সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: শনিবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া ওমরপুরের একটি প্লাস্টিকের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ফলে বহু টাকার জিনিসপত্র পুড়ে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। পাশেই পেট্রোল পাম্প থাকায় গোটা এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা আশপাশের দোকান থেকে জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু সাধারণ মানুষ নিজেদের ক্ষমতায় এই ভয়ঙ্কর আগুনের মোকাবিলা করতে পারেনি। দেরিতে দমকল আসায় সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এদিকে জাতীয় সড়কের একটি লেন সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে আগুন ও যানজট সামাল দিতে বেগ পেতে হয় পুলিসকে। মুর্শিদাবাদ জেলা ডিএফও বামাপদ চৌধুরী বলেন, কীভাবে আগুন লেগেছে এখনও জানা যায়নি, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দমকলের মোট চারটি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা গিয়েছে, ওমরপুর জাতীয় সড়কের পাশেই একটি প্লাস্টিকের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফলে গুদামে থাকা সমস্ত মালপত্র পুড়ে যায়। তারপর, পাশের কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে মেশিনপত্র সম্পূর্ণ আগুন পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। গুদামটি এমনিতে সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকে। কিন্তু, পাশের লেদে রাত পর্যন্ত কাজ চলে। গুদামের শেষ প্রান্তে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠলে, পাশেই কারখানার কর্মরত কর্মীরা দেখতে পায়। আশপাশে থেকে লোকজন ছুটে আসে। ঘন্টা দেড়েক পর ধুলিয়ান ফায়ার স্টেশন থেকে দুটি গাড়ি আসে। পরে, বহরমপুর ও সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইঞ্জিন আসে। তারপর ঘন্টা আড়াইয়ের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরেই পেট্রোল পাম্প থাকায় আরও আতঙ্ক ছড়ায়। জাতীয় সড়কের একটি লেন বন্ধ করে দেওয়ায় সাময়িক যানজটেরও সৃষ্টি হয়।
তবে কীভাবে আগুন লাগল তা পরিস্কার নয়। মালিকের দাবি, যে গুদামে আগুনের উৎপত্তি সেখানে শর্ট সার্কিটের সম্ভাবনা নেই, কারণ ওখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। কেউ বাইরে থেকে আগুন ধরিয়ে না দিলে আগুন ধরার সম্ভাবনাই নেই। কারখানার মালিক মহম্মদ আব্দুল শেখ বলেন, আমি তো কোনওদিন কারও ক্ষতি করিনি। কে এমন দূর্ঘটনা ঘটাল তা পুলিস তদন্ত করে বের করুক, দোষীদের শাস্তি দিক। আমার সব শেষ হয়ে গেল। এদিকে, আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই দমকলের দাবিতে মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। গত মাসেই জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পাশের দোকানে আগুন লাগে। তখনও দ্রত দমকলের দাবিতে মানুষ বিক্ষোভ দেখায়।