বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

দীঘা পুনর্গঠনের কাজ শেষ
করার উদ্যোগ পুজোর আগে

সৌমিত্র দাস, কাঁথি: যশ পরবর্তী পরিস্থিতিতে দীঘার পুনর্গঠনের কাজ পুজোর আগেই শেষ করতে তৎপর দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা। পুজোর সময় দীঘায় পর্যটকদের ঢল নামতে পারে বলেই মনে করছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। যদিও করোনার ঢেউ শুরু হওয়ার আগের বছরগুলিতে এই সময়েই দীঘায় ৭০শতাংশ হোটেল-লজে বুকিং হয়ে যেত। যশ ঘূর্ণিঝড়ের জেরে গত মে মাস থেকে সৈকতের সৌন্দর্যায়নের কার্যত বেহাল অবস্থা। কিছু কিছু জায়গায় ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট বা সৌন্দর্যায়নের পরিকাঠামোর হাল ফেরেনি এখনও। নিম্নচাপের বৃষ্টিই বারবার পুনর্গঠনের কাজে বাধ সাধছে। তবে, পুজোর আগে হাল ফেরাতে তৎপর সংস্থা।
প্রসঙ্গত, গত ২৬মে যশ ঘূর্ণিঝড় আর তীব্র সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে উপকূল এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমণির উপকূল এলাকা। ওল্ড দীঘায় সৌন্দর্যায়নের নানা পরিকাঠামোগুলির অধিকাংশই ভেঙে যায়। জলোচ্ছ্বাসে সৈকতের ধারে পর্যটকদের বসার আসন, বাঁধানো ফুটপাথ তছনছ হয়ে যায়। দীঘা বা অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের বিশ্ববাংলা উদ্যান যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, দীঘা থেকে শঙ্করপুর মেরিন ড্রাইভ রাস্তার একটি বিরাট অংশ ভেঙে যায়। সেবার প্রশাসনিক বৈঠক করে উপকূলের সৌন্দর্যায়নের পুনর্গঠনে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই দীঘা সহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের রাস্তাঘাট ও সৌন্দর্যায়নের পরিকঠামোর পুনর্গঠনের কাজ শুরু করে উন্নয়ন সংস্থা। ইতিমধ্যেই রাস্তাঘাট ও সৌন্দর্যায়নের হাল ফেরাতে প্রায় ১৩কোটি টাকা খরচ করেছে সংস্থা। অন্যদিকে, দীঘার উপকূল এলাকার ভগ্ন সমুদ্রবাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করে সেচদপ্তর। কিন্তু বারবার নিম্নচাপের বৃষ্টিই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সৌন্দর্যায়নের পরিকাঠামো এবং রাস্তাঘাটের বাকি কাজ কবে শেষ করা যাবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ে রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। 
দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে আশঙ্কা ছিল। চিকিৎসকরা তৃতীয় ঢেউ আসার সম্ভাবনা কম, একথা জানানোর পর তাঁদের বেড়াতে আসার ক্ষেত্রে সমস্যা নেই। তাছাড়া ট্রেন ও বাস চলছে। কিন্তু বর্তমান করোনা-পরিস্থিতি, তার উপর একের পর এক নিম্নচাপের প্রভাবে বেশ কিছুদিন ধরে আবহাওয়া খারাপ। তাই বুকিং কমে গিয়েছে। যদিও করোনা আসার আগের বছরগুলিতে ‌এই সময়টাতেই বুকিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যেত। তবে আমরা আশাবাদী, আবহাওয়ার উন্নতি হলেই হোটেল-লজে বুকিং শুরু হবে। পর্যটকদের সুবিধার্থে ক্ষতিগ্রস্ত পরিকাঠামো পুনর্গঠনের প্রাথমিক কাজও দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন।
উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানসকুমার মণ্ডল বলেন, যশ ঘূর্ণিঝড়ের পরে বারবার নিম্নচাপের বৃষ্টির কারণে কাজ থমকে যাচ্ছে। তবে  ইতিমধ্যেই ৬০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজ যথাসম্ভব পুজোর আগেই শেষ করার চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে ছোট কাজগুলি হয়ে গিয়েছে। বড় কাজ যেমন দীঘার দু’টি বিশ্ববাংলা উদ্যান সংস্কার, মন্দারমণির উপকূলের রাস্তাঘাট সংস্কারের কাজ এখনও বাকি আছে। তবে পুজোর আগে আমরা পর্যটকদের জন্য যতটা সম্ভব সাজানো-গোছানো দীঘা উপহার দিতে পারব বলে আশা করছি। পুজোর পরেই ক্ষতিগ্রস্ত মেরিন ড্রাইভ রাস্তার কাজ শুরু হবে। 

23rd     September,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ