বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

নদীয়ায় মুক্তিধারা প্রকল্পে ভালো সাড়া
পাঁচশোর বেশি মহিলার কর্মসংস্থান

সংবাদদাতা, কৃষ্ণনগর: নদীয়ায় মুক্তিধারা প্রকল্পে ভালো সাড়া পড়ায় ৫০০’র বেশি মহিলা কর্মসংস্থান হতে চলেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৮টি প্রজেক্ট অনুমোদন হয়ে গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত অনেক  স্বনির্ভর গোষ্ঠী কাজ শুরুর প্রস্তুতি নিলেও কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী পুরোদমে কাজ চালু করে দিয়েছে। গত বছরের তুলনায় যা তিনগুণ হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি প্রজেক্ট অনুমোদন হয়েছিল। চলতি আর্থিক বছরে সেখানে ৫০টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পোল্ট্রি ফার্ম, নার্সারি, মাছ চাষ সহ একাধিক প্রজেক্টের কাজ শুরু হচ্ছে। স্বনিযুক্তি ও স্বনির্ভরতা দপ্তরের অধীনে মুক্তিধারা প্রকল্পের অনুমোদন হচ্ছে। মহিলা ও তাঁদের পরিবারের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে, একইসঙ্গে আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্য নিয়ে মুক্তিধারা প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামাঞ্চলে বেকারত্ব দূর করা ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সামগ্রিক উন্নয়নেও তিনি মুক্তিধারা প্রকল্প চালু করেছিলেন। ২০১৩ সালে প্রথম পুরুলিয়া জেলা থেকে মুক্তিধারার পাইলট  প্রজেক্ট  শুরু করা হয়। তারপর গতবছর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার মতো নদীয়াতেও চালু হয়। নদীয়ায় এই প্রকল্প মূলতঃ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে মৎস্য, হর্টিকালচার, একশো দিনের মতো প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলোর সঙ্গে সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে নদীয়ায় ছোট ছোট প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে। যাতে এই মহিলারা স্বনির্ভর হতে পারেন। গত বছর এইভাবে ১২টি প্রজেক্ট অনুমোদন হয়েছিল। চলতি বছরে সেখানে ৫০টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে প্রায় ৩৮টি প্রজেক্ট অনুমোদন হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, পিছিয়ে থাকা জায়গাগুলোকে চিহ্নিত  করে এই প্রকল্প হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রধানত হাঁসখালি, চাকদহ ,শান্তিপুর, নবদ্বীপ, নাকাশীপাড়া, তেহট্ট-১, করিমপুর-১ ব্লক সহ জেলার অন্য ব্লকেও এই প্রকল্পের জন্য অনুমোদন হওয়ায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা কাজের জন্য সমস্ত প্রস্তুতি  নিচ্ছেন। এই প্রকল্প গড়তে সরকার সমস্ত কিছুর জন্য পরিকাঠামো করে দেবে। তবে হাতে টাকা দেওয়া হবে না। ন্যূনতম জমিও নিজের থাকতে হবে। সেই জমিতে নার্সারি, পোলট্রি, ছাগল চাষ, ধানচাষ, সব্জিচাষ, মুড়ি ভাজা, টেলারিং, ধান ভাঙা কল সহ একাধিক কাজ করতে পারবে। কৃষিকাজও করা যাবে। এছাড়া পুকুর না থাকলেও একশো দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে জমি কেটে পুকুর করে দেওয়া হবে। যেখানে বায়ো ফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা যাবে। এছাড়া মাগুর মাছও চাষ করা যাবে। এ প্রসঙ্গে এসএইচজি জেলা আধিকারিক সৌরভ গুপ্ত বলেন, চলতি বছরে আরও বেশি গোষ্ঠীকে ইনভলভ করার চেষ্টা করছি। যাতে তাঁরা তাঁদের পরিবারকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করতে পারেন। এমনকী আরও অন্য ধরনের প্রজেক্টকে এর মধ্যে ঢোকানোর চেষ্টা চলছে। মুরুটিয়া থানার ফুলবাড়ি হরিচাঁদ গোষ্ঠী সবিতা সিংহ বলেন, আমরা গোষ্ঠীতে ১২ জন আছি। আমরা কড়কনাথ মুরগির চাষ করছি। আমাদের ৫৬টা মুরগি দেওয়া হয়েছে। আমরা খুব খুশি। সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

28th     September,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ