বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

চাষিদের এবার বিনামূল্যে সর্ষে, মুসুর, ভুট্টার বীজ
চাষে খরচ কমিয়ে আয় বৃদ্ধিই লক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: চাষিদের বিনামূল্যে সর্ষে, ভুট্টা, মসুর ও খেসারির বীজ দেবে রাজ্য সরকার। মাঠ থেকে ধান ওঠার আগেই বীজ দেওয়া শুরু হবে। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বীজ পাওয়ার জন্য চাষিরা পঞ্চায়েত সমিতিগুলিতে আবেদন করতে পারেন। কৃষির স্থায়ী সমিতি বৈঠক করে চাষিদের তালিকা তৈরি করবেন। মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রায় তিন হাজার চাষিকে বীজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে কোটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলার কৃষি আধিকারিক তাপস কুণ্ডু বলেন, জেলায় ১০০ হেক্টর জমির জন্য বীজ দেওয়া হবে। চাষিদের আগেও বিনামূল্যে বীজ দেওয়া হয়েছে। আয় বাড়ানোর জন্য উন্নত প্রজাতির বীজ চাষিদের দেওয়া হয়।কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলায় গম চাষের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ভাইরাসের আক্রমণে গমের জমি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তিন বছর আগে এই চাষ বন্ধ রাখার জন্য কৃষিদপ্তর পদক্ষেপ নিয়েছিল। তবে গত বছর চাষে বাধা দেওয়া হয়নি। যদিও খুব কম পরিমাণ জমিতেই গম চাষ হয়েছিল। এবছর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় আবার আগের মতোই চাষ হবে বলে কৃষিদপ্তর মনে করছে। জেলার কৃষি আধিকারিক বলেন, এবছর চাষিরা জেলার সব জায়গাতেই গম চাষ করতে পারেন। কোথাও বাধা দেওয়া হবে না।ইসলামপুরের গম চাষি ছোটন শেখ বলেন, ভাইরাসের আক্রমণ হওয়ায় কয়েক বছর আগে বিঘার পর বিঘা জমির গম গাছ পুড়িয়ে দিতে হয়েছিল। ব্যাপক লোকসান হয়েছিল। তারপর থেকে তিন বছর গম চাষের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। গত বছর কৃষিদপ্তর বাধা না দিলেও চাষ করতে উৎসাহিত করেনি। ভয়ে অনেকেই গত বছর চাষ করেননি। এবার আমরা চাষ করব। গম চাষে অনেক বেশি লাভ। কয়েক বছর এই চাষ না হওয়ায় চাষিরা কিছুটা হলেও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিল। কৃষিদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গমের পাশাপাশি ভুট্টা বা ডাল শস্য চাষেও চাষিদের উৎসাহিত করা হবে। জেলায় আগের থেকে ডাল শস্য চাষের এলাকা বেড়েছে। চর এলাকাগুলিতে এই চাষ বেশি হচ্ছে। ভুট্টা চাষ এখনও সেই ভাবে বাড়েনি। তাই এই চাষের এলাকা বাড়াতে বিভিন্ন ভাবে চাষিদের উৎসাহিত করা হবে। তবে চাষিদের অভিযোগ, বীজ বিলির ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ করা হয়। প্রকৃত বহু চাষি বেশির ভাগ সময় বঞ্চিত থাকেন। জনপ্রতিনিধিদের ঘনিষ্ঠরা সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাছাড়া শস্য বীজ অনেক সময় ভালো থাকে না। নওদার এক চাষি বলেন, এবছর বর্ষাকালীন পেঁয়াজের বীজ বিলি করা হয়েছিল। তা কোনও কাজেই আসেনি। অধিকাংশ বীজের চারা বের হয়নি। চাষিদের বাজার থেকে আবার নতুন করে বীজ এনে চাষ করতে হয়েছিল। কয়েক বছর আগে ডোমকল মহকুমাতেও একই ঘটনা হয়েছিল। কৃষিদপ্তরের দেওয়া ডাল শস্যের বীজ থেকে গাছ হয়নি। চাষিরা বিপাকে পড়ে গিয়েছিলেন।
চাষিদের দাবি, বীজ দেওয়ার ক্ষেত্রে কৃষি দপ্তরের আরও সতর্ক হওয়া উচিত। জমি তৈরি করার পর চাষ না করা গেলে কৃষকদের মনোবল ভেঙে পড়ে। তবে সব ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। গত বছর কৃষিদপ্তরের পাওয়া ডাল বা সর্ষে বীজ চাষ করে ভরতপুর, খড়গ্রাম সহ বেশ কয়েকটি এলাকার চাষিরা লাভের মুখ দেখেছিলেন। কৃষিদপ্তরের দাবি, উন্নতমানের বীজ সব সময় চাষিদের দেওয়া হয়। তা থেকে আয়ও ভালো হয়।

26th     October,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ