বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
উত্তরবঙ্গ
 

স্কুলে শিক্ষকদের অনুপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ 
তৃণমূল বিধায়কের, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

সংবাদদাতা, দিনহাটা: স্কুলে অধিকাংশ শিক্ষকই অনুপস্থিত। বেলা ১২টাতেও স্কুলে এসে পৌঁছতে পারেননি শিক্ষকরা। স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে এই দৃশ্য দেখে বেজায় চটলেন সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া। বুধবার দুপুরে দিনহাটা-১ নং ব্লকের গোসানিমারি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় নাটাবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে তিনজনই অনুপস্থিত। এরপরেই তিনি স্কুল পরিদর্শককে ফোন করেন। শিক্ষকরা কেন অনুপস্থিত, তা খতিয়ে দেখে স্কুল পরিদর্শককে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তৃণমূল বিধায়ক। জানা গিয়েছে, এদিন ‘অঞ্চলে একদিন’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গোসানিমারি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যান সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান সুধাংশু রায়, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেন সহ অন্যান্যরা। গ্রামে বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ কর্মসূচি করার পাশাপাশি সেখানে থাকা বড় নাটাবাড়ি প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শনে যান বিধায়ক। তিনি স্কুলে গিয়ে দেখেন বেলা ১২টা পেরিয়ে গেলেও, চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে স্কুলে উপস্থিত মাত্র একজন শিক্ষিকা। তা দেখে স্কুলের বাকি শিক্ষকরা কেন গরহাজির তা জানতে চান শিক্ষিকার কাছে। এক শিক্ষক ছুটির আবেদন জানালেও, বাকি দু’জনের কোনও ছুটির আবেদনপত্রও দেখাতে পারেননি স্কুলে উপস্থিত শিক্ষিকা। এরপরেই ক্ষুব্ধ বিধায়ক ফোন করেন দিনহাটা-২ নং সার্কেলের স্কুল পরিদর্শককে। কেন কোনও ছুটি ছাড়াই স্কুলের শিক্ষকরা অনুপস্থিত, তা জানতে চান। শিক্ষকরা কেন স্কুলে অনুপস্থিত তা খতিয়ে দেখে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন বিধায়ক।  
স্থানীয়দের অভিযোগ, দিনের পর দিন ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত স্কুলে আসেন না। স্কুলে আসা-যাওয়ার সময়ও ঠিক নেই। ফলে স্কুলের শিক্ষার মান কমছে। সেই সঙ্গে স্কুলের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে পড়ুয়ার সংখ্যাও কমছে। বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া বলেন, স্কুলে চার জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। অথচ, উপস্থিত মাত্র একজন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছুটিতে, বাইরে রয়েছেন। আর বাকি দুই শিক্ষক অনুপস্থিত। এসবের জন্য পড়ুয়াদের মধ্যে সরকারি স্কুলে আসার অনীহা বাড়ছে। ফলে ড্রপ আউটের সংখ্যা বাড়ছে। এসআইকে ফোন করে শিক্ষকরা কেন স্কুলে অনুপস্থিত তা খতিয়ে দেখে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি। 
দিনহাটা-২ নম্বর সার্কেলের স্কুল পরিদর্শক সুদীপ মজুমদার বলেন, বিধায়ক ফোন করেছিলেন। স্কুলে একজন শিক্ষিকা ছাড়া কেউ ছিলেন না, তা জানিয়েছেন। কেন তাঁরা আসেননি, তা খতিয়ে দেখা হবে।  নিজস্ব চিত্র

23rd     March,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ