বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
বিদেশ
 

কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র দিয়েও শংসাপত্রে
আপত্তি ব্রিটেনের, অনিশ্চয়তায় ভারতীয়রা
‘পারস্পরিক স্বীকৃতি’র দাবি মোদির

লন্ডন ও নয়াদিল্লি: চাপে পড়ে ভ্যাকসিন ইস্যুতে পিছু হটল ব্রিটেন। আমেরিকার পর তাদের দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে করোনার টিকা কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র দিল বরিস জনসন সরকার। তবে টিকাকরণের শংসাপত্র নিয়ে আপত্তি তুলেছে তারা। ফলে কোভিশিল্ডের দু’টি ডোজ নেওয়ার থাকলেও, ব্রিটেনে পৌঁছে আইসোলেশনেই থাকতে হবে ভারতীয়দের। যদিও, ব্রিটেনের এই নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে ভারত বলেছে, টিকার শংসাপত্র নিয়ে কোনও সমস্যাই নেই। পাশাপাশি ভারতের অস্বস্তি বাড়িয়েছে ব্রিটেনের ছাড়পত্র পাওয়া ১৭ দেশের তালিকা। কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি দিলেও সেখানে ভারতের নাম নেই। এ প্রসঙ্গে কোনও ব্যাখ্যাও দেয়নি ব্রিটেনের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা দপ্তর (ডিএইচএসসি)। সবমিলিয়ে ব্রিটেনের এই ‘প্যাঁচে’ অনিশ্চয়তায় পড়েছেন ভারতীয়রা। ব্রিটেনের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যেই ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটের ‘পারস্পরিক স্বীকৃতি’র দাবি তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত গ্লোবাল কোভিড-১৯ সম্মেলনে এই দাবি তুললেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারীর আর্থিক ধাক্কা সামলানোর দিকেও নজর দিতে হবে আমাদের। সেকথা মাথায় রেখেই আন্তর্জাতিক ভ্রমণ আরও সহজ করা উচিত। এজন্য ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটের পারস্পরিক স্বীকৃতি প্রয়োজন। পাশাপাশি এদিন মোদি জানান, উৎপাদন বৃদ্ধি হওয়ায় ভারত ফের টিকার রপ্তানি শুরু করবে। তবে তার সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, টিকা উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচা মালের সরবরাহও ব্যাহত করা চলবে না।
কোভিড পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের ‘হলুদ’ তালিকায় রয়েছে ভারত। আগামী ৪ অক্টোবর থেকে লাল, হলুদ ও সবুজ এই তালিকা বাতিল করে ব্রিটিশ সরকার শুধুমাত্র লাল সতর্কতা চালু করছে। কিন্তু, সেখানে গোলযোগ বাধে কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি না দেওয়া নিয়ে। তারপরেই শুরু হয় বিতর্ক। কেননা, কোভিশিল্ড পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদন করলেও আদতে ভ্যাকসিনটি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার। অর্থাৎ, দু’টি ভ্যাকসিনই অভিন্ন। ব্রিটেনের নয়া নিয়মে বলা হয়, ভারতীয় সহ যেসমস্ত যাত্রী স্বীকৃতি পাওয়া টিকা নেননি এবং শংসাপত্র নেই, তাঁদের ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক ট্রাভেল বিধি অনুযায়ী ভ্রমণের আগে কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। এছাড়া ব্রিটেনের পা দেওয়ার দু’দিন এবং আটদিন পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হবে। এবং ব্রিটেনে প্রবেশের পর ১০ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। এই ইস্যুতে পাল্টা চাপের কৌশল নেয় নয়াদিল্লি। মঙ্গলবার বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা সাফ জানিয়ে দেন, ‘কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি না দেওয়া ব্রিটেনের অত্যন্ত বৈষম্যমূলক আচরণ। ভারতেরও কিন্তু পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রয়েছে।’ তারপরেই কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র দিল ব্রিটিশ সরকার। কিন্তু,  ছাড়পত্র দিলেও ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট নিয়ে জনসন সরকার আপত্তি তুলেছে। তাদের বক্তব্য, কোভিশিল্ডে আপত্তি না থাকলেও, ভারতে দেওয়া টিকার শংসাপত্র নিয়ে সন্দেহ রয়েছে তাদের। সে জন্যই ভারতের টিকা নেওয়ার শংসাপত্র দেখিয়েও লাভ হবে না ব্রিটেনে। অর্থাৎ, নয়া ট্রাভেল নীতিতে সেদেশে ১০ দিনের আইসোলেশন বাধ্যতামূলক। ভারত এবিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) সিইও আর শর্মা বলেছেন, ‘শংসাপত্র নিয়ে কো-উইনে কোনও সমস্যা নেই। হু-এর নিয়ম অনুযায়ী এই সিস্টেম তৈরি হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনের হাই কমিশনার সেই ব্যবস্থা, প্রযুক্তি বুঝতে আমার কাছে এসেছিলেন।’ এরপরই রাতে ব্রিটিশ প্রশাসন জানায়, কো-উইন এবং এনএইচএস অ্যাপের শংসাপত্র যাতে দুই দেশে বৈধ হয়, সেই আলোচনা দ্রুত গতিতে চলছে।

23rd     September,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ