বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
উত্তরবঙ্গ
 

প্রতিমা বিসর্জনে এখন ডিজের
দাপট, কদর কমেছে ঢাকিদের

সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: ডিজের দাপটে কদর কমছে ঢাকিদের। তাই ক’বছর ধরে দুর্গাপুজোয় সেইভাবে ঢাকিদের ডাক আসছে না। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই পেশা বদলে নিয়েছেন। যাঁরা পেশা বদলাতে পারেননি তাঁরা চরম সঙ্কটের মধ্যে দিয়েই দিনযাপন করছেন। একসময় বিশ্বকর্মা পুজোর আগে থেকে ঢাকিদের ব্যস্ততা শুরু হয়ে যেত। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও অসম থেকে ময়নাগুড়ির ঢাকিদের দুর্গাপুজোয় ঢাক বাজানোর ডাক আসত। কিন্তু, এখন ওসব অতীত। পূর্বপুরুষের হাত ধরে শেখা ঢাকের তালে বোল তোলাই এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঢাকিদের।
ময়নাগুড়ি ঢাকি নরহরি দাস, তপন দাস বলেন, পাঁচবছর আগেও ঢাক বাজিয়ে যে টাকা উপার্জন করতাম তা দিয়ে অনায়াসে সংসার চলে যেত। কিন্তু, এখন কাজ নেই বললেই চলে। স্মৃতিচারণ করে তপনবাবু বলেন, বিশ্বকর্মা পুজো আসার আগে থেকেই ঢাক ঠিকঠাক করতাম। পাড়ার সব ঢাকিরা জড়ো হয়ে মহড়া দিয়ে নিজেদের ঝালিয়ে নিতাম। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবটাই যেন হারিয়ে যাচ্ছে। এখন তো ঢাকের ক্যাসেট মণ্ডপে মাণ্ডপে বাজানো হয়। ডিজে আসায় প্রতিমা নিরঞ্জনে ঢাকিরা ব্রাত্য হয়ে গিয়েছে। অনেক ঢাকিই এখন টোটো চালিয়ে সংসার যাপন করছেন। হয়তো একসময়ে ঢাক বাজানো পেশাটাই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। 
ঢাকিদের পাশাপাশি ঢাক বানানোর দোকানগুলির একই পরিস্থিতি। ওসব দোকানদারদের দাবি, কয়েক বছর ধরেই নতুন ঢাক তৈরির অর্ডার আসছে না। ফেটে যাওয়া ঢাক ঠিক করার টুকিটাকি অর্ডার আসে। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মিঠুন দাস বলেন, আমাদের ঢাক বানানো এবং সারাইয়ের দোকান আছে। আগে ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম থেকে নতুন ঢাক তৈরির অর্ডার অসত। পুজোর দু’মাস আগে নাওয়া-খাওয়া ভুলে যেতে হতো। কিন্তু, এখন শুধু ঢাক সারাইয়ের কাজ করছি। এভাবে কতদিন আর চলবে বুঝতে পারছি না। 

26th     September,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ