বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

জিএসটি-অভিযান ঘিরে ক্ষুদ্র ও
মাঝারি ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ চরমে
ফিরল লাইসেন্স রাজের আতঙ্ক! 

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ১৯৯১ সালের উদার অর্থনীতির জন্ম হওয়ার আগে পর্যন্ত বাণিজ্য জগতের কাছে আতঙ্ক ছিল লাইসেন্স রাজ। অর্থাৎ যে কোনও ব্যবসার লাইসেন্স পাওয়া অথবা না পাওয়া নির্ভর করত সাধারণ ইনসপেক্টরদের মর্জির উপর। চরম দুর্নীতি দানা বেঁধেছিল এই লা‌ইসেন্স রাজকে কেন্দ্র করে। সেই অবস্থা থেকে ভারতীয় অর্থনীতি মুক্তি পেয়েছিল মনমোহন সিংয়ের উদার অর্থনীতির হাত ধরে। সেই লাইসেন্স রাজের প্রসঙ্গ তুলে আজও বিজেপি নেহরুর অর্থনীতির সমালোচনা করে। ২০১৭ সালে সব ট্যাক্স সরিয়ে এবং সমন্বিত করে জিএসটি চালু করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ট্যাক্স সংক্রান্ত সবরকম জটিলতার অবসান হবে এই নয়া ব্যবস্থায়। যদিও ভ্রান্ত প্রয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য করকাঠামো ব্যবসায়ীদের কাছে গত ৬ বছর ধরেই সমালোচিত হয়ে আসছে। তবে সবথেকে বড় যে সঙ্কট ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পসংস্থার ক্ষেত্রে হাজির হয়েছে, সেটি হল আবার পরোক্ষে ইনসপেক্টর তথা লাইসেন্স রাজ ফিরে আসা। জিএসটির ভুয়ো বিল, জাল ইনভয়েস এবং সংস্থা না থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ প্রতারণা করে সরকারের থেকে ইনপুট ট্যাক্স আদায়, জিএসটি ফাঁকি— এরকম একঝাঁক অভিযোগ নিয়ে জিএসটি কর্তৃপক্ষ অনেকদিন ধরেই সরব।  সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জিএসটি ফাঁকি প্রতিরোধে এবং প্রতারক ব্যবসায়ীদের পাকড়াও করতে দু মাস ধরে চলবে অভিযান। ১৬ মে থেকে ১৫ জুলাই। এই অভিযান শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে দেশজুড়ে। বিভিন্ন বণিক সংগঠনের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রকের কাছে নালিশ জানানো হয়েছে যে, যেভাবে হানা দিচ্ছেন জিএসটি ইনসপেক্টররা এবং সামান্য অনিয়ম অথবা ভুলকে বড়সড় ইচ্ছাকৃত অপরাধ হিসেবে গণ্য করে লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, তাতে ব্যবসার ক্ষেত্রে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৬ সালের পর নোট বাতিলের ধাক্কা সামলাতে না পেরে অসংখ্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ধ্বংস হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসার অর্থনীতি। আবার জিএসটি অভিযানের নামে যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে, সেটা ব্যবসা সঙ্কটের বাতাবরণ তৈরি করছে। আর্থিক অনিয়ম নয়। পদ্ধতিগত মৃদু ভুলকেও কারণ দেখিয়ে সেটিকেও জিএসটি ফাঁকির অপরাধ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এক হাজারের বেশি আবেদন ও অভিযোগ জমা পড়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থার কেন্দ্রীয় সংগঠনের কাছে। ওই অভিযোগের সূত্রেই অর্থমন্ত্রকের কাছে বিহিত চাওয়া হয়েছে। -ফাইল চিত্র 

2nd     June,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ