বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
উত্তরবঙ্গ
 

২৪ ঘণ্টায় ৬৫০টি নমুনার
 মধ্যে ৩৫০ জনই পজিটিভ

নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: মালদহে ফের করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। বুধবার রাতে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা হওয়া ৬৫০টি নমুনার মধ্যে ৩৫০টির ফলাফল পজিটিভ এসেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অল্প সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করা সত্ত্বেও এতজনের করোনা পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি একরকম রেকর্ড বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। জেলায় সবমিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট পজিটিভ হয়েছেন ৩৯৮ জন। র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় বেশ কয়েকজন পজিটিভ হওয়ায় সংখ্যাটা বেড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অল্প সময়ের মধ্যেই ১০ হাজার পার করে যাবে বলে স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকদের আশঙ্কা। 
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি ডাঃ পুরঞ্জয় সাহা বলেন, আগে গৌড়বঙ্গের তিন জেলার নমুনা মেডিক্যালের ল্যাবে পরীক্ষা হতো। বর্তমানে মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। বুধবার রাতে মোট ৯৭৬টি নমুনা ল্যাবে আসে। তারমধ্যে মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের যথাক্রমে ৬৫০ এবং ৩২৬টি নমুনা ছিল। মালদহের ৩৫০টি এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের ১৪২টি নমুনা পজিটিভ হয়। মালদহের পজিটিভ নমুনার হার প্রায় ৫৪ শতাংশ। তিনি বলেন, বর্তমানে সিংহভাগ করোনা আক্রান্তই উপসর্গহীন। আমরা মেডিক্যালে সব বয়সের আক্রান্তদের জন্য প্রায় ৩০০টি বেড প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। কিন্তু তেমন রোগী আসছে না। বর্তমানে সবমিলিয়ে মাত্র ১১ জন রোগী কোভিড ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বা‌ইরে, একথা বলা যাবে না। সকলে করোনা বিধি মানলে দ্রুত আমরা এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে পারব।
মালদহের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (দুই) ডাঃ অমিতাভ মণ্ডল বলেন, জেলায় দৈনিক সংক্রমণ বর্তমানে ৪০০ আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। কিছুদিন আগে সংখ্যাটা ৬০০-র আশপাশে ছিল। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। কিছুদিনের মধ্যে সংক্রমণের হার কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 
উল্লেখ্য, মালদহে তিনটি ঢেউয়েই করোনা সংক্রমণ প্রশাসন এবং স্বাস্থ্যদপ্তরের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইংলিশবাজার শহরে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। এবার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার মুখে ইংলিশবাজার শহরে উৎসব ও মেলার আয়োজন করা হয়। তার জেরে অনেকেই আক্রান্ত হন বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। উৎসবে অল্প জায়গার মধ্যে ঠাসাঠাসি করে বহু মানুষ দর্শকাসনে বসেন। তারফলে একজনের থেকে অন্যজনের মধ্যে সহজেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তাছাড়া চিকিৎসকদের মতে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় করোনা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বেশি সংক্রামক। ফলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। তবে ওইসময় প্রশাসনের তরফে বারবার বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করা হলেও আয়োজকরা তাতে কর্ণপাত করেননি। তার ফল ইংলিশবাজার ও আশাপাশের এলাকার বাসিন্দাদের ভুগতে হয়েছে। 
এদিকে, চিকিৎসকদের একাংশ আবার স্বল্পমাত্রায় করোনা পরীক্ষা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। পজিটিভ রোগীর সংখ্যা কম দেখানোর জন্য টেস্ট কম হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। তারফলে প্রকৃত চিত্র উঠে আসছে না বলে চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন। 
মালদহ মেডিক্যালের এক চিকিৎসক বলেন, বর্তমানে ৫০ শতাংশেরও বেশি নমুনা পজিটিভ হচ্ছে। মাত্র ৬৫০টি নমুনার মধ্যে ৩৫০টি পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি হাল্কাভাবে দেখলে হবে না। আরও বেশি করে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে অন্তত বাস্তব চিত্রটা কিছুটা হলেও বোঝা যায়। মালদহে প্রায় ৫৫ লক্ষ মানুষ বাস করেন। সেই তুলনায় দৈনিক ৬০০-র আশপাশে নমুনা পরীক্ষা করা সমীচিন নয় বলে আমার মনে হয়।

21st     January,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ