বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

নবগ্রামে জাতীয় সড়কে একের পর এক দুর্ঘটনায় মৃত্যু, উদ্বেগ

সংবাদদাতা, লালবাগ: নবগ্রাম থানার মেহেদিপুর থেকে আয়রা পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক রীতিমতো ‘অ্যাক্সিডেন্ট জোন’ হয়ে উঠেছে। ১৭-২২ জানুয়ারির মধ্যে চারটি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে এবং জখম হয়েছেন কুড়ি জনেরও বেশি। ঘন ঘন দুর্ঘটনার জন্য গাড়িগুলির বেপরোয়া গতি ও স্থানীয় বেহাল ট্রাফিক ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানি এড়াতে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বিভিন্ন স্তরের মানুষ ৩৪  নম্বর জাতীয় সড়কে পুলিস প্রশাসনের লাগাতার পেট্রলিং এবং নজরদারির দাবিতে সরব হয়েছেন। লাগাতার দুর্ঘটনায় নবগ্রাম থানার পুলিস জাতীয় সড়কে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচি জোরদার করেছে এবং নজরদারি বাড়িয়েছে।  দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের প্রধান সড়ক মাধ্যম ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। এটি মুর্শিদাবাদ জেলার উপর দিয়ে মালদা হয়ে উত্তরবঙ্গের দিকে চলে গিয়েছে। নবগ্রাম থানার মেহেদিপুর টোলপ্লাজা থেকে আয়রা মোড় মোড় পর্যন্ত জাতীয় সড়কের মধ্যে গত কয়েকদিনের মধ্যে চারটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এক মহিলা সহ ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট ২১ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭ জানুয়ারি গভীর রাতে আয়রায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ছোটো চারচাকা গাড়ির সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মালদার কাতলামারির বাসিন্দা আনোয়ার শেখ নামে বছর আটাশের এক যুবকের মৃত্যু হয়। মৃত যুবক তার এক সঙ্গীকে নিয়ে কলকাতায় যাচ্ছিলেন। সঙ্গী যুবকও গুরুতরভাবে জখম হন। পরের দিন অর্থাৎ ১৮ জানুয়ারি বিকেলে মেহেদিপুর টোলপ্লাজা সংলগ্ন জাতীয় সড়কে একটি যাত্রীবোঝাই বেসরকারি বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসচালক ও এক মহিলা বাসযাত্রীর মৃত্যু হয়। আহত হন ১৫ জন বাসযাত্রী। ১৯ জানুয়ারি বিকেলে দক্ষিণগ্রামে একটি ট্রাক পিছন থেকে একটি পিকআপ ভ্যানকে ধাক্কা মারলে পিকআপ ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চারজন সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দেয়। এতে দুইজনের মৃত্যু হয়। পিকআপ ভ্যানে থাকা ৪ জন আহত হয়। ২২ জানুয়ারি ভোররাতে গোপগ্রামে একটি ডাম্পার ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। ঘটনায় ডাম্পার চালকের মৃত্যু হয় এবং খালাসি আহত হন। পলশন্ডার মোড়ের এক ব্যবসায়ী বলেন, মেহেদিপুর থেকে আয়রা মোড়ের মধ্যে পলশন্ডায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক পুলিস থাকে। বাকি অন্য জায়গায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া পুলিসের নজরদারিও থাকে না। ফলে গাড়িগুলি বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। যার পরিণতি মাঝে মধ্যে পথ দুর্ঘটনা এবং মৃত্যু। পাঁচগ্রামের বাসিন্দা রজত দাস বলেন, পুলিসের নজরদারি না থাকার জন্য বিশেষ করে পিকআপ ভ্যান সহ ছোট গাড়িগুলির মধ্যে গতির লড়াই চলে। অনেক গাড়ি অন্য ট্রাকে ঢুকে পড়ে ওভারটেক করার চেষ্টা করে। তখন বিপরীত দিক থেকে গাড়ি চলে এলেই বিপত্তি ঘটে। দুর্ঘটনা এড়াতে এই বিষয়গুলির উপর পুলিসের নজরদারি বাড়াতে হবে। নবগ্রামের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক জামাল হোসেন বলেন, উদ্বেগজনকভাবে পথ দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। পুলিস প্রশাসনকে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। নবগ্রাম থানার পুলিস আধিকারিক বলেন, বিশেষ পয়েন্টগুলিতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে। লাগাতার পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত সচেতনতা প্রচার চালানো হচ্ছে। জাতীয় সড়কে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। 

26th     January,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ