বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

দইয়ের হাঁড়ি ও ভাঁড়ের চাহিদা বেড়েছে
 প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে খুশি পালপাড়ায়

সংবাদদাতা, কান্দি: প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধের নির্দেশে খুশির হাওয়া খড়গ্রাম ব্লকের পুড়াপাড়া গ্রামের পালপাড়ায়। মাসখানেক আগেও ওই পাড়ার মৃৎশিল্পীদের তৈরি মাটির সামগ্রী বিক্রি করার জন্য হন্যে হয়ে দোকান খুঁজতে হতো। তবে এবার দিন বদলেছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্লাস্টিক বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন মাটির তৈরি দইয়ের হাঁড়ি কেনার জন্য দোকান মালিকরাই শিল্পীদের বাড়িতে আসছেন।
প্রসঙ্গত, ওই ব্লকের পদমকান্দি পঞ্চায়েতের অধীনে রয়েছে গ্রামটি। গ্রামের পালপাড়ায় বাস করেন প্রায় ২০০টি পরিবার। তাঁদের অধিকাংশ মাটির তৈরি সামগ্রীর পেশার সঙ্গে যুক্ত। তবে প্লাস্টিক ব্যবহার শুরু হওয়ার পরই তাঁদের পেশায় কোপ পড়ে। কয়েক দশক ধরে পেশায় মন্দাভাব দেখা যায়। বাধ্য হয়ে বাসিন্দাদের একাংশ ভিন্ন পেশায় চলে যান। কারণ মাটির তৈরি সামগ্রী আর বিক্রি করা যাচ্ছিল না। ওই পাড়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ পাল বলেন, ২০ বছর আগেই প্লাস্টিকের দাপটের কারণে আমাদের পেটে কোপ পড়েছিল। আমার পরিবারও মাটির সামগ্রী তৈরির পেশায় ছিল। সেই সময় বাধ্য হয়ে পেশা বদল করতে হয়। আমি একটি স্টেশনারি ব্যবসা খুলে বসি।
তবে এখন সেখানকার বাসিন্দাদের দিন বদলেছে। কিছুদিন হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় প্লাস্টিক বন্ধে বেশ কড়াকড়ি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি জরিমানাও করা হচ্ছে। তার ফলেই বাসিন্দারা প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার এক প্রকার বন্ধ করে দিয়েছেন। খড়গ্রাম বিডিও বাপি ধর জানান, এলাকায় প্লাস্টিক বন্ধ করার জন্য আমরা প্রচারের পাশাপাশি অন্যান্য পদক্ষেপ নিয়েছি। তবে মানুষ সচেতন হচ্ছেন। অনেকেই প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছেন।
গৃহবধূ গীতা পাল বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে মাটির সামগ্রী তৈরি করে আসছি। টিমটিম করে ব্যবসা চলছিল। কিন্তু কিছুদিন হল হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে দইয়ের হাঁড়ি ও ভাঁড়ের চরম চাহিদা রয়েছে। দরও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
শিল্পীরা জানান, তাঁদের তৈরি দইয়ের হাঁডি জেলার জয়পুর নগরগ্রাম শেরপুর ছাড়াও বীরভূমের বিষ্ণুপুর ও রামপুরহাটে যাচ্ছে। তার উপর দরও কিছুটা বেড়েছে। ন’টাকার হাঁড়ি বিকোচ্ছে ১১ টাকা দরে।
গূহবধূ সম্মানি পাল বলেন, প্রায় ১৩ বছর ধরে এই কাজ করছি। স্বামী দোকানে গিয়ে হাঁড়ি দিয়ে আসতেন। এবার খোদ দোকান মালিক বাড়িতে চলে আসছেন সময়মতো হাঁড়ি না পেয়ে। ওই পাড়ার বাসিন্দা বুদ্ধদেব পাল বলেন, মাটির হাঁড়ির চাহিদা ও বিক্রি বাড়ায় কয়েক দশক ধরে ধুঁকতে থাকা গ্রামের মৃৎশিল্পীরা আবার আশার আলো দেখছেন।  খড়গ্রাম ব্লকের পুড়াপাড়া গ্রামের পালপাড়ায় দইয়ের হাঁড়ি তৈরি করছেন মহিলা মৃৎশিল্পীরা।-নিজস্ব চিত্র

12th     August,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ