বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

উধাও পুরনো সংসদ ভবনের সেই চেনা ব্যস্ততা, মিস করছি, বলছেন ভিজিটররা

দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি: তিলকসিং রাওয়াত এসেছেন রাজস্থানের আজমির থেকে। মধ্যবয়সী ভদ্রলোক। পরনে পাজামা-পাঞ্জাবি। কাঁধে চামড়ার ঝোলা ব্যাগ। দোতলায় পুরনো সংসদ ভবনের ঠিক যেখান দিয়ে লোকসভার গ্যালারিতে ঢোকার রাস্তা ছিল, তার সামনের অংশটিকেই ‘পয়েন্ট’ বানিয়েছেন তিনি। তাকে কেন্দ্র করেই গোটা ভবনটি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যেহেতু পুরনো সংসদ ভবন বৃত্তাকার, তাই কোনও একটি পয়েন্ট থেকে এগতে থাকলে আবারও সেই জায়গায় পৌঁছতেই হবে। অর্থাৎ, গোলোকধাঁধায় হারিয়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। একটানা এভাবে ঘুরছেন কেন? তিলকসিং রাওয়াত জানালেন, ‘ভিজিটর্স পাস নিয়ে সংসদের গত বাদল অধিবেশনেও এসেছিলাম। এবারেও এসেছি। মিলিয়ে দেখছি, পরিবেশ কতটা পালটে গেল।’ 
সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সংসদের পাঁচদিনের বিশেষ অধিবেশন। মঙ্গলবারই পাকাপাকিভাবে পুরনো থেকে নতুন সংসদ ভবনে স্থানান্তর হয়ে গিয়েছে। এবং সেই স্থানান্তরের পর বুধবারই প্রথম দিন, যেদিন একেবারে গোড়া থেকেই স্থায়ীভাবে সংসদ অধিবেশনের যাবতীয় কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন ভবনে। পুরনো সংসদ ভবনে অবশ্য রাজনৈতিক দলগুলির সংসদীয় কার্যালয় রয়েছে। সেখানে রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের আনাগোনাও চলছে। কিন্তু সংসদের অধিবেশন চলাকালীন পুরনো ভবনজুড়ে যে চেনা সশব্দ ব্যস্ততা এতদিন ঘুরে বেড়াত, দৃশ্যতই তা বেমালুম উধাও। কারণ পুরনো থেকে নতুনে সংসদ ভবন উঠে যাওয়ার সময় একইসঙ্গে স্থানান্তরিত হয়ে গিয়েছে অধিবেশন চলার সময়কার সুপরিচিত আবহও। পুরনো ভবনের যে কয়েকটি ঘরে মিডিয়া ব্রিফিং হতো, আপাতত সেগুলি তালাবন্দি। কারণ নয়া সংসদ ভবনেই সেই উদ্দেশ্যে নতুন স্থান চিহ্নিত হয়েছে। লোকসভা কিংবা রাজ্যসভার যে করিডর দিয়ে সংশ্লিষ্ট কক্ষের গ্যালারিতে যেতে হতো এবং অধিবেশন চলার সময় যার মুখেই বসে থাকতেন নিরাপত্তাকর্মীরা, তাঁদের সেই জায়গাও খালি। 
ফাঁকা করিডরে ইতিউতি ঘুরে বেড়াচ্ছেন কিছু অফিসকর্মী এবং তিলকসিং রাওয়াতের মতো উৎসাহী কিছু ‘ভিজিটর’। নতুন ভবন নিয়ে উৎসাহ থাকলেও ‘ভিজিটর’দের কাছে পুরনো সংসদ ভবন সম্পর্কে আগ্রহ কিছুমাত্র কমেনি। অন্তত বুধবার তা দিব্যি মালুম হয়েছে। পুরনো কক্ষে অধিবেশন চলছে না। তাই ‘ভিজিটর্স গ্যালারি’তে এক ঘণ্টার জন্য বসে সভার কাজ প্রত্যক্ষ করার সুযোগও নেই। ফাঁকা হোক, তবুও পুরনো কক্ষ কেমন ছিল, কোথায় চলত সভার কাজ - তা একঝলক দেখতে মরিয়া হয়েছেন ভিজিটরদের একাংশ। তেমনই একজন ‘ভিজিটর্স পাস’ বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘দেখুন লেখা আছে যে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলা যাবে না। তাই নামধাম বলব না। তবে পুরনো ভবনকে মিস করছি, তা বলতে পারি। ফাঁকা ফাঁকা ঘর দেখে কেন জানি না খারাপ লাগছে। এখন নতুন ভবনের জন্য পাস দেওয়া হচ্ছে না বলা হল। কখনও ঢুকতে পারলে মিলিয়ে নেব।’ পুরনো সংসদ ভবনকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে তাই হারিয়ে যেতে বসা আবহ ক্যামেরাবন্দি করার প্রয়াস চলছেই। আপাতত পুরনো সংসদ ভবনের শূন্য অলিন্দে নবীন-প্রবীণদের শুধুই সম্মিলিত স্মৃতি রোমন্থন। তাতে পাক খাচ্ছে নস্টালজিয়া!

21st     September,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ