বিডিওকে বিষয়টি জানিয়েছি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাড়িগঙ্গায় যান কালনা-১ ব্লক মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় দেবনাথ। তিনি বলেন, ছাড়িগঙ্গায় প্রচুর পানা রয়েছে। সেভাবে মূল গঙ্গা থেকে জল ঢুকছে না। ফলে পানা পচে গিয়ে গ্যাস হয়ে যাচ্ছে। তাতেই হয়তো মাছ মরে যাচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব জানিয়েছি। পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর চুপি পাখিরালয় রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে। এখানে বছরের বিভিন্ন সময় প্রায় ২৪০টি প্রজাতির পাখির দেখা মেলে। নানা প্রজাতির মাছও রয়েছে এখানে। কিন্তু ছাড়িগঙ্গায় জল ঢোকা বন্ধ হলে আগামী দিনে তা শুকিয়ে যেতে পারে। ফলে পাখি আসাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  নিজস্ব চিত্র

2nd     June,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ