বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

ডিম উৎপাদনে রাজ্যে
প্রথম সারিতে বাঁকুড়া
প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩৯
লক্ষ ডিমের জোগান

রামকুমার আচার্য, বাঁকুড়া : গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৯ লক্ষ পোলট্রির ডিম উৎপাদন করে রাজ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে জঙ্গলমহলের জেলা বাঁকুড়া। তারমধ্যে বড় সংখ্যায় ডিমের জোগান দিচ্ছে সরকারি ভর্তুকিতে তৈরি পোলট্রি ফার্ম। সাফল্য মেলায় উৎপাদন বাড়াতে ভর্তুকিতে আরও ১১টি ফার্ম তৈরির অনুমোদন দিল রাজ্য। 
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর গৌতম বটব্যাল বলেন, জেলায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩৮ থেকে ৩৯ লক্ষ পোলট্রির ডিম উৎপাদন হয়। জেলার মানুষের পাশাপাশি রাজ্যেও চাহিদা মেটাচ্ছে বাঁকুড়া থেকে উৎপাদিত ডিম। তবে, উৎপাদন আরও বাড়াতে নতুন করে ১১টি প্রকল্পে ফার্ম তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। উদ্যোগপতিরা সেখান থেকেও ডিম উৎপাদনের কাজ শুরু করছেন।
প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে বাঁকুড়ায় সরকারি উদ্যোগে ফার্ম তৈরিতে সুবিধা দিয়ে মুরগি উৎপাদন হচ্ছে। রাজ্য সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত ৩৪টি ফার্মের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে ২৩টি পোলট্রি ফার্ম বর্তমানে সচল রয়েছে। এর বাইরেও অনেকে নিজেদের উদ্যোগেও পোলট্রি ফার্ম তৈরি করে ডিম উৎপাদনে ভূমিকা নিচ্ছেন। বাঁকুড়ায় পোলট্রি ফার্ম তৈরিতে বাইরে থেকেও অনেক উদ্যোগপতি আসছেন। এছাড়া জেলার ব্যবসায়ীরাও এই শিল্পে যুক্ত রয়েছেন। সাধারণত বাঁকুড়ায় একটি বড় অংশে জমি ফাঁকা পড়ে থাকে। সেখানে পোলট্রি ফার্ম তৈরি করার পরিকল্পনা করেন অনেকে। তারসঙ্গে এই জেলার আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ায় মুরগি পালনে সুবিধা পাওয়া যায়। এমনকী জেলায় বহু মানুষ বাড়ির কাছে পোলট্রি ফার্মে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। তারসঙ্গে এই শিল্পে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না। তাই বাঁকুড়ায় শ্রমিক পেতেও সুবিধা হয় উদ্যোগপতিদের।
রাজ্য মুরগি খামারের বাঁকুড়ার সহ অধিকর্তা অনন্ত কুমার দাস বলেন, রাজ্য সরকারের ইনসেন্টিভ প্রকল্পে উদ্যোগপতিদের জন্য রয়েছে নানা সুবিধা। ব্যবসায়ীরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাবেন। তারসঙ্গে জমির রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন। পাঁচ বছর ধরে মুরগি পালনে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ খরচেও বিশেষ ছাড় পেয়ে থাকেন। উদ্যোগপতিরা অনেকেই এখন অনুমোদন পেয়ে ফার্ম গড়ার কাজ শুরু করেছেন।প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি ভর্তুকিতে হওয়া প্রকল্পের মাধ্যমে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১০লক্ষ পোলট্রির ডিম উৎপাদিত হয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি ভিন রাজ্যেও বাঁকুড়া থেকে পোলট্রির ডিম রপ্তানি করা হচ্ছে। দপ্তরের কর্তাদের দাবি, পোলট্রি ফার্ম তৈরিতে প্রাথমিকভাবে একটু বেশি খরচ পড়ে ঠিকই। কিন্তু মাত্র চার মাস পর থেকেই ডিম উৎপাদন শুরু হলে লাভের মুখ দেখতে পান ব্যবসায়ীরা। তারসঙ্গে ডিম নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম। বাঁকুড়ার পোলট্রি ফেডারেশনের সদস্য অশোক কুমার ঘোষাল বলেন, পোলট্রির খাবারের গুণগত মান পরীক্ষা করার সুযোগ বাঁকুড়ায় নেই। তারফলে খাবার পরিবেশনে কিছু ত্রুটি থাকছে। তাই বাঁকুড়ায় ল্যাব্ররেটরি হলে ভালো হয়। এছাড়া খাবারের দাম বেশি থাকায় অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। তবে পরিবর্তনের পর রাজ্যে বাঁকুড়ায় পোলট্রির ডিম উৎপাদন বেড়েছে। উল্লেখ্য, করোনা পর্বে দেহে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে চাহিদাও বাড়ছে। তবে দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে রাজ্যের প্রতিযোগিতা করতে পরিকাঠামোগত কিছু বিষয়ে উন্নতির দাবিও জানিয়েছেন অনেকে।

30th     November,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ