বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
উত্তরবঙ্গ
 

আমগুড়িতে হাইটেনশন তারে গাছের ডাল,
৫০টি বাড়ির বৈদ্যুতিন সামগ্রী নষ্ট

সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: গাছের ডাল হাইটেনশন তারের সংস্পর্শে আসতেই ক্ষতিগ্রস্ত হল ৫০টি বাড়ির বৈদ্যুতিন সামগ্রী। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের চারেরবাড়িতে। অগ্নিদগ্ধের হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পান কয়েকজন। যদিও ইলেক্ট্রিক শক খেয়েছেন বেশ কয়েকজন। এমন ঘটনার খবর পেয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের লোকজন গ্রামে আসতেই ক্ষতিপূরণের দাবিতে সরব হন গ্রামবাসীরা। 
বুধবারের এই ঘটনায় একজনের ইটের দেওয়াল তোলা বাড়িতে ফাটল ধরে যায়। অনেকের মিটার বক্স আগুনে পুড়ে গিয়েছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, তাঁদের অনেকের টিভি, ফ্রিজ, চার্জে বসানো মোবাইল ফোন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একটি বাড়িতে লাগানো সিসি ক্যামেরা অচল হয়ে গিয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, সকালে আচমকা বিকট একটি শব্দ হয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘরের বিদ্যুতের তারে আগুন ধরে যায়। অনেকের বাড়িতে ফ্যান চলছিল, ফ্যান বন্ধ হয়ে যায়। লাইট ফিউজ হয়ে যায়। অধিকাংশ বাড়িতেই একই ঘটনায় লোকজনের মধ্যে আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। অনেকের ঘরের স্যুইচ বোর্ড থেকে আগুনের হলকা বের হয়। স্থানীয় বাসিন্দা রঘুনাথ মণ্ডলের বাড়ির পাকা দেওয়াল ফেটে যায়। মিটার বক্স পুড়ে কালো হয়ে যায়। তাঁর টিভি থেকে কালো ধোঁয়া বের হয়। 
তিনবছর আগে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত  টাওয়ার বসানো হয়। ওই বিদ্যুৎবাহী তার চারেরবাড়ির উপর দিয়ে গিয়েছে। সেই তারের সংস্পর্শে আসে রঘুনাথ মণ্ডলের বাগানের একটি গাছ। আর তা থেকেই এদিন এমনটা হয়। পরে বিদ্যুৎ দপ্তরের লোকজন গাছ কাটার জন্য এলে রঘুনাথাবাবু সহ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীরা সরব হন। তাঁরা তাঁদের বৈদ্যুতিন সামগ্রীর ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। 
রঘুনাথ মণ্ডল বলেন, আমার বাগানের উপর দিয়ে হাইটেনশনের তার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাইনি। তাই বাগানের গাছ কাটতে দিইনি। তবে এমনটা হবে ভাবতে পারিনি। এদিন বিদ্যুৎ দপ্তরের লোকজন আসেন। তাঁদের কাছে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য ফের আর্জি জানিয়েছি। 
এলাকায় আসা বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক আশিস কর বলেন, ক্ষতিপূরণ নিয়ে রঘুনাথ মণ্ডলের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পরিবারটি অনেক টাকা চেয়েছিল। যেটা অন্যায্য ছিল। দপ্তর থেকে ওঁর জমি ব্যবহারের জন্য ১৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। পরিবারটি গাছের জন্য আরও টাকা চায়। আগে যতবার আসা হয়েছে, গাছ কাটতে দেয়নি ওরা। যারজন্যই এদিন এতবড় ঘটনা ঘটে যায়। কার কী ক্ষতি হয়েছে সেই ব্যাপারে সমীক্ষা করে দেখা হবে। তারপর উপর মহলে রিপোর্ট পাঠাব। সেখান থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বর্ণালী রায় সেন বলেন, আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখেছি ৫০টির বেশি বাড়ির অধিকাংশ বৈদ্যুতিক সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা এবং পুলিস এসেছিল। আমিও চাই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। এ নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে কথা বলব।

23rd     March,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ