বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

আধার কার্ডের নম্বর দিলেই
বীরভূমে তোলা যাবে রেশন 
অনেকের আঙুলের ছাপ না মেলায় সমস্যা

সংবাদদাতা, রামপুরহাট: প্রায় দেড় মাস ধরে বীরভূম জেলার কয়েক হাজার বাসিন্দা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ালেও খালি হাতে ফিরতে বাধ্য হচ্ছিলেন। ভিলেন বায়োমেট্রিক সিস্টেম। দুঃস্থ বাসিন্দারা রেশন না পাওয়ায় সমস্যায় পড়েন। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের আঙুলের ছাপ আধার কার্ডের সঙ্গে মিলছে না। জেলাজুড়ে বাসিন্দাদের হয়রানি বন্ধ করতে এবার আধার কার্ডের নম্বর দিয়েই রেশন মিলবে। জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, যেসব গ্রাহকের আঙুলের ছাপ মিলছে না তাঁরা আধার কার্ডের নম্বর দিয়েই এবার থেকে রেশন তুলতে পারবেন।   
রেশন পেতে গেলে আধার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রেশন তুলতে গেলে গ্রাহকের আঙুলের ছাপ যাচাই করা হচ্ছে বায়োমেট্রিক স্ক্যানারে। আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্যে যে আঙুলের ছাপ রয়েছে সেটাই গ্রাহকের কি না, তা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। ছাপ মিলে গেলে রেশন পাচ্ছেন। না মিললে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে। আর তাতেই সমস্যায় পড়েছেন জেলার বেশ কিছু গ্রাহক। অনেক ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের আঙুলের ছাপ আধার কার্ডের সঙ্গে মিলছে না।  
কয়েকদিন আগে রামপুরহাটের ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা মায়া মণ্ডল রেশন তোলার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর কাউন্টারে পৌঁছতেই বায়োমেট্রিক মেশিনে আঙুলের ছাপ দেন। কিন্তু তাঁর আধার কার্ডের সঙ্গে আঙুলের ছাপ মেলেনি। রেশন না পেয়েই তাঁকে ফিরে আসতে হয়। তিনি বলেন, স্বামী অনেক আগে মারা গিয়েছে, একাই থাকি। রেশনে যা সামগ্রী পাই তা দিয়েই কোনরকমে দিন চলে। সেই রেশন না মেলায় চেয়েচিন্তে খেতে হচ্ছে। 
নলহাটি-২ ব্লকের বাসিন্দা রেজাউল করিমও একই সমস্যায় জেরবার। তিনি বলেন, আমার আয় খুব কম। বাড়িতে দুই সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে। কাজেই রেশন থেকে চাল-গম না মিললে সংসার চালানো বেশ মুশকিল। তিনি বলেন, ব্লকের খাদ্য দপ্তরে বারবার যাওয়া সত্ত্বেও একমাস ধরে রেশন মিলছে না। সম্প্রতি আঙুলের ছাপ আপডেট করেছি। তাতেও একই অবস্থা। আধার কার্ড থাকার পরও এভাবে যান্ত্রিক কারণে সমস্যায় পড়েছি।
এই সমস্যা শুধু মায়াদেবী বা রেজাউল সাহেবের নয়। এসব কারণে অনেকে রেশন পাচ্ছেন না। কোথাও ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ হয়নি তো কোথাও গ্রাহকের নামই বাদ চলে গিয়েছে। নয়া প্রযুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা। দপ্তরের ব্লক অফিসগুলিতেও রেশন না পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে ভিড় করছেন বহু গ্রাহক। অনেকেই বলেন, কোভিড ও তার জেরে বিধিনিষেধের জেরে এমনিতেই অবস্থা খারাপ। এই অবস্থায় রেশনের সামগ্রী খুবই দরকার।
দপ্তরের এক ব্লক আধিকারিক বলেন, ব্লকস্তর থেকে কিছু করার নেই। অভিযোগ পাওয়ামাত্র আমরা জেলায় জানাচ্ছি। রেশন না পেয়ে প্রায়ই অফিসে অনেকে ভিড় জমাচ্ছেন। আমরা আধারের কেওয়াইসি করিয়ে দিচ্ছি। সেটা ভেরিফিকেশন করার দায়িত্ব দপ্তরের। আঙুলের ছাপ না মিললেও নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে ওটিপির মাধ্যমে রেশন দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু সার্ভার ডাউন থাকায় সেটাও হচ্ছে না। জেলাশাসক বলেন, যাঁদের আঙুলের ছাপ মিলছে না এবার থেকে তাঁরা আধার কার্ডের নম্বর দিয়ে রেশনে সামগ্রী তুলতে পারবেন। বহু প্রকৃত গ্রাহকের নাম বাদ চলে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সমাধানের চেষ্টা চলছে।

21st     January,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ