বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

স্বল্প সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট শুধু আধারেও
কোষাগার ভরাতে মরিয়া কেন্দ্র, নিয়ম শিথিল

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বাণিজ্য ঘাটতি চরমে। ধাক্কা লেগেছে রাজস্ব আদায়ে। আর্থিক মন্দার হাতছানিও ক্রমে স্পষ্ট হচ্ছে। তাই নতুন অর্থবর্ষের শুরু থেকে রাজকোষ ভরাতে মরিয়া কেন্দ্র। আর সেই কাজে মোদি সরকারের এক এবং একমাত্র ভরসা সাধারণ মানুষের ‘ব্যাঙের আধুলি’ই। নেওয়া হতে চলেছে নয়া সিদ্ধান্ত—স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে নতুন গ্রাহক হতে অথবা কেওয়াইসি ফর্ম পূরণে প্যান কার্ডের নম্বর আর বাধ্যতামূলক নয়। পরিবর্তে আধার কার্ড বা আধার নম্বর হবে নয়া অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যম। সূত্রের খবর, আরও বেশি সংখ্যক গ্রাহকের কাছে পৌঁছতে শীঘ্রই এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে সরকারি স্তরে এব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা শেষ। চলতি সপ্তাহেই হবে চূড়ান্ত বৈঠক। আগামী আর্থিক বছরের শুরু অর্থাৎ এপ্রিল থেকে যাতে এই নয়া নিয়ম কার্যকর করা যায়, সেই চেষ্টা চালাচ্ছে অর্থমন্ত্রক। প্রধানত যে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিকে এর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ), সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস প্রকল্প, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট ইত্যাদি। শুধু স্বল্প সঞ্চয়ে লগ্নি নয়, জনধন যোজনার ক্ষেত্রেও এবার আধার কার্ডের মাধ্যমে কেওয়াইসি জমা করা যাবে।
এই নিয়ম বদলের নেপথ্য যুক্তি হিসেবে দু’টি কারণকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এক, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে ইস্যু হওয়া প্যানের তুলনায় আধার কার্ডের সংখ্যা অনেক বেশি। বর্তমানে ৫৩ কোটি মানুষের কাছে প্যান কার্ড রয়েছে। সেখানে আধার কার্ডের সংখ্যা ১৩৪ কোটি। যদিও এর মধ্যে বহু ভুয়ো ও জাল আধার রয়েছে বলে দাবি খোদ কেন্দ্রের। সেগুলি চিহ্নিত করে বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে। গ্রামীণ ভারতের বিপুল সংখ্যক মানুষের হাতে এখনও প্যান কার্ড সেভাবে পৌঁছয়নি। তাই ইচ্ছা থাকলেও তারা ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের গ্রাহক হতে পারে না। ফলে তাদেরও লোকসান এবং সর্বোপরি সরকারের কাছেও আর্থিক ক্ষতি। কারণ, গ্রামীণ হোক বা শহুরে, মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত মানুষের মধ্যে আজও এই স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলির চাহিদা চরমে। আর যেহেতু গ্রামে ব্যাঙ্ক অথবা মিউচুয়াল ফান্ডের তুলনায় সহজে ডাকঘর পাওয়া যায়, তাই এটা সুবিধাজনকও। এ তো গেল নিয়ম শিথিলের প্রথম কারণ! আর দ্বিতীয়টি হল, কেন্দ্রীয় সরকারের নিজস্ব স্বার্থ। ফর্মুলা সহজ, যত বেশি গ্রাহক বাড়বে, ততই রাজস্ব বৃদ্ধি বা কোষাগার ভরার সম্ভাবনা।
এদিকে আগামী শনিবার অর্থাৎ ১ এপ্রিল বাজেট ঘোষণা অনুযায়ী আরও একটি নতুন ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প চালু হতে চলেছে। নাম, মহিলা সম্মান সেভিংস সার্টিফিকেট। এককালীন ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের লগ্নি, যা ২ বছরের ম঩ধ্যেই ম্যাচিওর করবে। ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট সাড়ে ৫ বছর, কিষান বিকাশ পত্র ৯ বছরের মেয়াদে প্রদান করে ম্যা঩চিওরিটির টাকা। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যেই যাতে লগ্নির টাকা সুদে আসলে পাওয়া যায়, সেটা নিশ্চিত করতে চালু হচ্ছে এই নয়া প্রকল্প। 

30th     March,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ