বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

সাইবার প্রতারকদের নতুন টার্গেট টিনএজাররা
গেমে টাকা জেতার টোপ,
লিঙ্ক পাঠিয়ে লুটের কৌশল

অভিষেক পাল, বহরমপুর: সাইবার প্রতারকদের টার্গেট এবার অনলাইন গেমে আসক্ত যুবসমাজ। গেমে টাকা জেতার লিঙ্ক পাঠিয়ে টোপ দেওয়া হচ্ছে গেমারদের। একটি মেসেজের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে লিঙ্ক। সেই মেসেজে মোটা অঙ্কের টাকার পরিমাণ লেখা থাকছে। ওই টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করার জন্য নীচের লিঙ্কে ক্লিক করার প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে। প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে লিঙ্কে ক্লিক করলেই নানা অছিলায় টাকা হাতাচ্ছে প্রতারকরা। সারাদিন মোবাইল গেমে বুঁদ হয়ে থাকা টিনএজারদের এভাবেই টোপ দিয়ে লুটের অভিনব কৌশল নিয়েছে সাইবার দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সাইবার বিশেষজ্ঞ ও পুলিস কর্তাদের।
একসময় মোবাইল ও কম্পিউটার গেম শুধু বিনোদনের জন্য ব্যবহার করা হতো। ধীরে ধীরে সেই গেম হয়ে উঠেছে অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার। বর্তমান যুবসমাজ ও কিশোর-কিশোরীরা রীতিমতো টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে বিভিন্ন অনলাইন গেমে অংশ নেয়। সেই গেম থেকে মোটা টাকা উপার্জন করাও যায়। অনেক অনলাইন গেমে নিজেদের অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় গেমারদের। গেমে জিতলে পয়েন্ট বাড়ে, তা থেকেই অর্থ উপার্জন করা যায়। আবার সরাসরি অর্থ উপার্জনের গেম থেকে টাকা সেই অ্যাকাউন্টে জমতে থাকে। সেটাকেই এবার টোপ হিসেবে ব্যবহার করছে প্রতারকরা। গেম খেলে অ্যাকাউন্টে জমা টাকা তোলার মেসেজ পাঠিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে সর্বস্ব। গেমারদের উপার্জনের হাত ধরেই নিজেদের জালিয়াতির ছক সাজাচ্ছে সাইবার প্রতারকরা। 
কীভাবে হচ্ছে এই কাজ? সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমে একটি অচেনা নম্বর থেকে গেমারদের মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। সেই মেসেজে লেখা থাকছে, ‘আপনার গেমিং অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে। উল্লিখিত মেসেজের মধ্যে একটি লিঙ্ক দেওয়া আছে। সেই লিঙ্কে ক্লিক করুন’। সেই লিঙ্কে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গেই একটি ফেক ওয়েবসাইট খুলে যাবে। যেখানে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য বলা হবে। জি-মেল অথবা ফেসবুক আইডি মারফত ওই রেজিস্ট্রেশন আইডিতে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। মেসেজে থাকা লক্ষাধিক টাকার পরিমাণ দেখে অনেক যুবক-যুবতী সাত-পাঁচ না ভেবেই প্রতারকদের পাতা জালে জড়িয়ে যায়। লিঙ্কে ক্লিক করলেই ঢুকে যাচ্ছে ফেক ওয়েবসাইটে। সেখানে রেজিস্ট্রেশন করার পর নানা অছিলায় টাকা চাওয়া হচ্ছে। ফোন করে বলা হচ্ছে, আপনার মোটা অর্থ তোলার জন্য জিএসটি জমা করতে হবে। ইউপিআই মারফত সেই টাকা জমা করুন। জিএসটির জন্য টাকা নেওয়ার পর, চাওয়া হচ্ছে প্রসেসিং ফি। সেই ফি বাবদ টাকার পরিমাণ চাওয়া হচ্ছে ৯হাজার ৯৯৯ টাকা বা ১৯হাজার ৯৯৯। অনেকেই লক্ষাধিক টাকা পাওয়ার প্রলোভনে দ্রুত সেই টাকা পাঠাতে গিয়ে রাউন্ড ফিগারে টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। এরপর সেই প্রসেসিং ফি বাতিল হয়েছে বলে জানানো হচ্ছে। ফের আবার নতুন করে প্রসেসিং ফি চাওয়া হচ্ছে। কেউ সেই টাকাও দিচ্ছেন, আবার কেউ দিচ্ছেন না। এভাবেই মোটা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। 
জানা গিয়েচ্ছে, এই গেম অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রতারিত হওয়ার বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন সাইবার থানায়। যার ফলে পুলিস সতর্ক করার জন্য প্রচার শুরু করেছেন। এক পুলিস অধিকারিক বলেন, মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে গেমারদের থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। নতুন এই প্রতারণা আটকাতে আমরা ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে প্রচার শুরু করেছি। ফেসবুক আইডি, জিমেল ও অনলাইন গেমিং অ্যাপের পাসওয়ার্ড কোথাও শেয়ার করা উচিত নয়।

22nd     January,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ