বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
উত্তরবঙ্গ
 

জলপাইগুড়ি শহরের স্পোর্টস কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকা থেকে দেখা মিলল কাঞ্চনজঙ্ঘার। শুক্রবার দিলীপ রায়ের তোলা ছবি।

মরশুমের শুরুতেই
আমের বাজার মন্দা

সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: মালদহে মরশুমের শুরুতেই আমের বাজারে মন্দা দেখা দিয়েছে। এ বছর প্রচুর ফলন হওয়ায়  আমের দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এতে আমচাষি মহলে হতাশা দেখা দিয়েছে। ভালো প্রজাতির আম ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একটু তুলনামূলক কম মিষ্টি ও আঁটি প্রজাতির আম সর্বাধিক গড়ে ১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু হয়েছে।  জুন মাস পড়তেই মালদহের আম অনেকটা পেকে গিয়েছে। ফলে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বাগান থেকে আম পেড়ে কম দামে বিক্রি  শুরু করে দিয়েছেন চাষিরা। 
গত বছরের চেয়ে এ বছর আমের বাজার অনেকটা মন্দা থাকায় আম উৎপাদক মহল উদ্বিগ্ন। জেলার বাইরে আম না গেলে  তাদের অনেক লোকসান হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিকে সরকারি উদ্যোগে ভিনরাজ্যের বাজার ধরতে বিভিন্ন প্রজাতির ২৭ মেট্রিক টন আম দিল্লির হ্যান্ডলুম হাটে  নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এছাড়াও দু’টন আমজাত দ্রব্য যেমন জ্যাম, জেলি, আচার, আমসত্ত্ব  পাঠানো হচ্ছে। মালদহ জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর সামন্ত লায়েক বলেন, মালদহে এবছর আমের বাজার মন্দা। ভালো মানের আম কম দামে বিক্রি হচ্ছে। কারণ, এ বছর আমের ব্যাপক ফলন হয়েছে। ঝড়বৃষ্টিতে কিছু আম ঝড়ে গেলেও এখনও যে পরিমাণ আম গাছে আছে, তার জোগান অনেকটাই বেশি। ফলে বাজারে আমের দাম কম। তবে সরকারি উদ্যোগে আমরা শুক্রবার থেকে  দিল্লির  বাজার ধরতে ল্যাংড়া,  হিমসাগর  সহ ১৫টি প্রজাতির আম পাঠানো শুরু করছি। দিল্লিতে ৫ জুন থেকে আম উৎসব রয়েছে।  
মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, আমের পাইকারি দর খুব কম। ভালো কোয়ালিটির আম ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দামের নিরিখে গত বছরের চেয়ে যা অনেকটাই কম। জেলা থেকে আম বাইরে না গেলে চাষিরা ভালো দাম পাবেন না। এবিষয়ে চাঁচলের ভাগভাদো গ্রামের আম বিক্রেতা মহম্মদ নাসিম বলেন, সামসির বাজারে আমের দাম খুবই কম। তবুও গ্রাহক নেই। বাইরে থেকে বাসযাত্রীরা এলে, তাঁরাই আম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। 
মালদহে এবছর  ৩ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন  আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর  আমের উত্পাদন একটু কম  হলেও  গড়ে  ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এবার মরশুমের শুরুতেই  আমের দর পড়ে গিয়েছে। এতে একদিকে সাধারণ মানুষের  পক্ষে ভালো হলেও চাষি ও ব্যবসায়ীরা  ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে তাঁদের দাবি। বাজারে হিমসাগর আমের পাইকারি দাম ২০ টাকা কেজি। ল্যাংড়া ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গোপালভোগ ১২ টাকা, লক্ষ্মণভোগ ১২ টাকায় বাজারে গড়াগড়ি খাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গুঁটি আমের  দাম আরও কম। ফলে আম চাষিরা হতাশ হচ্ছেন।  নিজস্ব চিত্র

2nd     June,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ