বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

মুঙ্গেরের চাঁইদের হাতেই
অস্ত্র কারবারের নিয়ন্ত্রণ
দিশেরগড়ের পর হীরাপুর কাণ্ড

নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: কুলটি থানার দিশেরগড়ের পর হীরাপুর, আসানসোল শিল্পাঞ্চলে একের পর এক অবৈধ অস্ত্র কারখানার কারিগর হিসেবে উঠে আসছে মুঙ্গেরের কারবারিদের নাম। ইতিমধ্যেই পুলিসের জালে ধরা পড়েছে একাধিক ভিন রাজ্যের কারিগর। দু’টি ক্ষেত্রেই ৭.৬৫ এমএম পিস্তল তৈরি হচ্ছিল। এই সমস্ত অস্ত্র নাকি পাচার হয়ে যায় গোবলয়ে। শিল্পাঞ্চলের অবৈধ অস্ত্র কারখানার সঙ্গে মুঙ্গেরের যোগ স্পষ্ট। অবৈধ অস্ত্র তৈরিতে দেশজুড়ে পরিচিতি মুঙ্গেরের অস্ত্র কারবারের চাঁইদের। তারাই কি নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলার অস্ত্র কারখানা? এমনই যোগসূত্রের খোঁজে জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্যও পুলিসের হাতে এসেছে। সেই লিঙ্ক পেতেই হীরাপুরে বাড়ির ভিতর বাঙ্কার বানিয়ে অস্ত্র তৈরির মাস্টার মাইন্ড আফজলকে খুঁজছে পুলিস। সে লোকাল এজেন্ট হিসেবে কাজ করত বলে পুলিসের সন্দেহ। আগে হীরাপুর থানার রহমতনগরের আফজল জমির দালালি করত। তারপর কীভাবে মুঙ্গেরের কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ হল, তারই সূত্র খুঁজছে পুলিস।এদিকে বাড়ির ভিতর সেপটিক ট্যাঙ্কের আদলে পুরু ঢালাই দিয়ে বাঙ্কার বানিয়ে অস্ত্র কারখানা গড়ার ছক বেশ নতুন। তাই এই ধরনের বাঙ্কার আরও কোথাও প্রস্তুত হয়েছে কি না তা জানা বিশেষ প্রয়োজন। তাই পুলিস বাঙ্কার নির্মাতার খোঁজ করছিল। অবশেষে সে পুলিস কাছে এসে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে। মিস্ত্রির দাবি, পাকাপোক্ত সেপটিক ট্যাঙ্ক বানাতে বলা হয় তাঁকে। সেইমতো পুরু ঢালাই দিয়ে তা করা হয়। তাঁর আরও দাবি, এখনও এই কাজ করার জন্য এখনও পাঁচ হাজার টাকা বাকি আছে। তবে ওই রাজমিস্ত্রি পুলিসকে জানিয়েছেন, এধরনের আর কোনও সেপটিটি ট্যাঙ্ক তিনি তৈরি করেননি।ডিসি অভিষেক মোদি বলেন, যার কথায় জাভেদ বাড়িতে এই বাঙ্কার বানিয়েছিল তাকে খোঁজা হচ্ছে। দিশেরগড় ও হীরাপুর দুটি ঘটনাতেই মুঙ্গেরের যোগ রয়েছে। বিষয়টি তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত প্রকাশ্যে আনা এখনই সম্ভব নয়।মুঙ্গেরএই নামই যথেষ্ট। অবৈধ অস্ত্র কারবারের স্বর্গরাজ্য হিসেবে দেশজোড়া কুখ্যাতি রয়েছে মুঙ্গেরের। উত্তর ভারত থেকে দক্ষিণ ভারত, পূর্ব থেকে পশ্চিম ভারতে গ্যাংস্টারদের পছন্দের অস্ত্র সরবরাহ করে এসেছে এই এলাকা। অস্ত্র কারবারিদের এই ডেরা ছিল পুলিস বাহিনীর কাছে বড় চ্যা঩লেঞ্জ। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হলেও মুঙ্গেরের অস্ত্রের গুণমান যথেষ্ট ভালো। কিন্তু সাম্প্রতিকালে নতুন ছক সামনে আসছে। গত মাসেই বাংলা-ঝাড়খণ্ড চেক পোস্টে পুলিসের জালে ধরা পড়ে এক অস্ত্র্র কারবারি। তার কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র পাওয়া গিয়েছিল। প্রথমে পুলিসের ধারণা ছিল, ঝাড়খণ্ড থেকে অস্ত্র প্রস্তুত করে বাংলায় আনা হচ্ছিল। ঝাড়খণ্ডে একটি অস্ত্র কারখানার হদিশও পাওয়া যায়। পরে জানা যায়, এরাজ্যের কুলটির দিশেরগড়ে এর থেকেও বহু বড় একটি অস্ত্র কারখানা রয়েছে। মুঙ্গেরের মিস্ত্রিরাই এসে সেখানে ৭.৬৫ এমএম পিস্তল প্রস্তুত করছিল। এই ঘটনা মিটতে না মিটতেই এবার হীরাপুর থানার রহমতনগরে একই ধরনের অস্ত্র তৈরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে মুঙ্গেরের দুই অস্ত্র কারবারি। আরও দু’জন গা ঢাকা দেয়। এটাই যথেষ্ট চিন্তার। জামতাড়ার সাইবার চাঁইরা যেমন এই শিল্পাঞ্চলকে নিজেদের সাবসেন্টার হিসেবে ব্যবহার করছে, তেমনই কী মুঙ্গেরের অস্ত্র কারবারের চাঁইরাও শিল্পাঞ্চলকে সেকেন্ড হোম বানাচ্ছে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মনে। এনিয়ে জোর তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা।  আসানসোলে এই বাড়িতেই ছিল বেআইনি অস্ত্র কারখানা।

28th     October,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ