বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
উত্তরবঙ্গ
 

রাজ্যে মিড ডে মিল ও রেশন ব্যবস্থাপনায়
কোভিডে অনেকটা রেহাই পেয়েছে শিশুরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: মিড ডে মিল ও রেশন ব্যবস্থার জন্য অতিমারীতে অভুক্ত থাকতে হচ্ছে না শিশুদের। শনিবার জলপাইগুড়িতে শিশু সুরক্ষা ও নির্যাতনের বিষয়ে একটি কর্মশালায় একথা জানান রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। একই সঙ্গে তিনি শিশু শ্রমিক ও স্কুল ছুটের সংখ্যা, বাল্যবিবাহ বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশও করেছেন। স্কুল খোলার পর এব্যাপারে সমীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন।
এদিন মালদহ ও জলপাইগুড়ি জেলার শিশু সুরক্ষা, শ্রমদপ্তর, চাইল্ড লাইন, স্বাস্থ্যদপ্তর, পুলিস সহ বিভিন্ন দপ্তরকে নিয়ে ওই কর্মশালা করা হয়।
জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের অফিসে আয়োজিত ওই কর্মশালায় রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের চেয়ারপার্সন বলেন, কোভিড অতিমারীর জেরে সকলকে চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তবু, বছর দু’য়েক ধরে চলা অতিমারীতে শিশুদের অভুক্ত থাকতে হয়নি। পুষ্টিকর মিড ডে মিল ও রেশন ব্যবস্থার জন্য সকলের কাছেই খাবার পৌঁছেছে। এখনও শিশুরা নিয়মিত খাবার পাচ্ছে।
তবে, শিশু শ্রমিক ও বাল্যবিবাহ বাড়তে পারে বলে কর্মশালায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের চেয়ারপার্সন। তাঁর কথায়, যেহেতু স্কুল বন্ধ, মানুষের কাজ চলে গেছে, অনেকের মাইনে কমে গেছে, তাই আশঙ্কা করছি চাইল্ড লেবার বেড়ে গেছে, বাল্যবিবাহ বাড়ছে। বেড়েছে স্কুলছুটের সংখ্যাও। স্কুল খুললেই এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য পাওয়া যাবে। আগামীতে এ ব্যাপারে স্কুলে স্কুলে গিয়ে সমীক্ষা চালানো হবে।
কোভিডের থাবায় অনাথ হওয়া শিশুদের সুরক্ষা প্রদানের ব্যাপারেও এদিনের কর্মশালায় আলোচনা করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, দু’বছর ধরে চলা করোনা ভাইরাসের দাপটে জলপাইগুড়ি জেলায় অনাথ হয়েছে ১১৪ জন। কোভিডের থাবায় মালদহে অনাথ শিশুর সংখ্যা ৭৫ জন। এইসব শিশুদের একটা তালিকা ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের কাছে জমা পড়েছে। এই কর্মশালা থেকে ওই শিশুদের সুরক্ষা, পড়াশুনার ব্যাপারে কী ধরনের পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। শিশুদের সাহায্যার্থে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিশেষজ্ঞদের মতামত শোনা হয়। চেয়ারপারসন বলেন, কোভিড পরবর্তী পর্যায়ে বাচ্চাদের কি অবস্থা, তারা কতটা নির্যাতিত হচ্ছে, তাদের কি কি অসুবিধা, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য কেমন আছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজখবর করা হচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন জেলা থেকে বাচ্চাদের একটা তালিকা নেওয়া হয়েছে। পুজোর পর স্কুল খোলার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাচ্চাদের স্কুলমুখী করতে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। এজন্য স্কুল খোলার আগে বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।এছাড়া, কর্মশালায় অনেকে বলেন, অতিমারীতে অনাথ শিশুদের সরকারি হোমে রাখতে অসুবিধা হতে পারে। তাই সেইসব শিশুদের দায়িত্ব তাদের নিকট আত্মীয়দের দেওয়া যেতে পারে। সুস্থ পরিবেশে ওই শিশুদের যথাযথভাবে লালনপালন করা হচ্ছে কিনা তাও সরকারিভাবে নজর রাখা হবে। এজন্য সারপ্রাইজ ভিজিট করা হবে।এদিকে, শিশুদের সুরক্ষায় ব্যবহৃত হেল্পলাইন -১০৯৮ নম্বরটি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জেলা পুলিসের অতিরিক্ত পুলিস সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলাশাসক তেজস্বী রানার পরামর্শ টাকা দিয়ে সাহায্য করার থেকে অনাথ শিশুদের সঠিকভাবে লালনপালন করা বেশি প্রয়োজন।অন্যদিকে, শিশুদের আইনি ভাবে দত্তক দেওয়ার জন্য জলপাইগুড়িতে একটি স্পেশালাইজ অ্যাডপশন এজেন্সি(সা) তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের চেয়ারপার্সন জানান। 

26th     September,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ