বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

পুজোর পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজে
দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে অন্নপূর্ণা বারোয়ারি

অগ্নিভ ভৌমিক, কৃষ্ণনগর: পুজোর পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে অন্নপূর্ণা বারোয়ারি। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে তারা এভাবে পথ চলে আসছে। সরস্বতী পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোর মাধ্যমেই এলাকায় খ্যাতি কুড়িয়েছে অন্নপূর্ণা বারোয়ারি। শুধুমাত্র নিজের পাড়া থেকে চাঁদা তুলেই পুজো করা হয়। কখনও কখনও আবার সেই চাঁদাটুকুও তোলা হয় না। ক্লাবের সদস্যরাই অল্প অল্প পয়সা সারা বছর ধরে জমিয়ে পুজোর আয়োজন করে থাকে। এভাবে শহরের বারোয়ারিদের মধ্যে অদ্বিতীয় হয়ে উঠেছে রাধানগরের অন্নপূর্ণা বারোয়ারি।
সালটা ১৯৯৫। তখনও রাধানগর এলাকায় বসতি গড়ে ওঠেনি। ফাঁকা চারপাশ। শূন্য জমি। সেখানেই অন্য জায়গা থেকে কিছু মানুষের বসতি গড়ে ওঠে। বাবু দত্ত, স্বপন পাল, ফকির পাল, নেপাল দত্ত, আনন্দ অধিকারীরাই ছিলেন ওই এলাকার প্রথম বসতি। তাঁরাই ক্লাবের প্রাণপুরুষ। অন্নপূর্ণা বারোয়ারির পথ চলা তাঁদের হাত ধরেই শুরু হয়। এলাকায় উৎসবের আমেজ তৈরির জন্য বারোয়ারির প্রতিষ্ঠা করা হয়। তখন থেকেই নিয়মিত বছর বছর ধরে সরস্বতী পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে আসছে। যাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষ আনন্দে মেতে ওঠেন। তবে শুধু উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠা নয়, সেই সময় সমাজ সেবামূলক কাজেও নিজেদের নিয়োজিত করেন ক্লাবের সদস্যরা। গরিব মানুষকে বস্ত্র বিলি, রক্তদান শিবিরের মতো বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আশেপাশের এলাকার বহু মানুষও তখন এখানে ভিড় করেন। অন্নপূর্ণা বারোয়ারির উৎসবে তাঁরাও শামিল হন। এছাড়াও সারা বছরই এলাকার মানুষের বিভিন্নভাবে পাশে থাকেন বারোয়ারির সদস্যরা। কেউ বিপদে পড়লেই পাশে এসে দাঁড়ায় অন্নপূর্ণা বারোয়ারি। চিকিৎসার প্রয়োজন পড়লে ব্যবস্থা করে দেওয়া, অর্থ দিয়েও সাহায্য করা হয়। তাই এলাকার মানুষের কাছে অন্নপূর্ণা বারোয়ারি এক আবেগের নাম। তবে আক্ষেপ রয়েছে বারোয়ারির সম্পাদক রাজকুমার দত্তর। তিনি বলেন, আমাদের চারপাশে পুরসভা এলাকা। কিন্তু, আমাদের অংশটুকুই পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে গিয়েছে। তাই বিভিন্ন পরিষেবা থেকে আমরা বঞ্চিত হই। 
বরোয়ারির সভাপতি অর্জুন দত্ত বলেন, বারোয়ারির কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, তা আমরা দেখছি। বর্তমানে অন্নপূর্ণা বারোয়ারির সদস্য সংখ্যা ৭৫। যদিও পাড়ার সবাইকেই অন্নপূর্ণা বারোয়ারির সদস্য হিসেবে মনে করা হয়। মানুষের মনের মণিকোঠায় রয়েছে এই বারোয়ারি। সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এক সুতোই সবাইকে বেঁধে রেখেছে। করোনাকালে মানুষের পাশে ছিল এই বারোয়ারি। বিভিন্নভাবে সাহায্য করা হয়েছিল। আগামী দিনে মানুষের পাশে থাকবে এই বারোয়ারি।
বারোয়ারির সম্পাদক বলেন, আমাদের বারোয়ারি একটা পরিবারের মতো। সরস্বতী পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো বছর বছর করা হয়। বেশিরভাগ সময় পুজোয় চাঁদা তোলা হয় না। তবে কখনও প্রয়োজন পড়লে পাড়ায় মিলেমিশে চাঁদা তুলে পুজো করা হয়। আমরা বাইরে গিয়ে চাঁদা তুলি না। পুজোর সময় বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজ করা হয়। রক্তদান শিবির, বস্ত্র বিলি করা হয়। এছাড়াও সারা বছর বিভিন্নভাবে আমরা জনসংযোগ বজায় রাখি। মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ায়। আমাদের ক্লাব শুরুই হয়েছিল এই উদ্দেশ্য নিয়ে। যা আজও বজায় রয়েছে। আগামী দিনেও তা বজায় রাখতে বারোয়ারির সদস্যরা বদ্ধপরিকর।

15th     August,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ