বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

২৬ হাজার মহিলা লক্ষ্মীর
ভাণ্ডারের টাকা পাননি
বাঁকুড়ায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের
সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ

 

সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: রাজ্য সরকার টাকা পাঠালেও ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্যার কারণে বাঁকুড়ায় ২৬হাজার মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাননি। ওইসব উপভোক্তা যাতে দ্রুত টাকা পেয়ে যান, তার জন্য প্রশাসনের অন্দরে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের কর্তারা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এনিয়ে বৈঠক করেছেন। ব্যাঙ্কে কেওয়াইসি আপডেট করে দ্রুত যাতে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো যায়, তার জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বাঁকুড়ার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার বলেন, যেসব মহিলার অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢোকেনি, তাঁদের তালিকা ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের শাখায় পাঠানো হচ্ছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পোর্টালে উপভোক্তাদের আধার কার্ডের তথ্য রয়েছে। তা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। এনিয়ে লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে কথা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কেওয়াইসি আপডেট হয়ে গেলেই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
বাঁকুড়া জেলা লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার তপনকুমার মণ্ডল বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে অ্যাকাউন্ট নম্বর আপলোড করার সময় ভুল হতে পারে। অথবা দীর্ঘদিন লেনদেন না হওয়ায় অ্যাকাউন্ট বন্ধ(ডরমেন্ট) হয়ে গিয়েছে। মূলত এই দু’টি  কারণে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে। সেইজন্য ব্যাঙ্ক অনুযায়ী তালিকা তৈরি করে তা সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপভোক্তার আধার কার্ডের তথ্য পেলেই কেওয়াইসি আপডেট করে দেওয়া হবে। প্রশাসনকে তা বলা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী বাংলার মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দেন। ভোটে বিপুল জয়লাভের পর তিনি কথা রেখেছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছেন। ওই প্রকল্পে সাধারণ মহিলাদের জন্য মাসিক ৫০০টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য এক হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়। জেলায় প্রায় ছ’লক্ষের কাছাকাছি আবেদনপত্র জমা পড়ে। ওই সময় তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও অনেকেরই শংসাপত্র ছিল না। তাঁদের জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাস্ট সার্টিফিকেট তৈরি করে দেওয়া হয়। প্রথম দিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদনের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাধ্যতামূলক হলেও পরবর্তীকালে তা শিথিল করা হয়েছে। এমনকী কাস্ট সার্টিফিকেট না থাকলেও তিনি যদি সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের মধ্যে পড়েন তাঁদের ক্ষেত্রেও স্থানীয় স্তরে তদন্ত করে আবেদন করার সুযোগ তৈরি করা হয়। তা সংশ্লিষ্ট পোর্টালে আপলোড করে পুজোর ঠিক আগে ৫লক্ষ ৮০হাজার মহিলার অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের টাকা পাঠানো হয়। তার মধ্যে ৫লক্ষ ৫৪হাজার জন টাকা পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ২৬হাজার জনের টাকা সরকারের ঘরে ফেরত চলে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই যাঁরা টাকা পাননি, তাঁদের মনে হতাশা তৈরি হয়েছে। ব্যাঙ্কে, পঞ্চায়েতে অথবা বিডিও অফিসে খোঁজ নিয়েও টাকা না পাওয়ার সঠিক কারণ জানতে পেরে অনেকেই ক্ষুব্ধ। এতে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বেশ উদ্বিগ্ন। সম্প্রতি তাঁরা ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছেন।জানা গিয়েছে, জেলায় বিভিন্ন ব্যাঙ্কের প্রায় আড়াইশো শাখা রয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশ ব্যাঙ্কেই কমবেশি এরকম ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নজরে আসার পরই পুজোর ছুটির মধ্যেই প্রশাসনের আধিকারিকরা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হন।

28th     October,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ