বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

মুর্শিদাবাদে লাফিয়ে বাড়ছে
জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা
হাসপাতালে ভর্তি ১৭৫ জন

নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদে শিশুদের ভাইরাল ফিভার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। গত দু’দিনে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালে শিশু বেড ৬০টি। অথচ মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৭৫জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তাই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ চরম সমস্যায় পড়েছে। শিশুদের কারও কারও শরীরে নিউমোনিয়ার লক্ষ্মণ রয়েছে। তবে চিকিৎসকদের দাবি, আতঙ্কের কিছু নেই। জ্বর হলেই শিশুদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। প্রতি বছরই এই সময় ভাইরাল ফিভার হয়। কিন্তু এবার আক্রান্তের সংখ্যাটা একটু বেশি। তবে জেলায় এখনও পর্যন্ত শিশু মৃত্যুর খবর নেই। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এক থেকে দু’বছর বয়সি শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। 
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক তুষার সাহা বলেন, হঠাৎ করেই শিশুরা জ্বরে আক্রান্ত হতে শুরু করেছে। অনেকেই ভাইরাল নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হয়েছে। লক্ষ্মণ দেখে সেটা বোঝা যাচ্ছে। এমনিতে এই সময় ৭০-৮০ জন হাসপাতালে ভর্তি থাকে। এবার সংখ্যাটা অনেক বেড়ে গিয়েছে। অনেককে বেড দেওয়া যাচ্ছে না। মেঝেতে রেখে চিকিৎসা করতে হচ্ছে। অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জ্বর হলেই আতঙ্কিত হবেন না। তবে জ্বর হলে বাড়িতে শিশুদের ফেলে রাখা চলবে না। স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। 
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি অমিয়কান্তি বেরা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করে শিশুদের চিকিৎসার জন্য আমরা আইসিইউ বা অন্যান্য ব্যবস্থা করে রেখেছি। তবে আইসিইউতে কাউকে ভর্তি করতে হয়নি। শিশুদের পাশাপাশি বেশি বয়সি ছেলেমেয়েরাও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। অনেকে নিজেদের ইচ্ছেমতো ওষুধ খাচ্ছে। সেটা করা চলবে না। চিকিৎসকদের পরামর্শমতো চলতে হবে। 
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেলায় করোনার দাপট অনেকটাই কমে গিয়েছে। কোভিড হাসপাতালের বেড ফাঁকা পড়ে রয়েছে। তবে জেলার বাসিন্দাদের বেপরোয়া মনোভাব চিকিৎসকদের চিন্তায় রেখেছে। অধিকাংশ লোকজনই মাস্ক ছাড়া ঘুরছেন। কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। তাই পুজোর দিনগুলির কথা ভেবে চিকিৎসকদের অনেকেই চিন্তায় রয়েছেন। কারণ ওই সময় মাস্ক না পরলে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যাবে।
এক চিকিৎসক বলেন, এভাবে চলতে থাকলে আবার করোনা দাপট দেখাতে শুরু করবে। শিশুদের ক্ষেত্রেও বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। তবে আশার কথা, শিশুরা এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়নি। ভাইরাল ফিভারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শিশুদের মধ্যে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তবে কয়েকদিন চিকিৎসা চলার পর তারা সুস্থ হয়ে উঠছে। শিশুদের উপর এই সময় বেশি নজর দিতে হবে। বড়রা ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হলে যেমন তাঁদের মাথাব্যথা ও কাশি হয়। ছোটদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সেই কারণেই প্রথমেই তাদের চিকিৎসা করানো উচিত।

15th     September,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ