নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রেলের গাফিলতির জেরেই কি দুর্ঘটনা? নাকি বাস্তবিকই অন্তর্ঘাত? ঐকমত্যে পৌঁছতে পারছে না কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি। মতের মিল না হওয়ার কারণেই দুর্ঘটনার রিপোর্ট পেশে বিলম্ব করছে সিআরএস। রেলমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে এ খবর জানা যাচ্ছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রেলমন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেছেন, ঐকমত্য না হলে এ ধরনের রিপোর্ট পেশ করা যায় না। এত বড় একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। মত, ভিন্ন মত তো থাকবেই। সর্বসম্মতিতে যা গৃহীত হবে, সেইমতোই রিপোর্ট দেবে সিআরএস।’ কিন্তু করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পরেও কেন প্রাথমিকভাবেও ঐকমত্যে পৌঁছনো গেল না, সেই প্রশ্ন এড়াতে পারছেন না রেলমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা। বোর্ড সূত্রে ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে, কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি দেখছে, হোয়াট হ্যাপেন্ড? অর্থাৎ, ঠিক কী ঘটেছে? অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই দেখছে, হাউ ডিড ইট হ্যাপেন অ্যান্ড হু ডিড ইট? অর্থাৎ, ঘটনাটা কীভাবে ঘটেছে এবং তা কেউ ঘটিয়েছে কি না। ফলে দুটো তদন্তের মধ্যে বিভ্রান্তির কোনও জায়গা নেই। ইতিমধ্যেই বালেশ্বরের এক শীর্ষ রেল আধিকারিকের সিগন্যালিং ইস্যুতে মন্ত্রকের দাবিতে ভিন্ন মত পোষণ করে ‘ডিসেন্ট নোট’-এ বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এবার সিআরএসের মধ্যে মতানৈক্যকে ঘিরেও জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার জেরে এবার রেলমন্ত্রক সমস্ত জোন এবং ডিভিশনকে নির্দেশ দিয়ে বলেছে, নিয়মিতভাবে ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে হবে। কোনও কাজের ক্ষেত্রেই ‘শর্টকাট’ পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাবে না। শীর্ষ ফিল্ড অফিসারদেরও ময়দানে থাকতে হবে এবং জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শ দিতে হবে।