বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

করমণ্ডল মৃত্যুমিছিলে জঙ্গি-যোগ?
তদন্তে নেমেই কেন্দ্রের অন্তর্ঘাত
‘তত্ত্ব’ প্রতিষ্ঠায় তৎপর সিবিআই

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, কলকাতা ও হাওড়া: দোষীরা চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে দাবি করেছিলেন স্বয়ং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তারপর আরও ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ২৮৮-তে। কিন্তু কারা দোষী, সেটা এখনও জানা যায়নি। উল্টে কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির পাশাপাশি তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। আর নামামাত্রই কেন্দ্রের ‘অন্তর্ঘাত তত্ত্ব’ প্রতিষ্ঠায় তৎপর এই কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এমনকী, দুর্ঘটনার নেপথ্যে তারা জঙ্গিযোগের সম্ভাবনা পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছে। তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর তথ্যপ্রমাণ ও নথি সংগ্রহের উপর জোর দিয়েছে সিবিআই। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে যান তদন্তকারী অফিসাররা। প্রাথমিকভাবে এজেন্সির দাবি, পরিকল্পনা করেই লেভেল ক্রসিংয়ের সামনে থাকা পয়েন্টার জোড়া হয়নি মেইন লাইনে। সেই পরিকল্পনার নেপথ্যে একটি নির্দিষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রকাশ্য সংগঠনের ভূমিকা ছিল কি না, সেদিকটিই গুরুত্ব পাচ্ছে তদন্তে। রেলের কমিটিও প্রাথমিক রিপোর্টে ‘ডেলিবারেট ইন্টারফেয়ারিং’ এবং ‘ম্যানুয়াল টিঙ্কারিং’য়ের কথা উল্লেখ করতে চলেছে বলে খবর। 
দুর্ঘটনার পর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৩৭, ৩৩৮, ৩০৪ এ সহ একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করে বালেশ্বর জিআরপি। এদিন সিবিআইও ওই একই ধারায় মামলা শুরু করেছে। এক ডিএসপির নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে ১৪ সদস্যের টিম। সকালে তাঁরা বাহানাগা বাজারে স্টেশন ম্যানেজারের অফিসে যান। পরীক্ষা করে দেখেন প্যানেল রুম ও রিলে বক্স। নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। ঘটনার দিন কারা কারা কতক্ষণ ডিউটিতে ছিলেন সেই তালিকাও সংগ্রহ করেন অফিসাররা। রিলে বক্সের চাবি হাতবদল হয়েছিল কি না, খোঁজখবর নেন সেবিষয়েও। এরপর তাঁরা যান কেবিন ম্যানের অফিসে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে যে লুপ লাইন ভালো করে পরীক্ষা করে দেখেন। প্রশ্ন তোলেন, করমণ্ডল লুপ লাইনে ঢুকছে দেখেও প্যানেল বোর্ডে তা দেখাল না কেন? এক্ষেত্রে স্টেশন ম্যানেজার ও সিগন্যাল-টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারের (এসটিই) ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপরই সিবিআই সূত্রে ‘অন্তর্ঘাত তত্ত্ব’কে কার্যত মান্যতা দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে তাদের দাবি, গোটা ঘটনাটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে সাধারণভাবে দেখলে মনে হয় নিছকই এটা একটা দুর্ঘটনা। আসলে যথেষ্ট পরিকল্পনা করে করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে বাছা হয়। কারণ, দক্ষিণ ভারতগামী এই ট্রেনে প্রচুর রোগী ও পরিযায়ী শ্রমিক ওঠেন। বাহানাগাকে বেছে নেওয়ার কারণ এটি গ্রামীণ এলাকা, হাসপাতালও বেশ দূরে। ফলে উদ্ধারকাজ শুরু হতে অনেক সময় লাগবে। অর্থাৎ প্রচুর মানুষের মৃত্যু হতে বাধ্য। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বাহানাগায় আগে পয়েন্ট সেট হতো লিভারের মাধ্যমে। এখন তা হয় রিলে রুমে প্যানেল বোর্ডে বোতামের সাহায্যে মোটর চালিয়ে। ওই রুমের চাবি স্টেশন ম্যানেজার ও এসটিইর কাছে থাকে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত লোকের পক্ষে সেখান থেকে সিগন্যালকে প্রভাবিত করা সম্ভব। তবে নথিতে দুর্ঘটনার সময় রিলে রুমে অন্য কারও প্রবেশের কোনও তথ্য নেই। রিলে বক্স এবং মোটরের তারের মধ্যেই রহস্য লুকিয়ে আছে বলে মনে করছে সিবিআই। তাদের দাবি, রেলের কোনও কর্মী ও বাইরের লোক রয়েছে অন্তর্ঘাতের নেপথ্যে। সেই কর্মীর নামও জানা গিয়েছে। সেই ব্যক্তির সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

7th     June,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ