বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

স্কুলছুট রুখতে নিজের অর্থ ব্যয়ে
পড়ুয়াদের নিয়ে পিকনিক শিক্ষিকার

 

সংবাদদাতা, তেহট্ট: তেহট্ট বিধানসভার নন্দনপুর এলাকায় শান্তিপুর জুনিয়র হাইস্কুল শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে। একজন মাত্র শিক্ষিকা নিয়ে ওই স্কুল চলছে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা মোটে ৫২। ছাত্রছাত্রী আর যাতে না কমে তার জন্য অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন ওই স্কুলের শিক্ষিকা নীপা গোলদার। তিনি মাঝে মাঝেই ছুটির দিনে স্কুলের সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পিকনিক করেন। নিজের অর্থ ব্যয় করেই এই পিকনিক করেন। ছেলেমেয়েরা সকলে এই পিকনিকে যোগ দেয়। এই পিকনিকের শর্ত হল, কোনও দিন স্কুল কামাই করা যাবে না। এই শর্তেই ছাত্রছাত্রীরা এই পিকনিকে অংশগ্রহণ করতে পারে। আবার সেই দিন সেই মাসে যাঁদের জন্মদিন পরে তাও পালন করা হয়। 
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, অনেক আশা নিয়ে এই স্কুল তৈরি হয়েছিল এলাকার ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্য। যেখানে থাকার কথা প্রধান শিক্ষক সহ পাঁচজনের। সেখানে একজন শিক্ষিকা। তাঁকেই মিড ডে মিল থেকে এসআই অফিস সব জায়গায় যেতে হয়। একটি ঘরে সব শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে তিনি ক্লাস করেন। এই অবস্থায় যাতে কোনও ছাত্রছাত্রী স্কুল ছেড়ে চলে না যায় তাই এই উদ্যোগ। তাতে সাড়া মিলিছে। ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন স্কুলে আসছে। স্কুলছুট নেই। এই বিষয়ে ছাত্রছাত্রীরা বলে, আমাদের দিদিমনি খুব ভালো। আমাদের শিক্ষক দরকার, তবু একটি ঘরে আমাদের একসঙ্গে ক্লাস হলেও আমাদের কোনও সমস্যা হয় না। আর সব থেকে ভালো করোনার পর স্কুল শুরু হওয়া থেকে মাসে একটি ছুটির দিনে সব ছাত্রছাত্রী নিয়ে পিকনিক।  সেটা স্কুলেই হয়। সেই সঙ্গে চলে বিভিন্ন ধরনের খেলা, আবৃত্তি, গানের প্রতিযোগিতা। তাতে যারা প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হয় তাদের পুরস্কার দেন দিদিমণি। নিপা গোলদার বিশ্বাস বলেন, এটা অজ গ্রাম। এখানে যাতে শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে কারও লেখাপড়া বন্ধ না হয় তারজন্য আমার এই প্রচেষ্টা। এতে সমস্ত ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে। তবে তাদের কাছে শর্ত থাকে, স্কুল কামাই চলবে না। আর লেখাপড়া মন দিয়ে করতে হবে। এই দিনটি আমরা আনন্দে কাটে।
এলাকার বাসিন্দা বিকাশ জোয়ারদার বলেন, এই স্কুলে একজন দিদিমণি। তাও যাতে কেউ স্কুল কামাই না করে বা বন্ধ না করে সেই দিকে খেয়াল রেখে তিনি স্কুল চালান। আমরা বিভিন্ন জায়গায় দাবি করেছি প্রয়োজন মতো শিক্ষক দিতে। এই বিষয়ে এ আই মনোতোষ বিশ্বাস বলেন, আমরা বিষয়টি ওপর মহলে জানিয়েছি। আশাকরি এই সমস্যা মিটে যাবে। 

7th     October,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ