বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

তিরুভালুরে শরিক কংগ্রেসের প্রার্থী শশীকান্ত সেন্থিলের সমর্থনে ডিএমকে নেতা উদয়নিধি স্ট্যালিনের রোড শোয়ে ভিড়। -পিটিআই 

প্রশ্নে গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা,
রাহুল ইস্যুতে মার্কিন হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আদানির কাণ্ডের পর এবার রাহুল গান্ধী ইস্যু। ভারত সরকার চাইলেও আন্তর্জাতিক সমালোচনা এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। কংগ্রেস নেতার দু’বছরের কারাদণ্ড এবং লোকসভার সদস্যপদ খারিজ নিয়ে এবার সরাসরি মুখ খুলল আমেরিকা। নরেন্দ্র মোদি যাঁকে তাঁর অন্যতম প্রিয় বন্ধু হিসেবে বিবৃতি দিয়ে থাকেন, সেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার মঙ্গলবার বলেছে, ‘রাহুল গান্ধী সংক্রান্ত ঘটনা পরম্পরার দিকে আমরা তীক্ষ্ণ নজর রাখছি। যে কোনও গণতান্ত্রিক দেশে আইনের শাসন এবং বিচারবিভাগের স্বাধীনতার উপর আমাদের সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং বিশেষত বাক স্বাধীনতা আমরা অগ্রাধিকার দিই। আর সেই গণতান্ত্রিক বিশ্বাস ও ব্যক্তি স্বাধীনতার শপথের কথা ভারতকে জানানো হয়েছে। সেই কারণেই ভারতের আদালতে রাহুল গান্ধীর মামলাটির গতিপ্রকৃতির দিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি।’ আশ্চর্যের বিষয়, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এই ইস্যুতে বিরোধীদের তোলা সবথেকে বড় অভিযোগও এই দু’টি বিষয় ঘিরে আবর্তিত—গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা হরণ। মার্কিন সরকার ঠিক সেকথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলেছে নয়াদিল্লিকে।
মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীকে ২ বছর কারাবাসের সাজা দিয়েছে নিম্ন আদালত। সেই রায়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর সংসদের সদস্যপদ বাতিল করা হয়। তারপর প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সরকারি বাসভবন ছেড়ে দেওয়ার নোটিস পাঠানো হয়েছে কংগ্রেস নেতাকে। এই ঘটনা নিয়েই বর্তমানে সরগরম দেশীয় রাজনীতি। মোদি সরকারকে অগণতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে সংসদের অন্দরে ও বাইরে লাগাতার বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে কংগ্রেস এবং বিরোধীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে জোরদার প্রচার। বিজেপি ও কেন্দ্রের অবশ্য জবাব, এখানে তাদের কোনও ভূমিকাই নেই। রাহুল গান্ধী দলিত সমাজের অপমান করেছেন। আদালত রায় দিয়েছে। তার প্রেক্ষিতে, সুপ্রিম কোর্টের ২০১৩ সালের একটি ঐতিহাসিক নির্দেশের জেরেই তাঁর সংসদের সদস্যপদ বাতিল হয়েছে। এই যুক্তি অবশ্য মানতে নারাজ কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এতদিন বিক্ষিপ্ত ও প্রায় ছত্রভঙ্গ থাকা বিজেপি বিরোধী দলগুলি এই ইস্যুতে হঠাৎ এককাট্টা হয়ে গিয়েছে। এই মহাজোট সম্ভাবনায় শঙ্কার ছায়া বাড়ছিল গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু এবার নতুন করে মোদি সরকারকে বিব্রত করেছে বন্ধু রাষ্ট্র আমেরিকার অবস্থান। 
এদিন ওয়াশিংটনে মার্কিন সরকারের বিদেশ দপ্তরের অন্যতম প্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ‘ভারত আমাদের কূটনৈতিক অংশীদার। দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় আমরা একাধিকবার গণতান্ত্রিক আবহের গুরুত্বের কথা জানিয়েছি। নাগরিকদের মৌলিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য জরুরি। দু‌’দেশকেই তা মনে রাখতে হবে।’ অর্থাৎ, বিরোধীদের অভিযোগকেই ঘুরিয়ে মান্যতা দিয়েছেন প্যাটেল। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক অবশ্য এই বিবৃতি নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেনি। তবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে আমেরিকার এমন মন্তব্য কাম্য নয়। কিন্তু কেন এমন মন্তব্য? এটা কি কোনও প্রবণতার সূত্রপাত? অর্থাৎ এবার কি একে একে আমেরিকার শিবিরে থাকা পশ্চিমী রাষ্ট্রগুলিও রাহুল ইস্যুতে বিবৃতি দেবে? সিঁদুরে মেঘ দেখছে মোদি সরকার! 
 সংসদে খাড়্গে। -পিটিআই

29th     March,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ