বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

আসেননি পরিযায়ী শ্রমিকরা
আবাস প্লাসে লক্ষ্যপূরণ অধরা

সংবাদদাতা, কৃষ্ণনগর: পরিযায়ীরা আসতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ২০২২-২৩  আর্থিকবর্ষে বাংলা আবাস প্লাসে ৫১ হাজার ঘরের অনুমোদন দিতে পারল জেলা প্রশাসন। প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩  আর্থিক বর্ষে বাংলা আবাস প্লাসের প্রথম ইনস্টলমেন্টে নদীয়া জেলার ঘর পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা চারটি মহকুমায় প্রথমে দেওয়া হয়েছিল ৪৮ হাজার ৪৬৬। পরে তা বেড়ে হয় ৫২ হাজার ৬১২। ইতিমধ্যে বাংলা আবাস প্লাসে প্রায় ৬৫ হাজার উপভোক্তার নাম বাদ পড়েছে। সংশোধন হওয়া পর এই মুহূর্তে পার্মানেন্ট ওয়েট লিস্টে নাম দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৭২ হাজার। বাংলা আবাস প্লাসে লক্ষ্য পূরণের জন্য  ৩৮৫ জন ভূমিহীন ও  ২৫৮৫ জন পরিযায়ী উপভোক্তার ঘর দেওয়া বাকি। এই অবস্থায় শেষ তিন সপ্তাহ ধরে জেলা প্রশাসনের কর্তারা ছোটাছুটি করে যোগাযোগ করেছেন এই উপভোক্তাদের সঙ্গে। তাঁদের কাগজপত্র পাওয়ার জন্য কন্ট্রোল রুম থেকে ফোন করেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। যাতে এই উপভোক্তারা ঘর পান। তবে কেন্দ্রের নির্দেশ মতো ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত  ঘরের অনুমোদন দেওয়ার হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রায় ভিনরাজ্যে কর্মরত ১৬০০ উপভোক্তা আসতে পারেননি। প্রশাসনের কর্তারা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাঁরা আসতে পারেননি। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৪৬ হাজার ঘরের অনুমোদন দিতে পেরেছে জেলা প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫১ হাজার ঘরের অনুমোদন দেওয়া গিয়েছে। এবার নদীয়া জেলা সব থেকে বেশি ঘরের কোটা পেয়েছে। এছাড়া এবারই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকার থেকে উপভোক্তা ক্রম তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাঁর নাম অনুমোদন হয়েছে তাঁকেই দিতে হবে। ফলে নির্ভুল ভাবে কাজটি করতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে উপভোক্তার নাম অনুমোদন করতে সময়ও একটু বেশি লেগেছে। ২০১৭-২০১৮ সালেই আবাস প্লাসের তালিকা হয়েছে। তারপর দীর্ঘ সময় পর অঙ্গনওয়াড়ি, ভিলেজ পুলিস, আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাজ করেছেন। ফের আবাস প্লাসের তালিকা সংশোধন করতে গিয়ে ধরা পড়েছে অনিয়ম। এ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঝামেলা গন্ডগোল ভাঙচুরও ঘটে গিয়েছে। তারপরও জেলা প্রশাসন নির্ভুল ভাবে সংশোধনের কাজ, রেজিস্ট্রেশনের কাজ করেছে। ২০২২-২৩ আর্থিকবর্ষে বাংলা আবাস প্লাসে প্রথম ইনস্টলমেন্টে নদীয়া জেলার ঘরের অনুমোদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য ব্লকে ব্লকে কর্মী থেকে আধিকারিকরা কাজ করে চলেছেন। তবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। পরে ঘরের কোটা এলেই ফের ঘর অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানাগিয়েছে। এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) কৃষ্ণাভ ঘোষ বলেন, প্রশাসন থেকে উপভোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। অনেকে আসতে পারেননি। ৫১ হাজার উপভোক্তার ঘরের অনুমোদন দেওয়া গিয়েছে।

6th     February,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ