বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

পায়ে হেঁটে পূর্বস্থলী চষে বেড়াচ্ছেন
বিজেপি প্রার্থী জেএনইউ’র অধ্যাপক

সংবাদদাতা, কাটোয়া: বাড়িতে তখন কর্মীরা হাজির হয়েছেন পতাকা, ফেস্টুন নিয়ে। তাঁদের নিয়ে প্রচারে বের হবেন পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডঃ গোবর্ধন দাস। অল্প কিছু খাবার মুখে দিয়েই কর্মীদের নিয়ে পারুলিয়া বাজারের দিকে তিনি জনসংযোগ সারবেন। টিকিট পাওয়ার পর থেকেই তিনি একের পর এক অঞ্চলে, বুথস্তরে চষে বেড়াচ্ছেন। ঝড়ের গতিতে পূর্বস্থলী জুড়ে প্রচারে যথেষ্ঠ সাড়া ফেলে দিয়েছেন এই প্রার্থী। 
দিল্লিতে জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর গোবর্ধনবাবু পূর্বস্থলীর মাটি আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন। পারুলিয়াতেই তিনি বেড়ে উঠেছেন। ফলে এখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে যথেষ্ঠ ওয়াকিবহাল। বাজারে প্রতিটি ব্যক্তির কাছে হাতজোড় করে ভোট ভিক্ষা চাইছেন। তিনি বলেন, বাংলার মানুষ চৌত্রিশ বছর সিপিএমের শাসন দেখেছেন। অনুন্নয়নে ভরে গিয়েছে। গত দশ বছরেও খুব একটা কাজ হয়নি। তাই বিজেপিকে অন্তত একবার আনুন। তাছাড়া মানুষ আমাদের দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করছেন। 
গোবর্ধনবাবু কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকলেও এখানকার মানুষের সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক। তাই তিনি এখানে ঘরের ছেলে হয়ে উঠতেই চেয়েছেন। পারুলিয়ার বাসিন্দা নিতাই বৈরাগ্য, সুচাঁদ বিশ্বাস বলেন, গোবর্ধনবাবু তো আমাদের গর্ব। উনি আমাদের ভূমিপুত্র। ওঁর কাছে আমাদের অনেক আশা আছে। প্রার্থী বলেন, ক্ষমতায় এলে আমরা  ভাঙন রোধে পাকাপাকি কাজ করব। যাতে এখানকার মানুষকে আর বিপদের মুখে পড়তে না হয় তার জন্য সচেষ্ট হব। 
কালেখাঁতলা, নিমদহ, জামালপুর, বামুনিয়া প্রভৃতি অঞ্চলগুলিতে কর্মীদের সঙ্গে অক্লান্তভাবে পায়ে হেঁটে চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। বয়স্কদের দেখলেই তাঁদের পা ছুঁয়ে প্রণাম আর আলিঙ্গন করছেন তিনি। হাসিমুখে তাঁদের সমস্যার কথা শুনছেন। যেন তাঁদের কতকালের চেনা ব্যক্তি হাজির হয়েছেন। বামুনিয়ার বাসিন্দা সুফল কর্মকার বলেই ফেললেন, আমরাও এবার বিকাশ চাই। প্রার্থী বলেন, মানুষের মধ্যে এখন জাগরণ হয়েছে। তাই আমি জয়ের বিষয়ে  নিশ্চিত। 
সারাক্ষণ নিজের কেন্দ্রের প্রতিটি বুথের কর্মীদের খোঁজ নেওয়া থেকে শুরু করে তাঁরা কীভাবে বাড়ি বাড়ি পৌঁছচ্ছেন তার প্রতি তীক্ষ্ণ নজর গোবর্ধনবাবুর। শুধু তাই নয়, বিজেপির ইস্তাহারের প্রতিটি প্রতিশ্রুতি বা তৃণমূলের সমালোচনামূলক ই্যসু সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিদিন তুলে ধরার মতো সূক্ষ্ম কাজও করে চলেছেন। যাতে করে মানুষের মনে বিজেপি সম্পর্কে একটা ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। 
প্রচারে যেতে যেতে তিনি বলেন, দেখুন পূর্বস্থলীর মাটিতে আমি অনেক কাজ করব বলেই লড়াই করতে এসেছি। এখানকার মানুষ আমাকে নির্বাচিত করবেন। তাই তাঁদের দাবি আদায়ের জন্য আমাকে লড়তে হবে। কথার ফাঁকে মাঝেমধ্যেই কর্মীদের জয় শ্রীরাম স্লোগানে মুখরিত হয় এলাকা। প্রার্থীকে দেখেই কিছু সব্জি বিক্রেতা উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন। তাঁরা প্রার্থীর কাছে ছুটে আসেন। প্রার্থীও তাঁদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারপর আবার সামনের দিকে এগিয়ে যান। একের পর এক গ্রামে তাঁর গাড়ি ছুটে চলে। তারপর প্রখর রোদকে উপেক্ষা করেই তিনি পায়ে হেঁটে গ্রাম ঘোরেন। এই ক’দিনেই কর্মীদের সঙ্গে তাঁর একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। প্রতিটি কর্মীকেই তিনি নাম ধরে ডাকতে থাকেন। তা দেখে এক কর্মী বলেন, দাদার এটাই প্লাস পয়েন্ট। কয়েকদিন ধরেই দাদা আমাদের সঙ্গে ভালো করে মিশছেন। আগে শুধু ফোনে কথা হতো। তবে এখন দাদা আমাদের সবার নাম জানেন। শেষে কর্মীদের পরের দিনের প্রচারের রূপরেখা তৈরি করে আবার পারুলিয়ায় তাঁর বাসস্থানেই ফিরে যান। 

11th     April,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ