বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

বিজেপিতে দৈন্যদশা ব্যাহত ভোট প্রস্তুতি
তিন পুরসভার নির্বাচনে দিশাহারা কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: রাজ্য বিজেপিতে চূড়ান্ত ডামাডোল পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তিন পুরসভা ভোটের প্রস্তুতি থমকে গিয়েছে। ভোট পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিটি ঘোষণা করতে পারছে না পদ্মশিবির। এই অবস্থায় হতাশ নিচুতলার কর্মীরা। তৃণমূল কংগ্রেস তমলুক, কাঁথি ও এগরা পুরসভা ভোটের জন্য নির্বাচন কমিটি গঠন করে কর্মিসভা শুরু করে দিলেও বিজেপি এখনও ময়দানে নামতে পারেনি। সম্প্রতি বিজেপির তমলুক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি বদল হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে তাঁরাও দোলাচলে রয়েছেন। এরই মধ্যে জেলার আদি বিজেপি কর্মীদের একটা অংশ পুরভোটের প্রাক্কালে জল মাপা শুরু করে দিয়েছেন। ভোটে দলবদলু নেতাদের নিয়ে মাতামাতি করলে তার ফল ভুগতে হবে বলে হুঙ্কার দিচ্ছেন তাঁরা। সবমিলিয়ে ভোটের আগে নাজেহাল অবস্থা বিজেপির।
তমলুক পুরভোটকে সামনে রেখে বিজেপি নেতৃত্ব দু’-তিনটি মিটিং করলেও নির্বাচন কমিটি গঠন করতে পারেনি। রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে খেয়োখেয়ি চলছে। নির্বাচন কমিটি গঠন করে ভোটের কাজ শুরু করার পর ঝামেলা হলে তাতে হস্তক্ষেপ কে করবে? তাছাড়া, রাজ্যে নেতৃত্বের মধ্যে ডামাডোল পরিস্থিতিতে প্রার্থী বাছাই থেকে দলের প্রচার, সবকিছু থমকে গিয়েছে। তাই হতাশা গ্রাস করছে সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। জেলা নেতৃত্বও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এই অবস্থায় পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে কতটা চ্যালেঞ্জ জানানো সম্ভব হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে গেরুয়া শিবিরেও।
গত ২৫ডিসেম্বর বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি এবং কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে বদল হয়েছে। তারপর এক মাসের ব্যবধানে মঙ্গলবার দুই সাংগঠনিক জেলায় বিজেপি নেতৃত্ব ২৩জন করে জেলা কমিটির পদাধিকারীর নাম ঘোষণা করেছে। এখনও নির্বাচন কমিটি নিয়ে সেভাবে হেলদোল নেই। আর এতেই বেজায় ক্ষিপ্ত নিচুতলার বিজেপি কর্মীরা। আগামী ২৭ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরসভা ভোট হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই শাসক দল তিন পুরসভা এলাকায় প্রার্থীর নামের জায়গা ফাঁকা রেখে দেওয়াল লিখন শুরু করেছে। কর্মিসভা এবং বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কাজও শুরু করেছে। অথচ বিজেপি এখনও ওয়ার্মআপই শুরু করতে পারেনি। কোভিড পরিস্থিতিতে মিটিং, মিছিল অনেকটাই কম হবে। প্রচারের মূল অস্ত্র জনসংযোগ। অর্থাৎ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া। ইতিমধ্যেই শাসক দল সেই কাজে নেমে পড়েছে। কাঁথি, এগরা এবং তমলুক পুরসভা ভোটে এবার দাদার অনুগামীদের কতটা জায়গা ছাড়া হবে, সেটাও বিজেপির অভ্যন্তরে অন্যতম চর্চার বিষয়। গত বিধানসভা ভোটের মতো পুরসভা ভোটেও একতরফা দলবদলু নেতার সুপারিশ মানা হলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তমলুক শহরের এক আদি বিজেপি নেতা বলেন, পুরনোদের অবজ্ঞা করলে বিদ্রোহ শুরু হবে। দলের পক্ষে সেটা সামাল দেওয়া মুশকিল। আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আমাদের আর হারানোর কিছু নেই। 
বিজেপির তমলুক নগর মণ্ডল সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিটি ঘোষণা করে দেব। হাতে বেশি সময় নেই। আমাদের কর্মীরা গৃহসম্পর্ক অভিযান করছেন। প্রার্থী বাছাই নিয়ে সার্ভের কাজও চলছে। 
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচন কমিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে, কমিটি ঘোষণা এখনও হয়নি। দলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিটিও তৈরি হয়েছে। কিন্তু, ঘোষণা করা হয়নি। দু’-একদিনের মধ্যে সেটা হয়ে যাবে।

26th     January,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ