বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

পিস্তল ও ছুরি ভর্তি ব্যাগ উদ্ধারে রহস্য
রায়নায় ব্যবসায়ী খুনকাণ্ড

অভিষেক পাল ,বর্ধমান : রায়নায় গ্রামের বাড়িতে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনা নয়া মোড় নিল। দরিয়াপুরের ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে নয়ানজুলি থেকে একটি কালো ব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিস। ওই ব্যাগ ঘিরেই দানা বাঁধছে রহস্য। কারণ ওই ব্যাগে একটি সেভেন এমএম পিস্তল, একটি ওয়ান শটার বন্দুক, পাঁচটি গুলি ও তিনটি ধারালো আধুনিক ছুরি ছিল। ওই অস্ত্র দিয়েই সব্যসাচীবাবুকে খুন করা হয়েছে কি না, সেটা অবশ্য নিশ্চিত নয় পুলিস। তবে, অস্ত্রগুলি প্রত্যেকটিই সক্রিয় থাকার প্রমাণ পেয়েছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। এই খুনের ঘটনায় অস্ত্রগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল কি না তা জানতে সেগুলি ফরেন্সিক টেস্টের জন্য পাঠানো হচ্ছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে, ওই ব্যাগটি কে বা কারা ওখানে ফেলে গিয়েছে, তা নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিস। ওই ব্যাগের আসল মালিক কে, তা জানতে পারলেই ব্যবসায়ী খুনের রহস্য সমাধানে অনেকটাই এগনো যাবে বলে অনুমান পুলিসের। অস্ত্র ছাড়াও উদ্ধার হওয়া কালো ব্যাগের মধ্যে মেলে কিছু জামাকাপড়। সেগুলি মৃতের কি না, সে ব্যাপারে জানতে পরিবারের লোককে রায়না থানায় ডেকে দেখানো হবে। ব্যাগ ও জামাকাপড় যদি মৃতের না হয় সেক্ষেত্রে ধৃতদের কি না, তা খতিয়ে দেখবে পুলিস। এই ঘটনায় ধৃত সব্যসাচীবাবুর গাড়িচালক, দেহরক্ষী ও রাঁধুনির কাছেও উদ্ধার হওয়া ব্যাগের ব্যাপারে জানতে চাইবে পুলিস। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে হামলার ঘটনার পর সব্যসাচীবাবুকে নিয়ে গাড়ি করে তাঁর তিন সঙ্গী হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়। সেই গাড়িতে যে কয়েকটি ব্যাগ ছিল, তা ধৃতরা নিজেদের বলে দাবি করেছিল। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে ৬কিমি দূরে জামালপুরের দিকের রাস্তায় ওই অস্ত্রবোঝাই কালো পিঠব্যাগের মালিককে খুঁজে বের করাই এখন পুলিসের অন্যতম লক্ষ্য। প্রথমে মুগুরা অঞ্চলের এক চাষি ব্যাগটি দেখে স্থানীয়  পঞ্চায়েতের প্রধানকে জানান। তারপর সেটি পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।তবে, খুনের পিছনে শুধুই কি বড়বাজারের বিশাল ব্যবসা সহ কয়েক কোটি টাকার বাড়ি ও সম্পত্তি? নাকি আরও কিছু কারণ আছে, সে ব্যাপারেও ধন্দে রয়েছে পুলিস। মৃতের শরীরে একাধিক গভীর ক্ষত দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, এই আঘাত অল্প সময় ধরে হয়নি। ঠান্ডা মাথায় দীর্ঘক্ষণ ধরে দেহের এমন এমন জায়গায় কোপানো হয়েছে, যাতে মৃত্যু নিশ্চিত হয়। মৃতের বাবার দাবি ছিল, সুপারি কিলার দিয়ে খুন করা হয়েছে ছেলেকে। এই খুনের পিছনে রয়েছে তাঁর ভাইয়ের ছেলেদের হাত। ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা না থাকলে এভাবে কুপিয়ে নৃশংসভাবে কেউ খুন করবে না বলেই মত তদন্তকারীদের একাংশের।এদিকে ঘটনার পর তিনদিন কেটে গেলেও এখনও খুনের ঘটনার কিনারা হয়নি। সোমবার বিকেলে জেলা পুলিসের সমস্ত বিভাগের অফিসারদের নিয়ে জেলা পুলিসের কার্যালয়ে এই ঘটনা নিয়ে বৈঠক করেন জেলার পুলিস সুপার কামনাশিস সেন।এ ব্যাপারে এসডিপিও সদর(দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম খান বলেন, রায়না সহ জেলার বিভিন্ন থানা থেকে অফিসারদের নিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। ওই টিম তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে পুলিস সুপারকে রিপোর্ট দেবে। এদিকে উদ্ধার হওয়া ব্যাগ থেকে পাওয়া অস্ত্রগুলি ফরেন্সিক টেস্টের জন্য পাঠানো হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিস তিনটি  ৭.৬৫ এমএম পিস্তল উদ্ধার করে। এছাড়াও দশটি সেমি ফিনিশড ৭.৬৫ এমএম পিস্তল ও ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়।

26th     October,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ