বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
উত্তরবঙ্গ
 

দলে গোষ্ঠীকোন্দল রুখতে
কড়া বার্তা ব্লক সভাপতির

সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: পুরাতন মালদহ শহরে এখন আক্ষরিক অর্থেই ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’। শহরের যত্রতত্র পোস্টার, হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে। শহরের আনাচে কানাচে তাকালেই রাস্তার ধারে, বিদ্যুতের খুঁটিতে, দেওয়ালে সব জায়গায় পোস্টার, ফেস্টুন, হোর্ডিং দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্থার পোস্টার, ব্যানারেও ছয়লাপ শহর। 
স্বভাবতই এনিয়ে দৃশ্যদূষণের অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা। শহরের প্রাণকেন্দ্রে রাস্তার উপরেও বিজ্ঞাপনের সংখ্যা বাড়ছে। এতে পথচলতি মানুষ ও গাড়ি চালকরা সমস্যায় পড়ছেন। পুর এলাকায় পোস্টার, হোর্ডিং দিতে গেলে পুরসভার অনুমতি নিতে হয়। এক্ষেত্রে অনেকেই অনুমতি না নিয়েই বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং টাঙিয়ে দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষের নজরদারির দাবি উঠেছে। 
যদিও পুরাতন মালদহ পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার শুভ্র দাস বলেন, অনুমতি ছাড়া যদি কেউ পোস্টার, ব্যানার, হোর্ডিং লাগিয়ে থাকে, তাহলে আমরা তা খুলে ফেলব। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের কথায়, বিজ্ঞাপন লাগানোর জন্য কারা কারা অনুমতি নিয়েছে এবং কারা নেয়নি, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহর জুড়ে বিজ্ঞাপন ছেয়ে গিয়েছে। এতে দৃশ্যদূষণ হচ্ছে। যা পরিস্থিতি তাতে শহরে বিজ্ঞাপনের পোস্টার, হোর্ডিং টাঙানোর নির্দিষ্ট নিয়ম আছে বলে মনে হয় না। পুরাতন মালদহ পুরসভার বাম পুরবোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ সুকুল বলেন, শহর জুড়ে ভুরি ভুরি পোস্টার, হোর্ডিং টাঙানো আছে। আদৌ সেগুলির বৈধ অনুমতি রয়েছে কি না, সেটা পুর প্রশাসন ভালো বলতে পারবে। নিয়ম অনুযায়ী পুরসভার অনুমতি নেওয়া দরকার। 
বিজেপির পুরাতন মালদহ নগর মণ্ডলের নেতা সুজিত দাস বলেন, পুরসভার নিজস্ব হোর্ডিং টেন্ডারের মাধ্যমে যে সমস্ত বিজ্ঞাপন রয়েছে, তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু যত্রতত্র বেআইনি ভাবে বিদ্যুতের খুঁটিতে বা সরকারি কোনও জায়গায় পোস্টার, ব্যানার, হোর্ডিং যাঁরা টাঙিয়ে রেখেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। 
পুরাতন মালদহ শহরের বুলবুলি মোড় থেকে সদরঘাট, মালদহ কোর্ট স্টেশন রোড, শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরঙ্গী মোড় থেকে মির্জাপুর মোড়, চৌরঙ্গী মোড় থেকে নলডুবি রেলগেট, এছাড়াও মৌলপুর হাসপাতাল থেকে নবাবগঞ্জ, সর্বত্রই বিভিন্ন সংস্থার পোস্টার, ব্যানারে ছয়লাপ। মহানন্দার প্রথম সেতু থেকে শুরু করে গৌড় কলেজ রোডের উপরেও বড় বড় হোর্ডিং চোখে পড়ছে। সেগুলির বৈধতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। 
পুর আইন অনুযায়ী, রাস্তার ধারে হোর্ডিং, ব্যানার লাগিয়ে কোনও সংস্থার বিজ্ঞাপন দিতে হলে পুরসভার অনুমতি নিতে হয়। পুরসভা  নির্দিষ্ট জায়গায় বর্গমিটার অনুযায়ী চার্জ নির্ধারণ করে থাকে। এনিয়ে সংস্থার সাথে পুরসভার চুক্তি হয়ে থাকে। তারপরেই পোস্টার, ব্যানার, হোর্ডিং টাঙাতে পারে।

26th     January,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ