বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

ডিসেম্বরে প্রথম সপ্তাহে টিকার
প্রথম ডোজ শেষ করার নির্দেশ
মুর্শিদাবাদে ৮ লক্ষ বাসিন্দা নেননি ভ্যাকসিন

সুখেন্দু পাল, বহরমপুর : ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ শেষ করার টার্গেট নিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। সোম ও মঙ্গলবার জেলাজুড়ে বিশেষ ক্যাম্প করা হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকাগুলিতে বেশি সংখ্যায় ক্যাম্প করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন না নেওয়া লোকজনদের খুঁজে বের করছেন। তাঁদেরকে ক্যাম্পে আসার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় শুক্রবার পর্যন্ত ৪৬লক্ষ ৫৬ হাজার ৮২০জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৪লক্ষ ৫৭ হাজার ২৫৬জন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী জেলায় ১৮বছরের ঊর্ধ্বে প্রায় ৫৪লক্ষ পুরুষ ও মহিলা রয়েছেন। অর্থাৎ এখনও প্রায় আট লক্ষ বাসিন্দা ভ্যাকসিন নেননি।জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্যাল বলেন, জেলার সর্বত্র ক্যাম্প করা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ভ্যাকসিন দেওয়ার নিরিখে মুর্শিদাবাদ জেলা তিন নম্বরে রয়েছে। কলকাতা এবং উত্তর ২৪পরগনার পর এই জেলাতেই সবচেয়ে বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ৬০লক্ষের বেশি ডোজ জেলায় দেওয়া হয়েছে। প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য জেলা প্রশাসন একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন মাঠে ধান কাটার কাজ চলছে। রবিশস্য চাষ করার জন্য অনেকে সকাল থেকেই মাঠে চলে যাচ্ছেন। ভ্যাকসিন না নেওয়া ব্যক্তিদের বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণে এবার বিকেলের দিকে কয়েকটি এলাকায় ক্যাম্প করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ৩০নভেম্বরের মধ্যে প্রতিটি জেলাকে প্রথম ডোজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে প্রথম ডোজ শেষ করা সম্ভব হবে না বলে কয়েকটি জেলা থেকে জানানো হয়। তারপরই ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ শেষ করার টার্গেট দেওয়া হয়েছে। আধিকারিকদের দাবি, প্রথম দিকে ভ্যাকসিন নিতে জেলার গ্রামীণ এলাকার বহু বাসিন্দা উৎসাহী ছিলেন না। স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিটি এলাকায় গিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার উপকারিতা বুঝিয়ে বলেন। তারপরই ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য উৎসাহ দেখা যায়। শহর এলাকাগুলিতে ভ্যাকসিনের কুপন নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, কান্দি, বেলডাঙা, ডোমকল, জঙ্গিপুর, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ বা লালবাগের মতো শহরগুলিতে অধিকাংশ বাসিন্দা প্রথম ডোজ নিয়েছেন। রাজ্যের সমস্ত শহরের ছবিটা একইরকম। কিন্তু গ্রামীণ এলাকায় অনেকেই এখনও ভ্যাকসিন নেননি। তাঁদের খুঁজে বের করে ভ্যাকসিন দেওয়াটাই আধিকারিকদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। এক আধিকারিক বলেন, জেলার বহু যুবক পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে ভিনরাজ্যে যাওয়া যুবকরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এরাজ্যেরও বিভিন্ন জেলায় অনেকেই কাজ করেন। তাঁদের কেউ কেউ ভ্যাকসিন নেননি। তাঁদের মধ্যে অনেকে অবশ্য অন্য জেলায় গিয়েও ভ্যাকসিন নিয়েছেন। জেলায় প্রথম ডোজ দীর্ঘদিন চলতে থাকলে অন্য কাজে সমস্যা হচ্ছে। তাই এখনই সবার ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। প্রতিটি গ্রামেই আশাকর্মীরা যাচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই প্রথম ডোজ নেওয়া যাবে। কোথায় কখন ক্যাম্প হচ্ছে সেটা তাঁরা জানাতে পারবেন। স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের দাবি, ডিসেম্বর মাস থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য জোর দেওয়া হবে। তারজন্যও ক্যাম্প করা হবে। অল্প সংখ্যক কিছু মানুষের মধ্যে এখনও ভুল ধারণা রয়েছে। তাঁদের জন্যই প্রথম ডোজ দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লেগেছে।

30th     November,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ