বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

বাঁকুড়ায় এখনও পর্যন্ত ৭৯ শতাংশ কাজ হয়েছে
রেশন কার্ডে আধার সংযুক্তি সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে সংশয়

নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণের কাজ সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭৯ শতাংশ কাজ হয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি রেশনের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণের শেষ তারিখ। তার মধ্যে আধার সংযোগ না হলে রেশন সামগ্রী থেকে বঞ্চিত হতে হবে উপভোক্তাদের। আধার সংযুক্তিকরণে শিশু ও বয়স্কদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় পড়েছে খাদ্য সরবরাহ দপ্তর। কেন না তাদের অনেকেরই আঙুলের ছাপ মিলছে না। 
খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ায় ৪২ লক্ষ ৮ হাজার ১০৯ জনের রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণের টার্গেট রয়েছে। বর্তমানে জেলায় এই সংখ্যক রেশন কার্ডও রয়েছে। তারমধ্যে গত ১৭ জানুয়ারির রিপোর্ট অনুযায়ী আধার সংযুক্তিকরণ হয়েছে ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৭৬৮জনের। বাঁকুড়ার খাদ্য নিয়ামক শেখ আলিমুদ্দিন বলেন, জেলায় এখনও পর্যন্ত ৭৯.০৮ শতাংশ মানুষের রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ হয়েছে। আপাতত অ্যাক্টিভ রেশন কার্ড রয়েছে ৪০ লক্ষ ৫২ হাজার ৬৪৫জনের। এই সংখ্যক কার্ড থেকেই প্রতি মাসে রেশন সামগ্রী পেয়ে থাকেন গ্রাহকরা। বাকি দেড় লক্ষ রেশন কার্ড বিভিন্ন কারণে ব্লক বা ডিঅ্যাক্টিভ হয়ে আছে। তবে তাঁরাও আধার সংযুক্তিকরণ করাতে পারবেন।
খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে রেশন দোকানেই আধার সংযুক্তিকরণের কাজ করা যাচ্ছে। তারসঙ্গে ফুড ইন্সপেক্টর অফিস ও বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে গিয়েও উপভোক্তারা রেশনের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ করাতে পারেন। কিন্তু, শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাঁদের নিয়ে বিপাকে পড়ছেন পরিবারের বাকি সদস্যরাও। 
অনেকের দাবি, বয়স্করা রেশন দোকানে বা ফুড ইন্সপেক্টরের অফিসে যাচ্ছেন। কিন্তু, ই-পস মেশিনে আঙুলের ছাপ দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা মিলছে না। ফলে হতাশ হয়েই তাঁদের বাড়ি ফিরে আসতে হচ্ছে। 
খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, বায়োমেট্রিক মেশিনে আঙুলের ছাপ না মিললে তাঁদের আধার সেন্টারে গিয়ে তা আপডেট করাতে হবে। তাছাড়া মোবাইলের সঙ্গে আধারের লিঙ্ক করালেও রেশনের সংযুক্তিকরণের কাজ হবে। কিন্তু, শিশুদের অনেকের আধার কার্ড না হওয়ার ফলেও এই কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে আধার কার্ড করানো বা সংশোধনের কাজে গিয়েও হয়রানির শিকার হচ্ছেন বাসিন্দারা। আধার কার্ডের জন্য বাঁকুড়া হেড পোস্ট অফিসে প্রায়দিনই আগের রাত থেকে লাইন পড়ছে। 
বাঁকুড়া জেলা রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক গুরুপদ ধক বলেন, যাঁদের রেশন কার্ড আছে, অথচ আধার কার্ড নেই, তাঁরা রেশন সামগ্রী পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া অনেকের আবার আঙুলের ছাপ মিলছে না। ফলে গ্রাহকদের পাশাপাশি ডিলাররাও বিরক্ত হচ্ছেন। আরও আধার কার্ড তৈরির সেন্টার হলে মানুষের হয়রানি কমতে পারে।
খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি বলেন, বাড়ির কোনও সদস্যের রেশনের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ থাকলেই প্রত্যেকে সামগ্রী পাবেন। তবে এই কাজে আধার কার্ড সংক্রান্ত সমস্যা সবচেয়ে বেশি। কেন্দ্রীয় সরকার আধার কার্ড তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়নি বলেই মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

26th     January,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ