বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

এই লড়াই সব বিরোধীর এক হওয়ার: মমতা
‘যতই চেঁচাক, চব্বিশে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরবে না’

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ, এজেন্সিরাজ কায়েম, লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব—দেশের প্রত্যেক প্রান্তে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে এই ইস্যুগুলিই আজ প্রতিবাদের প্রধান সুর। রং বা নাম আলাদা হতে পারে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছে সব বিরোধী। সেই মহাজোট জল্পনাকে উস্কে দিয়েই বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, ‘এই লড়াই, এবারের লড়াই সব বিরোধীর এক হওয়ার। যতই চেঁচাক, চব্বিশে ক্ষমতায় ফিরবে না বিজেপি।’ 
বিজেপির বিরুদ্ধে সব বিরোধী—২৪’এর মহারণের বীজমন্ত্র এটাই। গণতন্ত্র বাঁচানোর ধর্মযুদ্ধে রেড রোডে ৩০ ঘণ্টার ধর্নায় বসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। লক্ষ্য তাঁর একটাই, প্রতিবাদের তীব্র ভাষা দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও পৌঁছে দিতে হবে। একদিকে কলকাতায় মমতার অভিনব বিক্ষোভ, আর অন্যদিকে দিল্লিতে তাঁরই সৈনিকদের ধর্না। রাজধানীতেও আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে এদিন প্রতিবাদে বসেছেন তৃণমূল এমপিরা। বিজেপি বিরোধী এই আঁচ বাড়ছে। অকংগ্রেসি মঞ্চের যে হাওয়া আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল, তাও আপাতত স্তিমিত। কারণ, রাহুল গান্ধী নিজেই নিঃশর্ত মানুষের জোটের পক্ষে এক কদম এগিয়ে এসেছেন। সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর মোদি বিরোধী সুর আরও উচ্চগ্রামে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। অন্তত জাতীয় স্তরে কংগ্রেস বুঝেছে, জোটের ‘বড়দা’ হয়ে ওঠার ইগো ধরে থাকলে চলবে না। সোনিয়া গান্ধীরও সাফ বার্তা, জোটই লক্ষ্য। এবং তাতে কোনও শর্ত থাকতে পারে না। এই আবহেই রাহুল গান্ধী ইস্যুতে ‘পাশে দাঁড়ানোর’ বার্তা শহিদ মিনারের সভামঞ্চ থেকে এদিন দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘একটি সম্প্রদায়কে আক্রমণ করার দায়ে যদি রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর হবে না কেন? উনিও তো নির্বাচনী প্রচারে এসে ব্যঙ্গের সুরে দিদি সম্বোধন করে মহিলাদের অপমান করেছেন।’ এরপর সন্ধ্যায় ধর্নামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা, ‘ওদের (বিজেপি) পিক টাইম শেষ! ক্ষমতায় আসার সময় ১৭টা দল নিয়ে শুরু করেছিল। কিন্তু এখন সবাই চলে গিয়েছে, সব ভাগন্তি! এখন কী করবে! সব বিরোধী দলকে বলছি, এককাট্টা হয়ে লড়তে হবে। কে নেতা হবেন, এমন কোনও ব্যাপার নেই। সেটা লড়াইয়ের বিষয়ই নয়। এই লড়াইটা দেশ বাঁচানোর, সংবিধান রক্ষার।’ নেত্রীর বার্তা, দেশের গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা আজ বিপন্ন। কটাক্ষের সুরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধীরা কিছু বলতে গেলেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে নেতাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। আর বিজেপিতে যোগ দিলে সাত খুন মাফ! দেশ কা দুঃশাসন কো হটাইয়ে, অউর দেশ কো বাঁচাইয়ে। মোদি সরকারকে উৎখাত করলেই বাঁচবে ভারত। এবার বিজেপির সঙ্গে জনগণের লড়াই হবে। ওদের হটতেই হবে।’

30th     March,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ