বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

লোকসভায় পাশ মহিলা সংরক্ষণ বিল, রাজীব-মমতার ভূমিকা তুলে ধরল কং-তৃণমূল

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লোকসভা-বিধানসভায় মহিলা প্রতিনিধিত্বের হার ৩৩ শতাংশ নিশ্চিত করতে সংবিধান সংশোধন (১২৮ তম) বিল এনে কৃতিত্ব নেওয়ার মরিয়া চেষ্টা মোদির। যদিও তা হতে দিল না বিরোধীরা। মহিলা সংরক্ষণের প্রথম উদ্যোগ যে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী নিয়েছিলেন, তা বারবার মনে করিয়েছে কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যে এ ধরনের বিল আনার পক্ষে ছিলেন, 
তারও উল্লেখ করে তৃণমূল। সিপিআইয়ের এমপি গীতা মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন মমতা। তাই মোদি সরকারের আনা বিলকে কেউ আপত্তি না করলেও সংশোধন দাবি করে বিরোধীরা। দীর্ঘ আলোচনার পর অবশ্য এই বিল পাশ হয়েছে লোকসভায়। পক্ষে ভোট দেন ৪৫৪ জন। বিপক্ষে ভোট পড়ে দু’টি।
বিরোধীদের দাবি ছিল, বিলটি আইনে পরিণত হলেই মহিলা সংরক্ষণ কার্যকর হোক। এর জন্য কেন অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী জনগণনা আর আসন পুনর্বিন্যাস পর্যন্ত? এর অর্থই তো বিল আনা লোকদেখানো।  সোনিয়া গান্ধী প্রশ্ন তোলেন, সরকার যে আকারে বিল এনেছে, তাতে কবে যে এটি কার্যকর হবে কেউ জানে না। আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে মেয়েদের? ২,৪,৬, ৮ বছর? কতদিন? স্পষ্ট করে বলুন। কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেত্রী আরও বলেন, আমার স্বামী রাজীব গান্ধীই প্রথম এই বিল এনেছিলেন। কিন্তু রাজ্যসভায় মাত্র সাত ভোটে হার হয়। বিল পাশ হয়নি। তাই এই বিল আমরা সমর্থন করছি। বিলটি পাশ হলে রাজীবজির স্বপ্ন সম্পূর্ণ হবে। তাই আমাদের দাবি, এখনই চালু হোক। মহিলাদের আর কত ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেবেন? রাহুলও মায়ের সুরে এসসি, এসটির পাশাপাশি ওবিসিকেও সংরক্ষণে যুক্ত করার দাবি তোলেন। বলেন, নতুন লোকসভা দেখছি। সিলিং থেকে মেঝে, জাতীয় পাখি ময়ূরের পেখম, পালক। পুরনো থেকে নতুনে আসার সেলিব্রেশন। বিশেষ অধিবেশন। অথচ দেশের মহিলা আদিবাসী রাষ্ট্রপতি কেন ব্রাত্য?
তৃণমূলের কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, এতই যদি মহিলাদের উন্নয়নের কথা ভাবেন। সমাজে তাদের অংশীদারে অগ্রাধিকার দিতে চান। তাহলে বিজেপি-এনডিএ শাসিত ১৬টি রাজ্যের মধ্যে একটিতেও কেন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী নেই? পশ্চিমবঙ্গ আর তৃণমূলকে দেখে শিখুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব঩ন্দ্যোপাধ্যায়ই শুধু নন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা মহিলা। তৃণমূল সাংসদদের মধ্যেও প্রায় ৪০ শতাংশ মহিলা। বিধানসভাতেও তাই। ফলে এই বিল আদতে মোদি সরকারের গিমিক। কেন্দ্রের বিলে সংরক্ষণ ৩৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে তা ৪০ শতাংশ করা হোক। 
বলেন, ক্যাসিয়াস ক্লের উদ্দেশে বিখ্যাত কথা আছে জানেন তো? ‘ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও এই একই কথা। কারণ, কেন্দ্রের বিলের অপেক্ষা তিনি করেননি। আগেই মহিলাদের গুরুত্ব দিয়েছেন। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, আমাদের আর কোনও ‘বন্দন’-এর দরকার নেই। এখন সরাসরি কাজের সময়। এখনকার ভোটার তালিকা ধরে অবিলম্বে এই বিল প্রয়োগ করুন। আমাদের দল যেমন করেছে, তেমনি বিজেপি থেকে ২০২৪-এর ভোটে ৩৩ শতাংশ মহিলাকে সংসদে পাঠান। 

21st     September,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ