বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

আরবিআইয়ের রিপোর্টে প্রশ্নের মুখে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার স্বপ্নও

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: জি-২০ সম্মেলন অথবা রোজগার মেলা, নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন কিংবা ভোপালে দলীয় কর্মী সম্মেলন— প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বত্রই ভাষণে বলছেন যে, ২০৪৭ সালে ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। আজ যে ভারত উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিগণিত, স্বাধীনতার শতবর্ষে সেই ভারত হবে উন্নত অর্থনীতির দেশ। অর্থাৎ আমেরিকা, চীনের সঙ্গে একসারিতে। কিন্তু এই ‘উচ্চাশা’ যে পরিকল্পিতভাবেই ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে দেশজুড়ে, তা স্পষ্ট। কারণ, ২০২৫ সালে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হওয়ার ‘স্বপ্ন’ আচমকাই পিছনের সারিতে। না মোদি, না তাঁর মন্ত্রিসভার কোনও সদস্য— কারও মুখে এনিয়ে আর কোনও টুঁ শব্দ নেই। পরিবর্তে এখন লক্ষ্য, নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার আরও ২২ বছর পর তৃতীয় অর্থনীতি হিসেবে দেশকে গড়ে তোলা।
কিন্তু বাস্তব অবস্থাটা ঠিক কী? বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, আমদানি ব্যয় বেশি এবং সেই তুলনায় পর্যাপ্ত পণ্য রপ্তানি না হওয়ায় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি বিপুলভাবে বেড়ে গিয়েছে। আবার তারই  পাশাপাশি দেশের বৈদেশিক ঋণ আকাশ স্পর্শ করছে। এপ্রিল থেকে জুন মাসের ত্রৈমাসিকে প্রায় ৬৩ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছে গিয়েছে বৈদেশিক ঋণ। যা আগের ত্রৈমাসিকের তুলনায় এক ধাক্কায় ৪০০ কোটি ডলার বেশি। দুই তথ্যই অর্থনীতির জন্য বিপজ্জনক তথ্য। পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস, অবস্থার বড়সড় কোনও ইতিবাচক পরিবর্তন হয়নি। তাই চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি খুব একটা বদলাবে না। একটি আর্থিক বছরের প্রথম ৬ মাসের অর্থনীতি যদি মন্দার কবলে যায়, তাহলে পরবর্তী ৬ মাস কেটে যায় সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতেই। অর্থাৎ, নতুন করে অর্থনীতির চাঙ্গা হওয়া একপ্রকার দুঃসাধ্য। অর্থমন্ত্রক যেখানে আশা করেছিল উৎসবের মরশুমে দেশের জিএসটি আদায় প্রায় ২ লক্ষ কোটি স্পর্শ করতে চলেছে, সেখানে এই রিপোর্ট চরম হতাশাব্যঞ্জক। কিন্তু কেন এই হাল? প্রথমত, ডলারের নিরিখে টাকার দামের ক্রমাগত পতন। পাশাপাশি রপ্তানি অথবা পরিষেবা কর, দুটোই কমেছে হু হু করে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরিষেবা কর আদায় কমেছে। কম্পিউটারের মতো সামগ্রী রপ্তানি থমকে গিয়েছে। কয়েকদিন আগেই আরবিআইয়ের রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছিল, ভারতের সাধারণ মানুষের 
সঞ্চয় কমছে। পরিবর্তে বাড়ছে ঋণ। আর বৃহস্পতিবার আরবিআইয়ের রিপোর্ট বলছে, বাণিজ্য ঘাটতি চরমে। প্রকৃত অর্থেই হয়তো অমৃতকাল! মোদিজি তো বলেই দিয়েছেন, তাঁর নেতৃত্বে এখন যে কাজ হচ্ছে, তার প্রভাব থাকবে এক হাজার বছর। 

29th     September,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ