বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

বহরমপুরে বৃষ্টিতে ভিজেই আধার
কার্ড সংশোধনের জন্য লম্বা লাইন

নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: বিজেপি নেতাদের মুখে এখন আর কথায় কথায় এনআরসির কথা শোনা যায় না। কিন্তু তারপরও আমজনতার মন থেকে আতঙ্ক দূর হয়নি। বুধবার আধার কার্ড সংশোধনের জন্য কুপন নিতে বৃষ্টিতে ভিজেই লাইনে দাঁড়ান জেলার বাসিন্দারা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বহরমপুরে মুখ্য ডাকঘরের রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে পুলিস যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। কুপন পাওয়া যাবে, আগাম এই ঘোষণায় ভোর থেকেই ডাকঘরের সামনে লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছিল। মহিলাদের ভিড় সবচেয়ে বেশি ছিল। সকাল থেকে দফায় দফায় হালকা বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হলেও কেউ লাইন ছেড়ে যাননি। কুপন হাতে নিয়ে সকলে বাড়ি ফিরেছেন। আধার কার্ড সংশোধনের কারও তারিখ সামনের বছরের জানুয়ারি মাসে, আবার কারও ফেব্রুয়ারি মাসে পড়েছে। পোস্ট অফিসের আধিকারিক বলেন, জেলার ২০-২১টি ডাকঘরে এই কাজ চলছে। 
সকাল ৭টা থেকে লাইনে দাঁড়ানো রাধারঘাট এলাকার বাসিন্দা শর্মিষ্ঠা মণ্ডল বলেন, নামের বানান ভুল রয়েছে। সংশোধন করার জন্য অনেক জায়গায় গিয়েছি। কিন্তু, কোথাও হয়নি। পোস্ট অফিসে কার্ড সংশোধন করা হবে শুনে লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। দুপুর ২টোর দিকে কুপন পেয়েছি। ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫তারিখ কার্ড সংশোধন করার তারিখ দেওয়া হয়েছে। ওইদিন আবার লাইনে দাঁড়াতে হবে। তাঁর সঙ্গে থাকা আর এক মহিলা বলেন, কার্ডে বানান ভুল থাকায় সব জায়গায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আধার ও ভোটার কার্ডে দু’রকম বানান লেখা থাকায় কাজ আটকে যাচ্ছে। তাছাড়া আগামী দিনে এনআরসি চালু হলে সমস্যা হবে। সেই কারণে সব কাজ ফেলে রেখে কার্ড সংশোধন করতে এসেছি। জিনিয়া খাতুন নামে লাইনে দাঁড়ানো এক যুবতী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সব কিছুই করতে পারে। এনআরসির কথা চিন্তা করেই কার্ড সংশোধন করতে হচ্ছে।
এনআরসি আইন পাশ হওয়ার পরে জেলাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় শীতকালে রাত জেগে জেলার বাসিন্দারা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। কেউ কেউ তিন চার দিন পর্যন্ত লাইনে ছিলেন। এখন আগের মতো ভিড় না হলেও এদিন লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছিল। এই অবস্থার জন্য শাসকদল কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করছে। তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ হল মানুষকে হয়রানি করা। তারা ক্যাম্প করে বিভিন্ন জায়গায় আধার কার্ড করলে এই সমস্যা হতো না। কিন্তু তারা তা না করে পোস্ট অফিস থেকে অল্প কিছু কুপন দিচ্ছে। সেটাও আবার সব পোস্ট অফিসে দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি নেতা লাল্টু দাস বলেন, তৃণমূল জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। সেই কারণে এত বেশি ভিড় হচ্ছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল। রাস্তায় পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল। সুষ্ঠুভাবেই জেলার বাসিন্দারা কুপন নিয়েছেন। কোনও সমস্যা হয়নি। লাইনে দাঁড়ানো লোকজন বলেন, প্রথম দিন অনেকেই কুপন দেওয়ার বিষয়টি জানতে পারেননি। আগামী দিনে আরও বেশি হবে। বেশি সংখ্যায় ক্যাম্প করলে লাইন লম্বা হতো না। কার্ড সংশোধনের জন্য সামনের বছরে সময় দেওয়া হচ্ছে। ততদিন সরকারি জায়গায় কাজ করতে গেলে সমস্যায় পড়তে হবে।

23rd     September,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ