বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
বিদেশ
 

ইজরায়েলের গবেষণাগারে তৈরি হল ব্ল্যাকহোল, হকিংয়ের তত্ত্ব প্রমাণিত 

জেরুজালেম: মৃত্যুর পরেও অমরত্ব পেয়েছেন ব্রিটিশ পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। এখনও তাঁর তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা, গবেষণা চলে সমানে। এবার ইজরায়েলের গবেষকদের কল্যাণে হকিংয়ের প্রায় অর্ধ শতক আগের একটি তত্ত্বের হাতেকলমে প্রমাণ মিলল। পদার্থ বিজ্ঞানে ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর এখনও অপার রহস্য নিয়ে বিদ্যমান। কৃষ্ণগহ্বরের সর্বগ্রাসী ক্ষুধার কাছে হারে মানে আলোও।
চলতি ধারণা হল, কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে আলো এসে পড়লেও নিস্তার নেই। তাকেও খেয়ে ফেলে ব্ল্যাকহোল। যদি কোনও কণা আলোর গতিবেগের চেয়েও বেশি বেগে যায় তখনই কেবল ব্ল্যাকহোলের ক্ষুধা এড়ানো সম্ভব। কিন্তু আলোর থেকে বেশি গতিবেগ সম্ভব নয়। তাই রাক্ষুসে কৃষ্ণগহ্বরকে এড়ানোও অসম্ভব। এই তত্ত্বের মধ্যে ফাঁক দেখিয়েছিলেন হকিং। ১৯৭৪ সালে হকিং জানিয়েছিলেন, ব্ল্যাকহোল সবকিছু হজম করতে পারে না। সেখান থেকেও বিকিরণ (এমিশন) সম্ভব। তিনি বলেন, আলোর ফোটন কণাগুলি জোড়ায় জোড়ায় চলে। এর একটিকে কৃষ্ণগহ্বর খেয়ে নিলেও অন্যটি পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যায়। জন্ম হয় ‘হকিং বিকিরণের।’ গাণিতিকভাবে এটা প্রমাণ হলেও, বাস্তবে এর প্রমাণ মিলছিল না। টেকনো-ইজরায়েল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকরা কৃত্রিম কৃষ্ণগহ্বর তৈরি করে অসাধ্য সাধন করেছেন। সেখানেই হকিংয়ের তত্ত্ব নির্ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। আলো সরলরেখায় চলে, এই চলতি ধারণাকে নস্যাৎ করেছিলেন আরেক বিশ্ববিশ্রুত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন। তাঁর জীবিতাবস্থাতেই এক সূর্যগ্রহণের দিনে সেই তত্ত্বের প্রমাণ মিলেছিল। 

5th     March,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ