বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

আলু লোডিংয়ের পুরো
টাকা দিতে হবে চাষিকে
আরামবাগে হিমঘর কর্তৃপক্ষের নোটিসে ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: আলু লোডিংয়ের পুরো টাকা দিতে হবে চাষিকে। হিমঘর মালিকদের এমন ফতোয়ায় আরামবাগে ক্ষোভ বাড়ছে চাষিদের। আরামবাগে হিমঘর আলু সংগঠনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, আলু লোডিংয়ের ২৫ শতাংশ খরচ হিমঘর মালিকরা এবার থেকে বহন করবে না। লোডিংয়ের পুরো খরচ বহন করতে হবে আলু সংরক্ষণকারীদের। এই বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকেই সঙ্কটের মুখে পড়েছেন আরামবাগের আলু চাষিরা। বুধবার আরামবাগ মহকুমার পাঁচটি হিমঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। 
২০২০ সালে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে আলু সংরক্ষণকারী ও হিমঘর মালিকদের একবছরের চুক্তি অনুযায়ী হিমঘর থেকে আলু লোডিংয়ের জন্য চাষিদের ৭৫শতাংশ ও হিমঘর মালিকদের ২৫ শতাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। করোনা মহামারীর কারণে প্রশাসনের আবেদনে সেই চুক্তির সিদ্ধান্ত নতুন করে আরও একবছর বাড়ানো হয়। নতুন চুক্তির জন্য মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী জুন মাসে দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার আগেই হিমঘর মালিকদের একতরফা এই বিজ্ঞপ্তিতে প্রশ্ন উঠছে। প্রশাসনের নির্দেশ না মেনে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন আলু সংরক্ষণকারীরা। আরামবাগের এসডিও হাসিন জাহেরা রিজভি বলেন, বিষয়টি দেখছি।
করোনা পরবর্তী বিপর্যয় ও গত বছরের বন্যায় বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েন আরামবাগের আলু চাষিরা। গতবছরের বন্যায় প্রথমবারের আলু চাষ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয় যায়। দ্বিতীয়বার আলু চাষ করা হলেও আশানুরূপ ফলন হয়নি। যেটুকু আলু উৎপাদন হয়েছিল সেই আলু বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করেছেন আরামবাগের আলুচাষিরা। এরই মাঝে হিমঘর মালিকদের লোডিংয়ের টাকা সম্পূর্ণ বহন করার বিজ্ঞপ্ততিতে তাঁরা অথৈ জলে পড়েছেন। 
আরামবাগের হরাদিত্য এলাকার আলু চাষি তারক রায়গুপ্ত বলেন, গতবারের বন্যায় আলু চাষ করতে গিয়ে আমরা বিপুল লোকসানের মুখে পড়েছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে হিমঘরে আলু রাখার জন্য যে টাকা আমাদের কাছ থেকে নেওয়া হতো তার মধ্যেই থাকত লোডিংয়ের খরচ। এরপরেও ২০২০ সাল থেকে আমরা লোডিংয়ের জন্য ৭৫ শতাংশ দিচ্ছি। বাকি ২৫ শতাংশ হিমঘর মালিক পক্ষ দিচ্ছিল। এখন বলছে, বাকি ২৫ শতাংশও আমাদের দিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের আন্দোলনে নামা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
আরামবাগের এক হিমঘরের মালিক অরূপকুমার বসু বলেন, ২০২০সালে আলু সংরক্ষণকারী, হিমঘর মালিক, স্থানীয় প্রধান ও তাঁর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আলোচনায় ঠিক হয়, আলু লোডিংয়ের জন্য আমরা ২৫ শতাংশ ও আলু সংরক্ষণকারীরা ৭৫ শতাংশ দেবেন। ২০২১ সাল পর্যন্ত এই চুক্তি হয়। ২০২১ সালে করোনা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণেই আরামবাগ এসডিওর আবেদন সেই সময় আমরা এই চুক্তি আরও একবছর মেনে চলার সিদ্ধান্ত নিই। এবছর আরামবাগ এসডিও জুন মাস পর্যন্ত এটা চালিয়ে যেতে বলেন। আমারা সঙ্গে সঙ্গে জানাই, আমাদের পক্ষে এই চুক্তি মেনে চলা সম্ভব নয়। বিষয়টি জেলাশাসককে জানানো হয়। ২০০৫ সালের সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী এবার থেকে আমরা শুধুমাত্র হিমঘরের চেম্বার থেকে শেড পর্যন্ত আলু ভরা ও বের করার খরচ বহন করব। লোডিংয়ের ব্যয় আর বহন করা হবে না।
পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য সুজিত বসু বলেন, প্রশাসন আগামী জুন মাস পর্যন্ত এই চুক্তি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল। সেটা না মেনেও হিমঘর আলু সংগঠনের সদস্যরা গায়ের জোরে লোডিংয়ের পুরো টাকা বহন না করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হবে। 

26th     May,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ