বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
উত্তরবঙ্গ
 

বাণিজ্যিকভাবে শীতকালীন ফুল চাষে
জোর রাজ্যের উদ্যানপালন দপ্তরের

সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: বাণিজ্যিক ভাবে জেলায় শীতকালীন ফুল চাষে জোর দিয়েছে উদ্যানপালন দপ্তর। জেলার উদ্যানপালন দপ্তরের উদ্যোগে সরকারি সহায়তায় বাণিজ্যিক ভাবে গাঁদা, গ্ল্যাডিওলাস ও গোলাপ ফুল চাষের মাধ্যমে চাষিদের স্বনির্ভর করার দিশা দেখাচ্ছে দপ্তর। জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের দেখানো পথে ফুল চাষে আগ্রহ বেড়েছে জেলার ক্ষুদ্র চাষিদের। খুব অল্প খরচে অল্প সময় গাঁদা ফুল, গ্ল্যাডিওলাস ও গোলাপ ফুল চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। জেলায় ফুলের ভালো বাজার থাকায় উৎসবের মরশুমে  চাষিরা উৎপাদিত ফুল অর্ডার অনুযায়ী সরবরাহ করছেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট, কুমারগঞ্জ, গঙ্গারামপুর, বংশীহারি ব্লক এলাকায় ব্যাপক ভাবে মরশুমের গাঁদাফুল, গ্ল্যাডিওলাস ও গোলাপ ফুল  চাষ করছেন কৃষকরা। গতানুগতিক ফসল চাষের তুলনায় মরশুমি ফুল চাষের ভালো লাভ ও চাহিদা থাকায় জেলার চাষিরা ভিন্ন রকম চাষের সাথে যুক্ত হয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাজুড়ে এবার ১০০ হেক্টর জমিতে গাঁদাফুল, গ্ল্যাডিওলাস ও গোলাপ  চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। 
দপ্তরের সহযোগিতায় এবারে গোলাপ ফুলের চারা দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। রাষ্ট্রীয় কৃষিবিকাশ যোজনার মাধ্যমে কৃষকরা সরকারি আর্থিক সাহায্য পাচ্ছেন। জেলায় ফুল চাষে সাফল্য আসায় গাঁদাফুল, গ্ল্যাডিওলাস চাষের সাথে নতুন করে গোলাপ যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছেন কৃষকরা। জেলায় উৎপাদিত ফুল চাহিদা মেটাচ্ছে। তাই বাইরের জেলা থেকে ফুল আসা বন্ধ হয়েছে। 
জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক সুমন কর বলেন  এই জেলায় ফুলের একটা ভালো চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এখানকার কৃষকরা গতানুগতিক চাষের সাথে যুক্ত রয়েছেন। জেলার ফুলের বাজারগুলি দক্ষিণবঙ্গের ফুলের উপর নির্ভর করে। জেলার প্রতিটি ব্লকে ঘুরে ক্ষুদ্র চাষিদের সাথে কথা বলে ও সরকারি ভাবে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মরশুমের গাঁদাফুল চাষের সাথে যুক্ত করতে পেরেছি। গাঁদা, গ্ল্যাডিওলাস ও গোলাপ ১০০ হেক্টর জমিতে চাষ করার টার্গেট নিয়ে কাজ শুরু করেছি। বিঘা প্রতি কৃষকদের গাঁদা ফুল চাষের জন্য ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। তিন মাসে বিঘা প্রতি কৃষকদের লাভের পরিমান  ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আমরা দপ্তর থেকে গাঁদা ফুলের বীজ ও জৈব সার দিয়েছি। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনায় কৃষকদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে। 
কুমারগঞ্জ ব্লকের ফুল চাষি জহিরুল সরকার বলেন, জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের পরামর্শে আমি এক বিঘা জমিতে শীতকালীন গাঁদাফুল, গ্ল্যাডিওলাস ও গোলাপ চাষ শুরু করেছি। উৎসব ও বিয়ের মরশুমে জেলায় ফুল বিক্রি করছি। মালদহেও ফুল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বর্তমানে শীতের মরশুম পড়তেই পাইকারি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে ফুল বিক্রি হচ্ছে। আগামী তিন মাস ফুল বিক্রি করব। অন্যান্য চাষের তুলনায় এই ফুল চাষ কম পরিশ্রমে অনেক বেশি লাভজনক। গত বছরে ফুল চাষ করে লাভবান হয়েছি। মিলেছে সরকারি আর্থিক সাহায্য। এবারে একটু বেশি জমিতে চাষ করেছি। সারা বছর যাতে করে ফুল চাষ করতে পারি সেজন্য পরিকাঠামো তৈরি করে ফেলেছি।

27th     November,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ