বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

রাজস্থান, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশে চরম অন্তর্দ্বন্দ্ব
তিন রাজ্যেই হারের
শঙ্কায় ত্রস্ত বিজেপি

সমৃদ্ধ দত্ত, নয়াদিল্লি: চলতি বছরে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে। নিজেদের শক্তি নিয়ে বিজেপি যেমন আত্মবিশ্বাসী তাতে এই চার রাজ্যেই অনায়াসে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে কোনও সংশয় থাকার কথা নয়। প্রকাশ্যে তা বলাও হচ্ছে। কিন্তু আড়ালে, গেরুয়া শিবিরে অন্দরে শঙ্কার ছায়া তীব্র। কারণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কর্ণাটক, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে যেভাবে দলের মধ্যে যুযুধান দুই শিবিরে প্রবল দড়ি টানাটানি চলছে, তাতে ব্যাপক অস্বস্তিতে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। বিজেপির দিল্লির কর্তারা নিশ্চিত যে, এই অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রভাব ভোটে পড়বেই। আর তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে—চার রাজ্যেই আগেভাগে কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে না। অর্থাৎ, কপাল পুড়তে চলেছে দুই বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী, মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহান এবং কর্ণাটকের বাসবরাজ বোম্মাইয়ের। কারণ, এই দুই মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধী পক্ষ ক্রমে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তাদের খুশি করতেই এই সিদ্ধান্ত। বোম্মাই অবশ্য সেকথা মানতে রাজি নন।
গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে গত বছরই কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে। কিন্তু গত তিন মাস ধরে তিনি আবার সক্রিয়। সম্প্রতি দিল্লির কর্তাদের তোয়াক্কা না করে বেনজিরভাবে পুত্রের নির্বাচনী কেন্দ্রের নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা। অথচ দলের নিয়ম হল, এই সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সংসদীয় বোর্ড। সোজা কথায় মোদি, অমিত শাহ এবং জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। কিন্তু ইয়েদুরাপ্পা বুঝিয়ে দিয়েছেন, এখনও কর্ণাটকে তিনিই শেষ কথা। মাসকয়েক আগে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত সেরাজ্যে গিয়ে প্রকাশ্যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে যথেষ্ট সন্তুষ্ট করার বার্তা দেন। শুধু তা-ই নয়, বোম্মাইকে নিয়ে দলের অন্দরে অসন্তোষ চরমে। তাই তাঁকে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী নাও করা হতে পারে বলে জল্পনা। ইতিমধ্যে একাধিক জনমত সমীক্ষা জানিয়ে দিয়েছে, এবার কর্ণাটকে বিজেপির পরাস্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশে মাঝপথে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটানোর প্রধান কারিগর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। রাহুল গান্ধীর ২২ জন বিধায়ক সঙ্গে নিয়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আপাতত তাঁর প্রধান লক্ষ্য মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া। কারণ, এই ইস্যুটিই কংগ্রেসের কমলনাথের সঙ্গে তাঁর বিরোধের বীজ। বিজেপিতে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে না পারলে সিন্ধিয়ার ভাবমূর্তি যথেষ্ট ক্ষুণ্ণ হবে। তাই বর্তমান অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী চাপ দিয়েছেন, শিবরাজকে আবার মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হলে তিনি অন্তত সন্তুষ্ট হবেন না। ছত্তিশগড়ে আবার ক্ষমতা হারানোর পর একসময়ের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী জনপ্রিয় রমণ সিংকে গত ৫ বছর ধরে সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি মোদির দল। তাই সেখানে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার মতো মুখ নেই। রাজস্থানে বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া বস্তুত মোদি ও শাহকে গ্রাহ্য করেন না। জয়পুরে থেকে দূরে, ঢোলপুরের প্রাসাদে বসেই তিনি দলের সিংহভাগ বিধায়ককে নিয়ন্ত্রণ করেন। রাজস্থানে অন্তত ৪৬ জন বিধায়ক তাঁর শিবিরে। তিনি যে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন, সেকথাও প্রায় ঘোষণা করে দিয়েছেন। অন্তর্দ্বন্দ্ব ঠেকাতে তাই এবার রাজস্থানে নিয়ে যাওয়া হতে পারে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। কিন্তু ভোটের আগে নয়। তাহলে বসুন্ধরার রোষ নেমে আসবে ভোটব্যাঙ্কে। সব মিলিয়ে হারের শঙ্কায় ত্রস্ত বিজেপি।
পোস্টার হাতে দিল্লির মন্ত্রী গোপাল রাই। -পিটিআই

23rd     March,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ