সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন, এরকম অনেকে এবার খড়্গপুর পুরসভা নির্বাচনে শাসক দলের প্রার্থী হতে চাইছেন। এঁদের মধ্যে একাধিক আইনজীবী, চিকিৎসকও আছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের কাছে এরকম অনেকে প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদনও করেছেন। বিজেপির হাত থেকে খড়্গপুরকে বার করে আনতে দলও বিভিন্ন পেশার এই অংশের মানুষদের প্রার্থী করতে আগ্রহী। অবশ্য দলেরও অনেকেই প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন ও ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। এদের মধ্যে দলের প্রথম সারির অনেক নেতাও আছেন। এর পাশাপাশি পিকের দল শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সার্ভে শুরু করে দিয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, সংস্থার প্রতিনিধিরা দলের নেতা ও বিদায়ী কাউন্সিলারদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন। তবে জেলা নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছেন, প্রার্থী কারা হবেন, তা ঠিক করবে রাজ্য নেতৃত্ব। সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সবাইকে এক হয়ে দলীয় প্রার্থীর হয়ে কাজ করতে হবে। প্রসঙ্গত আগের পুরভোটে কংগ্রেস ও তৃণমূল সমান সমান আসনে জয়লাভ করে। পরে অন্য দল থেকে কয়েকজন কাউন্সিলার যোগ দিলে তৃণমূল বোর্ড গঠন করে। এর আগেও একবার তৃণমূল বোর্ড গঠন করেছিল, কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। এবার অবশ্য টানা পাঁচ বছরই বোর্ড চালায় তৃণমূল। কিন্তু এবার বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হওয়ায় অনেকটাই পিছিয়ে যায় দল। চেয়ারম্যান সহ বেশিরভাগ জেতা ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীরা বিজেপির চেয়ে পিছিয়ে পড়েন। একাধিক প্রথম সারির নেতার ওয়ার্ড সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় দলকে আরও চিন্তায় ফেলেছে। স্বাভাবিকভাবেই এবার পুরসভা ভোটে জয় ছিনিয়ে আনা তৃণমূলের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, রাজনীতির বাইরের কিছু মানুষ বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে চেয়ে দলের কাছে আবেদন করেছেন। আমরা সেই আবেদন খতিয়ে দেখে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। তিনি বলেন, এঁদের মধ্যে বিভিন্ন পেশার মানুষও আছেন। তিনি বলেন, এটা একটা ভালো দিক। আমরাও চাই রাজনীতির বাইরের এমন কিছু মানুষ প্রার্থী হোন, যাঁদের আমজনতার কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে। খড়্গপুরে এটা খুবই প্রয়োজন। পুরসভায় রাজনীতির চেয়ে পরিচিতিও অনেকটা কাজ করে। তিনি বলেন, এর বাইরে বিদায়ী কাউন্সিলার সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে দলের অনেকেই প্রার্থী হতে চান। এরকম অনেক আবেদন আসছে। সব খতিয়ে দেখে রাজ্য নেতৃত্বকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পিকের টিমও কাজ করছে। তারা নানাভাবে তথ্য সংগ্রহ করছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গেও তারা কথা বলছে। এই সব বিচার করে দল যাকে প্রার্থী করবে তাঁকেই মেনে নিতে হবে।