বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

দোষীরা ছাড় পাবে না, সেতু ভাঙার
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিবৃতি নীতীশের

ভাগলপুর: ভাগলপুর ব্রিজ ভাঙা কাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুখ খুললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সোমবার তিনি দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা বলেন। নীতীশের কথায়, ২০১৪ সালে সেতুর কাজ শুরু হলেও তা ঠিকমতো এগয়নি, বোঝাই যাচ্ছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, গত বছর এপ্রিলেও কাজ চলাকালীন এই সেতুটি ভেঙে পড়ে। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে তদন্তভারের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালে সেতুর কাজ শুরুর পরেও কেন এতদিনে তা শেষ হল না, তা নিয়েও বিস্মিত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, কেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ হল না, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। তিনি জানান, গত বছর ৩০ এপ্রিল সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়ার পর তাঁরা আইআইটি রুরকির বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনও হাতে এসে পৌঁছায়নি। তবে সেতুটির কাঠামোয় যে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। আগামীতে এই ধরনের নির্মাণজনিত ত্রুটিযুক্ত সেতুগুলিকে চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলার কথাও জানান বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। পারবাত্তার সার্কেল অফিসার চন্দন কুমার বলেন, ‘সেতুটি ভেঙে পড়ার  পর থেকেই নিখোঁজ এসপি সিংলা কোম্পানির এক নিরাপত্তারক্ষী। এখন পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি।’
তবে এ নিয়ে জেডিইউ-আরজেডি সরকারকে বিঁধতে ছাড়েনি বিরোধী  শিবির। বিহারের প্রাক্তন সড়ক নির্মাণ দপ্তরের মন্ত্রী  নীতিন নবীন বলেন, তেজস্বী যাদব আসল সত্যিটা লুকিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর দাবি, বিশেষজ্ঞরা নির্মাণজনিত ত্রুটির বিষয়ে জানানোর পরেও কেন সরকার কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিল। অবিলম্বে ওই কাজ বন্ধ করে দেওয়া উচিত ছিল। নীতিন নবীনের আরও দাবি, চলতি বছরের মার্চে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনেও বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যায় শাসক শিবির। গেরুয়া শিবিরের জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা ঘটনাটিকে ‘দুর্নীতির সেতু’ আখ্যা দেন। টুইটে তিনি জানান, ‘নীতীশ কুমারের স্বপ্নের প্রকল্প সুলতানগঞ্জ-খাগাড়িয়া সেতু মুখ থুবড়ে পড়েছে। এই নিয়ে একই সেতু দু’বার ভেঙে পড়ল। দুর্নীতির মাত্রা কল্পনা করুন। করদাতাদের ১৭৫০ কোটি টাকা কার্যত গঙ্গার জলে ভেসে গেল।’ এরপরই তাঁর খোঁচা, নীতীশবাবু যখন বিরোধী ঐক্যের সেতু বানাতে ব্যস্ত, তখন তাঁরই রাজ্যে দুর্নীতির সেতু ভেঙে পড়ছে। ওই একই টুইটে কংগ্রেসকে তাঁর কটাক্ষ, পাপ্পু মিডিয়া কীভাবে এই ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দোষারোপ শুরু করেন, দেখতে থাকুন। 
রবিবার সন্ধ্যায় চোখের নিমেষে মাটিতে মিশে যায় চার লেনের এই সেতুটি। ২০১৪ সালে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, প্রথমে সেতুটির সামনের অংশ ভেঙে পড়ে। এরপর চোখের পলক ফেলার আগেই কার্যত ধুলোয় মিশে যায় গোটা সেতু। তবে এই দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।

6th     June,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ